ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রান রেটে পেছনে ফেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পেরিয়ে বাংলাদেশ মূল আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাছাই পর্বে বাংলাদেশের সেরা ছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা।
৫ ম্যাচে করেছিলেন ২৬৬ রান। যেখানে থাইল্যান্ডের সাথে ৯৪ রানের অপরাজিত ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন। বাছাই পর্বের টুর্নামেন্টের সেরা দলেও ছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান।
আরো পড়ুন:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম নারী আম্পায়ার জেসি
পাকিস্তান নারীদের বিশ্বকাপের দল ঘোষণা, জায়গা পেলেন নতুন মুখ
বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়ার পর গত বছরের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন শারমিন। ভালো ব্যাটিং করলেও তিন অঙ্ক ছোঁয়া হচ্ছিল না তার। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেই অপেক্ষা ফুরাতে চান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান এখনও বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পাননি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শারমিন গড়তে চান ইতিহাস, “আমার প্রথম সেঞ্চুরির জন্য আমাকে আরো কিছুটা চাপ নিতে হবে এবং বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করাটা দারুণ হবে। আমি আমার সেরাটা চেষ্টা করছি। এবং আমি যে ভুল করেছি, আউট হয়েছি এবং সেখান থেকে শিখেছি, সেগুলো থেকে শিক্ষা নিচ্ছি। আমি আমার দলের জন্য এটা (সেঞ্চুরি) করতে চাই।”
“আমি শুধু ভালো করার চেষ্টা করছি এবং যদি আমি ভালো করতে পারি, তাহলে আমার দলও ভালো করবে, কিন্তু যদি আমি সেঞ্চুরি করি, তাহলে সেটা আমার জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তিন বছর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলে। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারাতে পারে। সেই থেকে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতে। বড় মঞ্চে মাঠে নামার আগে পুরনো সাফল্য থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন শারমিন, “অবশ্যই, ভালো স্মৃতি আপনাকে ইতিবাচক মনোভাব দিতে পারে এবং এর থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস পাই। গত বিশ্বকাপে, কিছু ম্যাচ আমরা সত্যিই ভালো খেলেছিলাম কিন্তু হেরেছিলাম, যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। গতবার, শ্রীলঙ্কা খেলছিল না, এবার খেলছে এবং আমরা সব সময় তাদের সাথে ভালো লড়াই করেছি।”
দলের সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সেও নজর শারমিনের, “গত দুই বা তিনটি সিরিজে, আমার কিছু অসাধারণ সময় কেটেছে, এবং আমি আমার দলের জন্য এভাবেই অবদান রাখতে চাই। আমি কেবল একই কাজ করার চেষ্টা করছি যা আমি করে আসছি এবং কেবল প্রক্রিয়াটি বজায় রাখার চেষ্টা করছি।”
দলের ৮ ক্রিকেটার দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন। সাথে আছেন প্রতিশ্রুতিশীল কিছু খেলোয়াড়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো কিছুর আশায় শারমিন, “প্রথম বিশ্বকাপের আট জন এবারও আছে। অভিজ্ঞতা সবসময় গণনা করা হয়। কিন্তু আমাদের নতুন সদস্যও আছে। এবং আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের জন্য একটি চমৎকার সমন্বয়। সিনিয়ররা আমাদের অভিজ্ঞতা দিতে পারে, কিন্তু জুনিয়ররা আমাদের শক্তি দেয়, এবং সামগ্রিকভাবে এটি দারুণ কিছু হবে।”
ঢাকা/ইয়াসিন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ট ট য় ন ট ব শ বক প ব শ বক প র র প রথম র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।
পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।
ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি এখন সারানো হয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।
ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’
ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।
আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে