২০২৪ সালে দ্য ইকোনমিক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য ‘‘স্ত্রী বেশি আয় বেশি হলে স্বামীর মানসিক চাপ, হতাশা কিংবা আসক্তিজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।  পুরুষদের মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভাবনা প্রায় ৮ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।’’  

গবেষকরা বলছেন, ‘‘স্ত্রীর আয় বেশি হলে স্বামী নিজের পরিচয় নিয়ে সংকট বোধ করেন। আবার স্ত্রীও সামাজিক চাপের মুখে পড়েন। সাধারণত ধরা হয়, যার আয় বেশি তিনিই পরিবারের প্রধান হয়ে উঠেছেন।’’

আরো পড়ুন:

আজ স্ত্রীর প্রশংসা করার দিন

জেন জি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী প্রজন্ম

যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জোয়ানা বলেন, ‘‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রীতিনীতির কারণে প্রচলিত প্রথা ভেঙে নারীর আয় বেড়ে গেলে তা পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।’’ নারী-পুরুষের সামাজিক ভূমিকার গৎবাঁধা ধারণার কারণেই রীতিনীতির বাইরের কোনো বিষয় গ্রহণ করতে মানুষের কষ্ট হয়।

পুরুষ ‘ব্রেডউইনার’ পরিচয় হারিয়ে ফেলার আশঙ্কার ভুগতে থাকে। স্ত্রীর আয় বেশি হলে তিনি মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন, তখন আত্মপরিচয়ের সংকট অনুভব করেন।  সুইডিশ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ‘‘স্ত্রীর আয় স্বামীর আয়ের চেয়ে বেশি হলে সেসব স্বামীদের মধ্যে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।’’

সমাজবিজ্ঞানীরা পুরুষের এই মানসিকতাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।  ব্যক্তিগত ও সম্পর্কভিত্তিক কাউন্সেলিং-য়ের পরামর্শ দেন।  

কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি: আন্তর্জাতিক রিভিউগুলোতে প্রমাণ মিলেছে যে কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি আসক্তি, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে কার্যকর।

কাপল থেরাপি: সম্পর্কের টানাপোড়েন, যোগাযোগ সমস্যার সমাধানে যুগল থেরাপি অনেক ক্ষেত্রে সফল প্রমাণিত হয়েছে।

কমিউনিটি-ভিত্তিক জেন্ডার ডায়লগ গ্রুপ: অনেক গবেষণা বলছে, অর্থনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে লিঙ্গ বিষয়ক সংলাপ যুক্ত করলে পরিবারে চাপ কমে এবং পুরুষ-নারীর মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ে।

নীতিগত সমতা নিশ্চিত করা: কর্মক্ষেত্রে সমান মজুরি ও নারীর নেতৃত্বকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া গেলে সামাজিক চাপও কমবে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ত র র আয় র আয় ব শ র র আয় ব সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

সময় বাড়ে, প্রকল্প শেষ হয় না

চট্টগ্রাম নগর পরিষ্কার রাখা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য সাতটি বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছিল ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। সাত বছর পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে দুটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি। দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও বাকি পাঁচটিরও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ করে চুক্তি বাতিলের আবেদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

শুধু পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসন প্রকল্প নয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চলমান আরও তিনটি প্রকল্পের কাজও চলছে ঢিমেতালে। ৩ থেকে ১১ বছর ধরে প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে। দফায় দফায় সময় বৃদ্ধি করেও প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ঠিক সময়ে প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীদের পাশাপাশি নগরবাসীও।

জলাবদ্ধতা নিরসনে বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খননের সুপারিশ করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনায়। প্রায় ২০ বছর পর ২০১৪ সালে তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। নির্ধারিত সময় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজই শুরু করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। প্রকল্পটি তিন দফা সংশোধন করা হয়েছে। চার দফায় সময় বৃদ্ধি করা হয় আট বছর।

ভবন নির্মাণ ছাড়া অন্য তিনটি প্রকল্প হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য বহদ্দারহাটের বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্প; নগরের কুলগাঁও এলাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণ এবং নগরের বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প। চার প্রকল্পের মোট খরচ হবে ৫ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

সিটি করপোরেশনের প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা, অপ্রতুল বরাদ্দ, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং বাধা-প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকল্পগুলোর কাজ আটকে ছিল। সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলছেন, এখন কাজে গতি এসেছে, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনার ঘাটতিকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের কাজ বন্ধ। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের বান্ডেল রোড এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ