শরীয়তপুরে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা। চক্রটির কারণে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সেবাও সীমিত রয়েছে। মূলত সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।

বৃহস্পতিবার রাতে শরীয়তপুর শহরে স্থানীয় চালকেরা ঢাকার একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ার ঘটনায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার পর নতুন করে চক্রটির কথা আলোচনায় আসে। অ্যাম্বুলেন্স আটকে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি সবুজ দেওয়ানকে গতকাল শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোগীদের পরিবহনের জন্য জেলায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৭টি। সদর হাসপাতালে ২টি, যার একটি আবার দীর্ঘ দিন ধরে বিকল। আর ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই।

শরীয়তপুরে ৫০ শয্যার ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২০ শয্যার একটি থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১০০ শয্যার একটি জেলা সদর হাসপাতাল রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার হাসপাতালগুলো থেকে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। মাসের হিসাবে এ সংখ্যা আড়াই থেকে তিন হাজার। রোগীদের পরিবহনের জন্য জেলায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে ৭টি। সদর হাসপাতালে ২টি, যার একটি আবার দীর্ঘ দিন ধরে বিকল। আর ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্সের চালক নেই।

স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঢাকায় পাঠানো বেশির ভাগ রোগীর অবস্থা থাকে গুরুতর। তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সে করেই নিতে হয়। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ জনের বেশি রোগী জেলার বাইরে বহন করা হয় না। বাকি রোগীদের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ওপরই নির্ভর করতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সগুলো জেলা হাসপাতালে রোগী পরিবহনেই বেশি ব্যস্ত থাকে।

সক্রিয় অ্যাম্বুলেন্স চক্র

অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের বর্তমান ও সাবেক কর্মচারীরা একটি অ্যাম্বুলেন্স চক্র গড়ে তুলেছেন। ওই চক্রের অধীনে জেলা শহরে ২০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলোর মালিকও ওই কর্মচারীরা। চক্রটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রোগী পরিবহন করে। তাদের অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া ঢাকা অথবা অন্য জেলা থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সে রোগী তুলতে দেয় না। এই চক্রেরই একজন গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া সবুজ দেওয়ান। তাঁর বাবা তাহের দেওয়ান জেলা সিভিল সার্জনের গাড়ির চালক।

আলোচনা রয়েছে, একটি অ্যাম্বুলেন্সের মালিক তাহের দেওয়ান, যাঁর চালক ছেলে সবুজ। তবে নিজের মালিকানা অস্বীকার করে তাহের দেওয়ান বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়ি চালাই। আমার ছেলে একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনে তা দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এখন মামলা হয়েছে। আইনগতভাবেই তা মোকাবিলা করব।’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক জাহাঙ্গীর হোসেনেরও একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি আরও দুটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে জাহাঙ্গীরও নিজের মালিকানার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ হাসপাতালের সাবেক অফিস সহকারী ও আরও দুজন কর্মচারীর তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, তা মাঝে মাঝে আমি দেখাশোনা করি।’

অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়ার জন্য কোনো রোগীর স্বজন ফোন করেনি। অ্যাম্বুলেন্সের এসির কিছু সমস্যা থাকায় তা মেরামত করার জন্য গ্যারেজে নিয়ে আসি। এ কারণে সকালের দিকে আমরা দুজন চালকই ব্যস্ত ছিলাম।শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জাহাঙ্গীর হোসেন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় কম

অসুস্থ হয়ে পড়ায় ডামুড্যা উপজেলার মালগাঁও বাড়ৈকান্দি গ্রামের সন্তানসম্ভবা অর্চনা মণ্ডলকে (২৩) গতকাল সকালে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টাঙ্গিয়ে রাখা সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালকের নম্বরে ফোন করেন অর্চনার স্বজনেরা। কিন্তু চালক ফোন না ধরায় বাধ্য হয়ে তাঁরা বেসরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে সকাল ১০টার দিকে ঢাকায় রওনা হন। ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক অর্চনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানতে চাইলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নেওয়ার জন্য কোনো রোগীর স্বজন ফোন করেনি। অ্যাম্বুলেন্সের এসির কিছু সমস্যা থাকায় তা মেরামত করার জন্য গ্যারেজে নিয়ে আসি। এ কারণে সকালের দিকে আমরা দুজন চালকই ব্যস্ত ছিলাম।’

আমি স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়ি চালাই। আমার ছেলে একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনে তা দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এখন মামলা হয়েছে। আইনগতভাবেই তা মোকাবিলা করবঅ্যাম্বুলেন্সের মালিক তাহের দেওয়ানবেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বেশি

শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নেওয়া হলে প্রতি কিলোমিটার রাস্তার জন্য (যাওয়া-আসা) ২০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। রোগী নেওয়ার সময় পদ্মা সেতু ও সড়কের টোল ফ্রি। চালকদের দাবি, আসার সময় রোগী না থাকলে তাঁদের সেতু ও সড়কের টোল দিতে হয়। সেই হিসাবে ঢাকার যেকোনো হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগী বহনে চালককে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়। আর শরীয়তপুরের ওই চক্র জেলা হাসপাতাল থেকে একজন রোগীকে ঢাকায় নিতে নিয়ে থাকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।

জানতে চাইলে শরীয়তপুর অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও চালক সমিতির সভাপতি আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলাম। তিন বছর আগে অবসরে যাওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করেছি। শরীয়তপুর হতে একজন রোগী ঢাকায় নেওয়ার জন্য স্থানভেদে সাত হাজার টাকা হতে আট হাজার টাকা নিয়ে থাকি।’

‘নীতিমালা নেই বলে নিয়ন্ত্রণ’

শরীয়তপুরে সরকারি ৭টি ও সদরের চক্রটির ২০টি অ্যাম্বুলেন্সের বাইরে জেলার উপজেলা পর্যায়ের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর আরও ১০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), অক্সিজেন সিলিন্ডার ও রোগীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সরঞ্জাম রাখা বাধ্যতামূলক। আর এসব সেবা পরিচালনার জন্য অ্যাম্বুলেন্সচালককে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের রোগীর প্রাথমিক ও জরুরি সেবা দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কারা চালায়, তার খবর কেউ রাখে না। অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন, অন্যান্য সরঞ্জাম আছে কি না, তা–ও কেউ খবর রাখে না। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের অনেক চালক রোগীকে অক্সিজেনের মাস্ক পর্যন্ত পরাতে পারেন না। তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করেই রোগীর স্বজনদের থাকতে হয়।’

সার্বিক বিষয়ে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন রেহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চক্রের সদস্যরা আরেকটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার কারণে এক নবজাতকের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয়েছে। আমরাও ঘটনাটি তদন্ত করব। আর বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের কোনো নীতিমালা আমাদের নেই। যার কারণে আমরা তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারছি না। বিকল অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করতে ও চালক দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।’ তিনি জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনার জন্য কয়েক বছর আগে একটি খসড়া নীতিমালা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছিল।

কেঁদেই চলছেন রুমা

শুক্রবার জ্ঞান ফেরার পর থেকে ছেলের জন্য কেঁদেই চলেছেন নবজাতকের মা রুমা বেগম। গতকাল সকালে শহরের বেসরকারি ক্লিনিক নিউ মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, রুমা বেগম বারবার সন্তানের সন্ধান করছিলেন। কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, ‘আমার কলিজার টুকরাকে ১০ মাস শরীরের ভেতর আগলে রাখলাম। কেন সে চলে গেল? তোমরা কেন তাকে কবরে শোয়াইয়া দিলা। আমি এখন কাকে নিয়া বাঁচুম।’

বাবা নূর হোসেন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। প্রথমে মামলা করতে চাইনি। পরে অনেকের সাহসে মামলা করেছি। দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, মামলায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবুজকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য ম ব ল ন স র চ লক স ব স থ য কমপ ল ক স প রথম আল ক র ব সরক র র জন য ক য র একট র স বজন পর বহন জন র গ গতক ল ঘটন ট উপজ ল র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ