বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে। মোট ২ হাজার ২৪৭ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাডার ১ হাজার ৪১৬ জন, সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডার ৮৩১ জন।

পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।

মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি
১২ অক্টোবর (রবিবার) সাধারণ ক্যাডার  ২২৫ জন। ১৩ অক্টোবর (সোমবার) সাধারণ ক্যাডার ২২৫ জন। ১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সাধারণ ক্যাডার ৭৫ জন, সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত ১৫০ জন। ১৫ অক্টোবর (বুধবার) সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত ২২৫ জন। ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত ২২৪ জন। ১৯ অক্টোবর (রবিবার) সাধারণ ক্যাডার ২২৫ জন। ২০ অক্টোবর (সোমবার) সাধারণ ক্যাডার ২১৬ জন। ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সাধারণ ক্যাডার ২৩২ জন। ২২ অক্টোবর (বুধবার) সাধারণ ক্যাডার  ২২৫ জন। ২৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সাধারণ ক্যাডার ২২৫ জন। প্রার্থীদের জন্য নির্দেশনা: বিপিএসসি ফরম-১ পূরণ করে আনতে হবে (কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড)।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে, যেমন: শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, বয়স প্রমাণের সনদ, বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন সনদ (যথাযথ ক্ষেত্রে), সত্যায়িত ছবি। বিপিএসসি ফরম-৩ অনলাইনে পূরণ করে এর ২ কপি বোর্ডে জমা দিতে হবে।

মৌখিক পরীক্ষার অন্তত ৩০ মিনিট আগে উপস্থিত থাকতে হবে। 

ঢাকা/এএএম/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম খ ক পর ক ষ র প শ গত

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ