Risingbd:
2025-11-17@10:46:20 GMT

বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি চান শারমিন

Published: 30th, September 2025 GMT

বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি চান শারমিন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রান রেটে পেছনে ফেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পেরিয়ে বাংলাদেশ মূল আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাছাই পর্বে বাংলাদেশের সেরা ছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা।

৫ ম্যাচে করেছিলেন ২৬৬ রান। যেখানে থাইল্যান্ডের সাথে ৯৪ রানের অপরাজিত ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন। বাছাই পর্বের টুর্নামেন্টের সেরা দলেও ছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান।

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম নারী আম্পায়ার জেসি

পাকিস্তান নারীদের বিশ্বকাপের দল ঘোষণা, জায়গা পেলেন নতুন মুখ

বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার পর গত বছরের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন শারমিন। ভালো ব্যাটিং করলেও তিন অঙ্ক ছোঁয়া হচ্ছিল না তার। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেই অপেক্ষা ফুরাতে চান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান এখনও বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পাননি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শারমিন গড়তে চান ইতিহাস, “আমার প্রথম সেঞ্চুরির জন্য আমাকে আরো কিছুটা চাপ নিতে হবে এবং বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করাটা দারুণ হবে। আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করছি। এবং আমি যে ভুল করেছি, আউট হয়েছি এবং সেখান থেকে শিখেছি, সেগুলো থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। আমি আমার দলের জন্য এটা (সেঞ্চুরি) করতে চাই।”

“আমি শুধু ভালো করার চেষ্টা করছি এবং যদি আমি ভালো করতে পারি, তাহলে আমার দলও ভালো করবে, কিন্তু যদি আমি সেঞ্চুরি করি, তাহলে সেটা আমার জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

তিন বছর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলে। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারাতে পারে। সেই থেকে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতে। বড় মঞ্চে মাঠে নামার আগে পুরনো সাফল্য থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন শারমিন, “অবশ্যই, ভালো স্মৃতি আপনাকে ইতিবাচক মনোভাব দিতে পারে এবং এর থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পাই। গত বিশ্বকাপে, কিছু ম্যাচ আমরা সত্যিই ভালো খেলেছিলাম কিন্তু হেরেছিলাম, যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। গতবার, শ্রীলঙ্কা খেলছিল না, এবার খেলছে এবং আমরা সব সময় তাদের সাথে ভালো লড়াই করেছি।”

দলের সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সেও নজর শারমিনের, “গত দুই বা তিনটি সিরিজে, আমার কিছু অসাধারণ সময় কেটেছে, এবং আমি আমার দলের জন্য এভাবেই অবদান রাখতে চাই। আমি কেবল একই কাজ করার চেষ্টা করছি যা আমি করে আসছি এবং কেবল প্রক্রিয়াটি বজায় রাখার চেষ্টা করছি।”

দলের ৮ ক্রিকেটার দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন। সাথে আছেন প্রতিশ্রুতিশীল কিছু খেলোয়াড়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো কিছুর আশায় শারমিন, “প্রথম বিশ্বকাপের আট জন এবারও আছে। অভিজ্ঞতা সবসময় গণনা করা হয়। কিন্তু আমাদের নতুন সদস্যও আছে। এবং আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের জন্য একটি চমৎকার সমন্বয়। সিনিয়ররা আমাদের অভিজ্ঞতা দিতে পারে, কিন্তু জুনিয়ররা আমাদের শক্তি দেয়, এবং সামগ্রিকভাবে এটি দারুণ কিছু হবে।”

ঢাকা/ইয়াসিন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ট ট য় ন ট ব শ বক প ব শ বক প র র প রথম র জন য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ