শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভা
Published: 20th, September 2025 GMT
আসন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরের আমলাপাড়া হোসিয়ারী সমিতির কমিউনিটি সেন্টারের নিচতলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
নির্দেশনায় তিনি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন—দেশের যেকোনো স্থানে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা উসকানিমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গোৎসব শুরু হয়ে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। দুর্গা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত প্রতিটি পূজা মণ্ডপে বিএনপির পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১০ জন করে কর্মী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বন্দর উপজেলা সহ মোট ৮২টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে। আমরা প্রতিটি মণ্ডপে নজরদারি নিশ্চিত করব যাতে পূজার আনন্দ বিন্দুমাত্র বিঘ্নিত না হয়।
প্রস্তুতিমূলক ও কর্মীসভায় মহানগর বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. মোঃ আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. মোঃ আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গাপূজার সময় পাহারার দায়িত্ব পালন করবেন।
বিগত বছরগুলোতেও আমরা এভাবে পূজার নিরাপত্তায় পাশে ছিলাম। এ বছরও আমরা শেষ পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে তাদের উৎসব সফল ও আনন্দঘন করতে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখব।
প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ১০ জন করে স্থায়ী পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি মহানগরের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন। বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
সভায় নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আপনারা যেভাবে আমাদের আগলে রেখেছেন তা অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আসন্ন ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্গোৎসব শুরু হবে সে সময়ও আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি পূজা মণ্ডপে আপনাদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ ও দাওয়াত রইল।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সানিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি সভাপতি, মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব শাহেন শহ্ আহম্মেদ।বন্দর থানা, সাধারণ সম্পাদক, জনাব নাজমুল হক রানা (বাবু)। সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সিনিয়র সদস্য, এড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। সিনিয়র সদস্য ড. মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য শিপলো, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ১৮নং ওয়াড বিএনপি মোঃ আল-আরিফ, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক, মাহাবুব রহমান। ১২ওয়াড বিএনপির বরকতউল্লাহ লালু।
আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শ্রী শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন,সহ-সভাপতি তিলোত্তমা দাস, মহানগরের সভাপতি শ্রী বিষ্ণু পদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাহা,তপন সাধু প্রচার সম্পাদক জেলার, সুমন দে দপ্তর সম্পাদক মহানগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ নগর ব এনপ র স ন ত কর ম উপস থ ত ড ব এনপ র সদস য দর থ ন রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
“শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে আজ বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। স্বেচ্ছায় সড়কে শৃংখলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো-ইজিবাইক চালকদের সংঘবদ্ধ হিংস্র হামলা প্রমান করে এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
কিছু কিছু অটো চালক তাদের গাড়ির সিটের নিচে করে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসেছে। হামলার পরও প্রকাশ্যে একাধিক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অটো চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও পথচারীদের তথ্যমতে, অনেক অটো চালককে মনে হয়েছে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী, নেশাখোরের মতো। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিল।
অটো চালকদের কেউ কেউ থামানোর চেষ্টা করলেও আরেকটি পক্ষের হিংস্রতা দেখে মনে হচ্ছিল তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে এই ঘটনায়।
হামলার পর উল্টো অটো চালকরা নিজেদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দুই ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড ব্লক করে রাখে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলো, সড়ক বন্ধ করা হলো, রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ডানপন্থী-বামপন্থী রাজনৈতিকরা। নিশ্চুপ অতি বিপ্লবীরাও।
মজার বিষয় হলো-স্বেচ্ছাশ্রমে রৌদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন হয়তো কারো কারো কাছে পছন্দ হচ্ছিলো না। কারণ, চাষাড়ায় অটো ঢুকতে দেয়াটাই ছিল অটো চালকদের দাবি। সেখান পর্যন্ত গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ও আয় বেশী হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই চাঁদাবাজ ও অটো বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কথিত সাংবাদিক ও মাস্তানদের সমন্বয়ে একটি চক্র। এই চক্রের কারণে কখনোই অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা যায়নি। হয়তো যাবেও না।
শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
লেখক -
বিল্লাল হোসেন রবিন
সহসভাপতি
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব