সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম। আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী মোড়ে সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ২০১৬ ও ২০২১ সালের সংঘর্ষে ১৬ জনের হত্যার মূলহোতা দাবি করে জামিন নামঞ্জুর এবং সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে এনে বিচারের দাবি জানানো হয়।

আজ সকাল ১০টা থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীসহ জেলার বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টার দিকে হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাউতলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মোবারকুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আলী আজম কাসেমী, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ ভূঁইয়া, যুববিষয়ক সম্পাদক জুনায়েদ কাসেমী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক উবায়দুল্লাহ মাদানী, দপ্তর সম্পাদক বেল্লাল হোসেন, জেলা এনসিপির যুগ্ম-সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল জিহান মাহমুদ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলেম-ওলামাদের পূণ্যভূমি। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আলেম-ওলামাদের রক্ত ঝরিয়েছেন। ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শত বছরের বেশি পুরোনা জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও পুলিশে নেতৃত্বে হামলা হয়। হামলায় সে সময় মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ মাদুসুর রহমানকে হত্যা করা হয়। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। সে সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে ১৫ জন নিহত হন।

এসব আন্দোলনে মোকতাদির চৌধুরীর প্রত্যক্ষ মদদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এতে ১৬টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের দায়ে মোকতাদির চৌধুরীকে ফাঁসি দিতে হবে। ১৬ জন ছাত্র জনতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করার নেতৃত্বদানকারী ও ফ্যাসিস্ট আমলের বহু অপকর্মের মূলহোতা মোকতাদির চৌধুরীর সব ধরনের জামিন নামঞ্জুরসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে এনে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে হাজির করে দ্রুত বিচার কাজ শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।

বক্তারা আরও বলেন, ২০২৪‍–এর গণ–অভ্যুত্থানে নেতা–কর্মীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেমদের ওপর অত্যাচারের বিচার করতে হবে।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৬টি হত্যাসহ অন্তত ৯টি মামলা হয়েছে। গত বছরের ৩১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় য় ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

যেসব কারণে ভূমিকম্প হয়

পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের নিচের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘পৃথিবী কয়েকটি বিশাল টেকটোনিক প্লেট দিয়ে গঠিত, যা পৃথিবীর ম্যান্টলের বা ভূ-পৃষ্ঠের নিচের উত্তপ্ত, সান্দ্র স্তর-এর উপর ভাসছে। এই প্লেটগুলো একে অপরের সাথে ক্রমাগত নড়াচড়া করে, ধাক্কা খায়। অথবা একে অপরের পাশ দিয়ে সরে যায়। এই গতিবিধির কারণে প্লেটের প্রান্ত বা চ্যুতি রেখা বরাবর শক্তি জমা হতে থাকে।যখন প্লেটগুলোর মধ্যে জমা হওয়া শক্তি হঠাৎ করে মুক্ত হয়, তখন পৃথিবী কেঁপে ওঠে। এই কম্পনই হলো ভূমিকম্প।

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

আরো পড়ুন:

শীতকালে জলপাই কেন খাবেন?

ট্রয় নগরী যেভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো

আগ্নেয়গিরি থেকে ম্যাগমা (ভূগর্ভস্থ গলিত শিলা) বেরিয়ে আসার সময় সৃষ্ট চাপ ও বিস্ফোরণের ফলেও স্থানীয়ভাবে ভূমিকম্প হতে পারে।

মানবসৃষ্ট কারণ

কখনও কখনও, বড় বাঁধ নির্মাণ, খনির কাজ, বা ভূগর্ভে বর্জ্য  ও পানি প্রবেশ করানোর মতো মানবিক কার্যক্রমের ফলেও ছোট আকারের ভূমিকম্প হতে পারে। 

সহজ কথায়, প্লেটগুলোর মধ্যে ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট চাপের আকস্মিক মুক্তিই হলো ভূমিকম্পের মূল কারণ। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ