মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যৌথভাবে গঠিত হচ্ছে সৌদি আরব–বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এসএবিসিসিআই)। এর গ্র্যান্ড লঞ্চিং উপলক্ষে ঢাকায় আগামীকাল সোমবার (৬ অক্টোবর) সৌদি আরব- বাংলাদেশ বিজনেস সামিট শুরু হবে। চলবে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। 

রাজধানীর হোটেল শেরাটনে এ সামিট হবে। এতে অংশ নেবেন দুই দেশের ব্যবসায়ী, ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা, নীতিনির্ধারক, অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা।

রবিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন এসএবিসিসিআইর সভাপতি আশরাফুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সহ-সভাপতি ও গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী এবং সিটি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজবাউল আসিফ সিদ্দিকী।

আশরাফুল হক চৌধুরী বলেছেন,“সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক নির্মাণে এ যৌথ উদ্যোগ সময়ের দাবি। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, কৃষিজাত ও আইটি পণ্য, ডিজিটাল ফাইন্যান্স ও পাটজাত পণ্য সৌদি বাজারে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করছে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন সৌদি আরবে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশেষ করে, পেট্রোকেমিক্যাল, ইস্পাত, কৃষিশিল্প, গ্রিন টেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি এবং সেমিকন্ডাক্টর খাতে উভয় দেশের সহযোগিতার সম্ভাবনা বিশাল।”

আশরাফুল হক চৌধুরী আরো বলেন, “দেশের কল্যাণে আমরা এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছি। সাংবাদিক বন্ধুরা এ যাত্রায় আমাদের সহযোগী। আপনাদের সহযোগিতা ও সহানুভূতি কামনা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বিজনেস সামিটে সৌদি আরবের ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন মাজদ আল উমরান গ্রুপের মালিক শেখ ওমর আব্দুলহাফিজ আমির বকশ।

এসএবিসিসিআইর সহ-সভাপতি আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করবে এসএবিসিসিআই। এর পাশাপাশি, সৌদি আরবে থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিকাশেও কাজ করতে চাই আমরা।  

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী বলেন, জনশক্তিকে একটু দক্ষ ও শিক্ষিত করে পাঠাতে পারলে রপ্তানি আরো বাড়বে। পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে।

সিটি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজবাউল আসিফ সিদ্দিকী বলেন, আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেনে যুক্ত। তবে, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের ব্যাংকগুলো বিভিন্ন দেশে শাখা খুলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। আমরাও সে পর্যায়ে যেতে চাই। এজন্য আমাদের দরকার বিদেশি বিনিয়োগ।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় র ব যবস আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বুটিক, ব্র্যান্ডের পোশাক, জিলাপি, সুশি কী নেই বনানীর এই রাস্তায়

ফুটপাতঘেঁষা সুন্দর, পরিপাটি দোকান। সাইনবোর্ডে নাম লেখা ‘প্যাঁচঘর’। এখানে বেশ জনপ্রিয় একটি প্যাঁচানো জিনিস বিক্রি হয়। সেটি হলো জিলাপি। বনানীর ১১ নম্বর সড়কের পশ্চিম পাশের প্রবেশমুখের পাশেই এই প্যাঁচঘর।

জিলাপির প্যাঁচ আর সঙ্গে কলিজার শিঙাড়া দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারতে এসেছিলেন মারুফ হোসেন ও মেহেদি হাসান। সম্প্রতি এক দুপুরে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তাঁরা এখানে এসেছিলেন মূলত সৌদি আরবে কাজে যাওয়ার জন্য এক জনশক্তি রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতে। বাড়ি চাঁদপুরে। জিলাপির দোকানটি যে ভবনের নিচের তলায়, সেটির নাম নন্দন ম্যানশন। এখানে বিভিন্ন তলায় বেশ কয়েকটি জনশক্তি রপ্তানিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আরও অনেক রকমের বাণিজ্যিক অফিস আছে। তাদের কর্মচারী আর কাজে আসা লোকজন এখানে খাবারের দোকানে খেতে আসেন। জিলাপি-শিঙাড়া ছাড়াও আছে ‘তেহারি ঘর’। সেখানেও দুপুরে খাসির তেহারি, মোরগ-পোলাও, কাচ্চির স্বাদ নিতে দেখা গেল অনেকেই। তবে বিক্রেতাদের তেমন সন্তুষ্ট মনে হলো না। প্যাঁচঘরের ব্যবস্থাপক সোহাগ হোসেন ও তেহারি ঘরের আকিল ইসলাম বললেন, খদ্দের ইদানীং বেশ কম। আগে পশ্চিম দিকের বিমানবন্দর সড়ক থেকে সরাসরি ১১ নম্বর সড়কে প্রবেশ করা যেত। সেটি বন্ধ করে দেওয়ায় লোকসমাগম কমে গেছে।

জিলাপির প্যাঁচ আর সঙ্গে কলিজার শিঙাড়া দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারতে এসেছিলেন মারুফ হোসেন ও মেহেদি হাসান। সম্প্রতি এক দুপুরে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তাঁরা এখানে এসেছিলেন মূলত সৌদি আরবে কাজে যাওয়ার জন্য এক জনশক্তি রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিতে।

বনানীর এই ১১ নম্বর সড়কটি জিলাপি, ফুচকা, তেহারি থেকে শুরু করে জাপানি সুশি, ইতালির পিৎজা, আমেরিকান বার্গার থেকে থাই চায়নিজ অবধি বিস্তর খাবারের দোকানে ভরা। সঙ্গে আছে দেশের জনপ্রিয় বুটিক শপ থেকে পোশাক-আশাকের নামকরা অনেক বিদেশি ব্র্যান্ডের শোরুম। এক সড়কে কেনাকাটা আর খাবারের আয়োজনের জন্য রাজধানীর অভিজাত এলাকাটি অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে।

পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে বনানীর পত্তন হয়েছিল ১৯৭০ সালে। এরপর থেকে আবাসনের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, রসনাবিলাসের আয়োজনসহ নানা নাগরিক সুবিধা এখানে যুক্ত হতে থাকে। প্রশস্ত সড়কের পাশ দিয়ে নির্মিত হয়েছে সারি সারি আধুনিক স্থাপত্যরীতির বহুতল ভবন। ২০০০ সাল থেকে বনানীতে অনেক রকমের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে থাকে। এখানে ১১ নম্বর সড়কটি পশ্চিমে বিমানবন্দর সড়ক থেকে শুরু হয়ে পূর্ব দিকে লেকের কাছে সেতু পর্যন্ত প্রসারিত। প্রশস্ত সড়কটির দুই পাশে ২০১০ সাল থেকেই একটি দুটি করে দেশি বুটিকগুলোর বিক্রয়কেন্দ্র খুলতে থাকে। দিন দিন পোশাক-আশাকের দোকান যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ।

এখানে দেশি-বিদেশি হরেক রকম খাবারের সম্ভার নিয়ে আছে পিৎজা হাট, কেএফসি, হারফি, সুশি, বিএসফি, কফি ওয়ার্ল্ড, শিঙাড়াওয়ালা, আমেরিকান বার্গার, বার্গার কিং, টেরা ব্রিস্টো, হটকেক, ট্রাইব, বোহো, ফুচকাওয়ালীসহ শ খানেক ছোট-বড় ভোজনালয়।

মুখরোচক খাবারের দোকানও পাওয়া যাবে বনানীর এই সড়কে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৌদি-বাংলাদেশ চেম্বারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু মঙ্গলবার, হবে ব্যবসা সম্মেলন
  • বুটিক, ব্র্যান্ডের পোশাক, জিলাপি, সুশি কী নেই বনানীর এই রাস্তায়
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথে যারা অন্তরায়, তাদের সঙ্গে ঐক্য নয়: মামুনুল হক