যশোর শহরে এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন দুই পুরুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে হেফাজতে নেয় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। পরে থানা চত্বরে আবার দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চারখাম্বার মোড় ও কোতোয়ালি থানার সামনে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে।

ওই নারী (৫০) ফরিদপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা। তাঁকে স্ত্রী দাবি করা দুই পুরুষ ফরিদপুর সদরের একই গ্রামের বাসিন্দা। কোতোয়ালি থানা-পুলিশ তিনজনকে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে পাঠায়। পরে আদালতের বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও ঘটনায় জড়িত তিনজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই পুরুষের মধ্যে একজনের (৫৩) সঙ্গে প্রায় ৩৬ বছর সংসার করেছেন ওই নারী। ওই সংসারে তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে আছে। কিন্তু সেই সংসার ছেড়ে আরেক পুরুষের (৪৮) সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই নারী। পরে সেই পুরুষের সঙ্গে তিনি ভারতে চলে যান এবং সেখানে তাঁরা বিয়ে করেন। এরপর গতকাল সোমবার রাতে তাঁরা যশোরে ফিরে একটি হোটেলে ওঠেন। খবর পেয়ে প্রথম স্বামী সেই হোটেলে যান। এরপরই আজ দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

দ্বিতীয় স্বামী দাবিদার ব্যক্তি বলেন, ওই নারীর সঙ্গে তাঁর তিন বছরের সম্পর্ক। তাঁরা দুজনই স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এবং এখন একসঙ্গে থাকতে চান।

ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম স্বামীর সংসারে তিনি নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি সেই সংসার ছেড়ে আরেক পুরুষকে বিয়ে করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর প্রথম স্বামীর সংসার করবেন না।

প্রথম স্বামী বলেন, তাঁর স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কারণে তাঁদের সাজানো সংসার ভেঙে যাচ্ছে। তাঁর স্ত্রী শুধু বাড়ি ছাড়েননি; বরং পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও বাড়ির গয়না নিয়ে যান। তিনি তাঁর স্ত্রীকে যেকোনো মূল্যে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কাজী বাবুল প্রথম আলোকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা তৈরি হওয়ায় তিনজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে আনা হয়। পরে ১৫১ ধারায় মামলা দিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।

যশোর আদালতের পুলিশের পরিদর্শক রোকসানা খাতুন বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শান্তনু কুমার মণ্ডল তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম স ব ম ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ রাতে ব্যালন ডি’অর: কীভাবে বেছে নেওয়া হয় বিজয়ীদের

প্যারিসের বিখ্যাত থিয়াত্র দ্যু শাতলে-তে আজ ঘোষণা করা হবে ফুটবলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১২টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান, যা সরাসরি দেখা যাবে সনি স্পোর্টস টেন ১ চ্যানেলে। চলুন দেখা যাক, এ পুরস্কার কারা দেয়, কীভাবে বেছে নেওয়া হয় বিজয়ীদের—

সেরাদের জন্য ফিফার পুরস্কার আছে, আছে উয়েফারও। কিন্তু ফুটবলে এখনো ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার মনে করা হয় ব্যালন ডি’অরকে। ১৯৫৬ সাল থেকে ফরাসি সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এর পর থেকে গত সাত দশকে এই পুরস্কার নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে, তবে এর আবেদন কমেনি একটুও। এখনকার ফুটবলে এত পুরস্কারের ভিড়েও তাই ব্যালন ডি’অর ফুটবলারদের কাছে সবচেয়ে বেশি কাঙ্ক্ষিত।

কীভাবে শুরু

দুই ফরাসি ক্রীড়া সাংবাদিক—গ্যাব্রিয়েল আনো আর জ্যাক ফেরাঁর মাথায় প্রথমে বছরের সেরা ফুটবলারকে এ রকম একটা পুরস্কার দেওয়ার ভাবনা আসে। দুজনই ছিলেন লেকিপের সাংবাদিক। ফেঁরা আবার ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। শুধু ব্যালন ডি’অরই নয়, এখন যেটা চ্যাম্পিয়নস লিগ, যে টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল ইউরোপিয়ান কাপ নামে, সেটাও এই দুই সাংবাদিকের ভাবনাপ্রসূত। দুজনের ভাবনা বাস্তবায়িত হতে বেশি সময় লাগেনি, ১৯৫৬ সাল থেকে ফ্রান্স ফুটবল বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া শুরু করে।

ফ্রান্স ফুটবলের প্রচ্ছদে ২০০৫ সালের পুরস্কারজয়ী রোনালদিনিও

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ রাতে ব্যালন ডি’অর: কীভাবে বেছে নেওয়া হয় বিজয়ীদের