মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির ঝুলন্ত লাশ গাজীপুর থেকে উদ্ধার
Published: 23rd, September 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস আলীর (৪৭) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে গাজীপুর নগরের উত্তর ছায়াবীথি এলাকার হাক্কানী হাউজিংয়ের আবেদ প্লাজার পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্কাস আলী মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগ মামুদালী গ্রামের হাফেজ আলীর ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি মেহেদী হাসান জানান, আক্কাস আলী গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবীথি হাক্কানী হাউজিংয়ের আবেদ প্লাজার পঞ্চম তলায় গোলাম মাওলার ফ্ল্যাটে থাকতেন। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে তিনি ওই বাসায় বন্ধু জাহিদ হাসানের কাছে বেড়াতে আসেন। আক্কাস আলী মুন্সিগঞ্জ জেলায় ব্যবসা করতেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ শহরের মেডিস্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রেনেসা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ছিলেন। ব্যবসায়িক লোকসান ও ঋণগ্রস্ততার কারণে তিনি আর্থিক সংকটে পড়েন। এ নিয়ে প্রায়ই পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া হতো। এর আগে তিনি দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
ওসি মেহেদী হাসান বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ৩টার মধ্যে কোনো একসময় তিনি ফ্ল্যাটে একা ছিলেন। তখন তিনি গলায় গামছা বেঁধে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া অক্সিজেন মাস্ক খুলেছেন ক্লিনার, অভিযোগ মৃতের স্বজনদের
অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত সাইফুল ইসলাম নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগিপোল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শেখ ইসমাইলের ছেলে।
রোগীর স্বজনেরা জানান, কিডনি জটিলতায় গত শনিবার সাইফুলকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, পরদিন সকালে ওয়ার্ডের আউটসোর্সিং কর্মচারী (ক্লিনার) আব্দুল জব্বার অক্সিজেন মাস্ক খুলে নিয়ে সিলিন্ডারসহ আরেক রোগীকে দেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে সাইফুল ইসলাম মারা যান।
সাইফুলের মা রশিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রাতভর দৌড়াদৌড়ি করে ছেলেকে অক্সিজেন দিয়েছিলাম। কিন্তু, সকালে ক্লিনার অক্সিজেন খুলে নেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ছেলে মারা যায়।’’
মৃতের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই ক্লিনার অক্সিজেন খুলেছেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যে ছটফট করতে করতে আমার ভাই মারা গেছে।’’
ওয়ার্ডে উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক ব্যক্তি এসে সাইফুলের নাক থেকে নল খুলে সিলিন্ডার নিয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আউটসোর্সিং কর্মচারী আব্দুল জব্বার বলেন, ‘‘একজন মুমূর্ষু রোগীকে দেওয়ার জন্য অক্সিজেন খুলে নেওয়া হয়েছিল।’’
খুমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘‘হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে। মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া বা খুলে নেওয়া ওয়ার্ড ক্লিনারের কাজ নয়। একজন রোগী কখন অক্সিজেন পাবেন, কখন পাবেন না; এ সিদ্ধান্ত জানাবেন ওয়ার্ডের ডাক্তার। যেই রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া আছে, সেই রোগীর অক্সিজেন খুলতে হলে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে খুলতে হবে। ওয়ার্ড ক্লিনার যদি খুলে নিয়ে থাকেন, তবে তিনি অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব