Risingbd:
2025-11-17@10:46:32 GMT

আজ থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি শুরু

Published: 1st, October 2025 GMT

আজ থেকে টানা ৪ দিনের ছুটি শুরু

শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে ঘিরে আজ বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টানা চার দিনের ছুটি। এ ছুটি চলবে শনিবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত। ছুটি শেষে আগামী রবিবার (৫ অক্টোবর) থেকে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হবে।

এই সময়ের মধ্যে ১ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে ছুটি, ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি এবং ৩ ও ৪ অক্টোবর যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। তবে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকবে বলে সেখানে কর্মরতরা তিন দিনের ছুটি উপভোগ করবেন।

আরো পড়ুন:

আজ মহানবমী, ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবী দুর্গার

দুর্গাপূজা মানবিক মূল্যবোধের বার্তা বহন করে: খাদ্য উপদেষ্টা

জরুরি সেবা যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, ডাক সেবা এবং হাসপাতাল ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কার্যক্রম এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। এসব খাতে কর্মরতরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমও এই চার দিন বন্ধ থাকবে। আগামী রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন পুনরায় শুরু হবে।

উল্লেখ্য, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ২৬ সেপ্টেম্বর থেকেই ছুটিতে রয়েছে।

ঢাকা/এএএম/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ