বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনে কারা আসবেন? পরবর্তী বোর্ড সভাপতি কে হবেন? নির্বাচনকে ঘিরে কোট-কাচারি, মনোনয়ন উত্তোলন, জমা, বৈধতা, বাতিল, প্রত্যাহার, চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা...এসব নিয়েই এখন ক্রিকেটের দিন-যাপন। 

ক্রিকেট বোর্ডের বিশাল ক্যানভাসে ক্রিকেটটা বাদে সবই হচ্ছে৷ অথচ আজ বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মিশন শুরু হচ্ছে। খেলা তো বাদ-ই, আলোচনাটাই থমকে গেছে বিসিবি নির্বাচনের ডামাডোলে৷ 

এতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সদস্যরা নিজেদেরকে একটু দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। চাইলে ২২ বাজে সেই জবাবটা দিয়েও দিতে পারেন। সেই লড়াইয়ে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কলম্বোতে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। 

এই আসরে দ্বিতীয়বারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তিন বছর আগে প্রথম আসরে গ্রুপ পর্ব-এ একটি জয় কেবল তুলে আনতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেই জয়টা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয় বাংলাদেশ বেশি খুশি।

‘’হ্যাঁ, আমার মনে হয়, আমাদের জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা ভালো কারণ আমরা অনেক দিন ধরে একসাথে খেলেছি এবং আমরা একে অপরকে চিনি। আর দেখুন, আমরা তাদের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারে খেলেছি এবং দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খেলেছি। তাই, এটি একটি ভালো প্রতিযোগিতা হতে পারে।’’

নিজেদের প্রথমত প্রথম ম্যাচ নিয়ে অধিনায়ক বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘’আমার মনে হয় এরপর অনেক কিছু বদলে যাবে। এটি একটি নতুন দিন। আমাদের জন্য টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ। এটি পুরো টুর্নামেন্টের জন্য একটি ভালো পরিবেশ তৈরি করবে এবং বাকি খেলাগুলোতে খেলার জন্য আমাদের আরও আত্মবিশ্বাস দেবে।’’

গত আসরের সুখস্মৃতি সঙ্গী করে জয় দিয়ে শুরু করতে চায় জ্যোতির দল। খেলা শুরু বিকেল সাড়ে তিনটায়। গত পাঁচ মাসে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে গেছেন জ্যোতিরা। লম্বা সময় ধরে অবশ্য প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছেন। সেটিকেই এখন ভরসা মানছেন অধিনায়ক।

‘’আমরা আমাদের মানসিক অবস্থার উপর কঠোর পরিশ্রম করেছি কারণ আমরা সবাই জানি যে, এখানে আমাদের ম্যাচ জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে, কিন্তু আসল কথা হলো আমাদের শুধু বিশ্বাস করতে হবে।’’

‘’বাছাইপর্বের পর কয়েক মাস ধরে আমরা নিজেদের খুব ভালোভাবে প্রস্তুত করছি এবং আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। বিশেষ করে আমাদের শারীরিক শক্তির উপরও কাজ করেছি।’’

ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা থাকলেও এইবার ভালো কিছু হবে বলে বিশ্বাস করেন জ্যোতি, ‘’অনেক দিন ধরেই, ব্যাটিং আমাদের প্রধান চিন্তার বিষয় ছিল। আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে পারফর্ম করতে পারিনি। এবার আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে খুব বেশি পরিশ্রম করছি এবং আমরা আসলে নিজেদের কথা দিয়েছি যে পারফর্ম করবোই। যদি আমরা খেলা জিততে চাই, তাহলে আমাদের স্কোরবোর্ডে কিছু রান রাখতে হবে।’’

ঢাকা/ ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ