ঝালকাঠি শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু
Published: 24th, September 2025 GMT
ঝালকাঠি পৌর এলাকায় রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের শীতলাখোলা এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। পরে শহরের পোস্ট অফিস সড়ক, কালিবাড়ী সড়ক, লঞ্চঘাট সড়ক, বড় বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধ দোকানপাট, সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়।
আরো পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে মহাসড়কে ১০০০ স্থাপনা উচ্ছেদ
বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত অভিযানে বাধা, সড়ক অবরোধ
ঝালকাঠি পৌরসভার প্রশাসক কাওছার হোসেন বলেন, “এই শহরের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন অনেক ব্যক্তি। আজ থেকে দখল করা স্থানে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন- ঝালকাঠি পৌরসভার প্রশাসক কাওছার হোসেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান, ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি আল-আমিন তালুকদার।
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদকে রক্ষা করতে গ্রহাণুকে আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা
২০৩২ সালে একটি গ্রহাণু চাঁদে আঘাত হানতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন। এর ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিকে প্রতিহত করার গতানুগতিক পরিকল্পনার পরিবর্তে ভিন্ন পদক্ষেপের কথা ভাবছেন। গ্রহাণুকে আক্রমণের চিন্তা করা হচ্ছে।
২০২৪ ওয়াইআর-৪ নামের গ্রহাণুটি প্রাথমিকভাবে পৃথিবীর জন্য হুমকি হিসেবে আলোচিত হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, চাঁদে আঘাত হানতে পারে বলে গ্রহাণুটি। প্রায় ৬০ মিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও চাঁদে আঘাত করবে। এর ফলে আমাদের গ্রহের জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে চাঁদে যদি এই গ্রহাণু আঘাত হানে, তাহলে মহাকাশে প্রচুর পরিমাণে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়বে। এতে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইট ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) হুমকির মুখে পড়বে। আঘাতের ফলে পৃথিবী থেকে দর্শনীয় উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। তখন উল্কাপিণ্ডের ঝুঁকি তৈরি করবে স্যাটেলাইটের ওপর। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ব্রেন্ট বারবির নেতৃত্বে একটি দল এই বিপদ কমানোর জন্য বিভিন্ন সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছে। গবেষণার ফলাফল একটি প্রি-প্রিন্ট পেপারে প্রকাশিত হয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তন করতে বড় কোনো বস্তু দিয়ে এটির পাশে আঘাত করা উচিত। নাসার মিশন ডার্ট বা ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্টের মতো করে আঘাত করা যায়। ওই মিশনে নাসা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মহাকাশযানকে ডিমরফস গ্রহাণুতে আঘাত করেছিল। তখন ডিমরফসের কক্ষপথ পরিবর্তিত হয়েছিল।
বিজ্ঞানী ব্রেন্ট বারবির দল মনে করে ২০২৪ ওয়াইআর-৪ গ্রহাণুর জন্য বিষয়টা জটিল। গতিপথ পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট সময় হয়তো নেই। গতিপথ পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে উল্টো তা পৃথিবীর দিকে চলে আসার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এই গ্রহাণুটির ভর বা গঠন সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই বলে এমন সংকট তৈরি হচ্ছে।
সময় ও তথ্যের সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা গতিপথ পরিবর্তনের পরিবর্তে এটিকে ধ্বংস করার কথা ভাবছেন। সাইকি বা ওসিরিস-এপেক্সের মতো মিশনকে পুনর্বিবেচনা করে ২০২৮ সালে পৃথিবী ও চাঁদের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় এই গ্রহাণু থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। গবেষকেরা গ্রহাণুটিকে পারমাণবিক বিস্ফোরকের কোনো ডিভাইস দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি কাইনেটিক ডিসরাপশন মিশনের প্রস্তাব দিয়েছেন। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিতে দুটি ১০০ কিলোটনের পারমাণবিক ডিভাইস পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন। ডিভাইসটি এমন এক বিস্ফোরণ ঘটাবে, যা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। গ্রহাণুকে আক্রমণের বিষয়ের গবেষণাটি জার্নাল অফ দ্য অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সায়েন্সেসে জমা দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি