ভিয়েতনামে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বুয়ালই
Published: 28th, September 2025 GMT
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুয়ালই ভিয়েতনামে আঘাত হানতে যাচ্ছে। পূর্বসতর্কতা হিসেবে রবিবার দেশটি তার বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।
গ্রিনিচ মান সময় অনুযায়ী, সকাল ১০টায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। সোমবার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য ভিয়েতনামে আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা জানিয়েছে, “এটি একটি দ্রুতগতির ঝড় - গড়ের প্রায় দ্বিগুণ গতিতে এটি বিস্তৃত এলাকাজুড়ে প্রভাব ফেলবে। এটি একই সাথে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটাতে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস এবং উপকূলীয় প্লাবন।”
সংস্থাটি জানিয়েছে, ১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর ও মধ্য প্রদেশগুলিতে ৬০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে, নদীর পানি ৯ মিটার বৃদ্ধি পাবে এবং বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি থাকবে।
সরকার জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হা তিনের কর্তৃপক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে এবং হাজার হাজার সেনা প্রস্তুত রয়েছে।
৪১ বছর বয়সী বাসিন্দা বুই থি টুয়েট বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই এই বছর সাম্প্রতিক টাইফুন কাজিকির ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি এবং এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। গত ২০ বছর ধরে এখানে বসবাস করেও, ঝড়ের কারণে আমি এতটা আতঙ্কিত বোধ করিনি।”
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিয়েতনাম রবিবার থেকে দা নাং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ চারটি উপকূলীয় বিমানবন্দরে কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
নিউজ সাইট ভিএনএক্সপ্রেস অনুসারে, ঝড় আঘাত হানতে পারে এমন এলাকার স্কুলগুলো সোমবার বন্ধ থাকবে, প্রয়োজনে বন্ধের সময় বাড়ানো হতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী