পুতিন কি আজও ট্রাম্পকে অপেক্ষায় রাখবেন?
Published: 15th, August 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ‘প্রথম দুই মিনিটের’ মধ্যেই তিনি জানতে পারবেন যে রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে, আরো আগেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত আসতে পারে - যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিমান অ্যাঙ্কোরেজে অবতরণ করবে।
সাত বছর আগে হেলসিঙ্কি শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বৈঠকের জন্য এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একটি অতিথিশালায় অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন। শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার মাত্র ১০ মিনিট আগে পুতিন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিলেন।
পুতিনের এই ঘটনাকে ব্যাপকভাবে একটি পাওয়ার প্লে হিসেবে দেখা হয়েছিল। কারণ তিনি একবার সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলকে চার ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে রেখেছিলেন।
অবশ্য পুতিনের জন্য এখন অনেক কিছু বদলে গেছে। তিনি ট্রাম্পের সাথে মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব মঞ্চে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন। এই মুহূর্তে তার সময়ানুবর্তিতা ইঙ্গিত দেবে যে তিনি কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রস্তুত কিনা।
ক্রেমলিন অবশ্য জানিয়েছে, পুতিন আজ সময়মতো পৌঁছাবেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট সবসময় সময়মতো পৌঁছান।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫৩ ফিলিস্তিনি ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা
ভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নয় মাসের গর্ভবতী এক নারীসহ ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে বিমানে আটকে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। শুক্রবার এ ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বিমানে আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া এক ইমাম জানিয়েছেন, বিমানের ভেতরে প্রচণ্ড গরম ছিল এবং শিশুরা চিৎকার করে কাঁদছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেনিয়ার নাইরোবিতে যাত্রাবিরতির পর বৃহস্পতিবার সকালে জোহানেসবার্গের ও.আর. টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনিদের একটি চার্টার বিমানে অবতরণ করে।
ফিলিস্তিনি যাত্রীদের কাছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কোনো বহির্গমন স্ট্যাম্প ছিল না, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কতদিন থাকবেন তাও উল্লেখ ছিল না এবং স্থানীয় ঠিকানাও ছিল না। এর ফলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এবং গিফট অফ দ্য গিভার্স নামে একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ফিলিস্তিনিদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার পর পরিবার ও শিশুসহ ১৫৩ জন যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৩ জন যাত্রী অন্য দেশে চলে গেছেন, ১৩০ জন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গেছেন।
গিফট অফ দ্য গিভার্সের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ সুলিমান জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে এটি ফিলিস্তিনিদের বহনকারী দ্বিতীয় বিমান যা দক্ষিণ আফ্রিকায় অবতরণ করেছে এবং যাত্রীরা নিজেরাই জানেন না যে তারা কোথায় যাচ্ছেন। দুটি বিমানই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে লোকদের বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চার্টার বিমানটি কে পরিচালনা করেছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
ঢাকা/শাহেদ