জ্বর হলেই নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরীক্ষায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

আজ রোববার ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক মঈনুল আহসান গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ অনুরোধ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ এক দিনে ডেঙ্গু রোগে ৯ জনের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৯ জনের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তির দিনই মারা গেছেন। মূলত হাসপাতালে আসতে দেরি হওয়ায় ডেঙ্গু রোগ জটিল আকার ধারণ করেছিল। এ কারণে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল না। বাকি ২ জনের ১ জনও ভর্তির পরদিনই মারা যান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, দেরিতে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হওয়ায় জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায সব জ্বরের রোগীকে জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর অনুরোধ করা হচ্ছে।

ডেঙ্গু চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট, স্যালাইন ও ওষুধ মজুত আছে। তবে মৃত্যু কমানোর জন্য একই সঙ্গে দ্রুত ডেঙ্গু শনাক্তকরণ, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া এবং মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কার্যকর হওয়া প্রয়োজন।

ডেঙ্গুতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত) নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময় এক দিনে চলতি বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যায় রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে নয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। এটি ছিল এ বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু। আজ আবার নয়জন মারা গেলেন।

আরও পড়ুনডেঙ্গুতে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু, সর্বোচ্চ সংক্রমণ১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জন র ম ত য ৯ জন র ম পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের ১৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ নয়জন আটক

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিয়ের ১৭ দিন পর এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম পপি বেগম ওরফে রাশেদা (১৮)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত পপি বেগম রেহেনিয়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনের মেয়ে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর সঙ্গে উপজেলার চর বগুড়া গ্রামের মোহাম্মদ রুবেলের (২৬) বিয়ে হয়। গতকাল শনিবার সকালে রুবেলের পরিবারের লোকজন প্রতিবেশীদের জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে পপি বেগমের মৃত্যু হয়েছে। পপির পরিবারকেও একই কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে পপির লাশ বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে পরিবারের সদস্যরা লক্ষ করেন তাঁর শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন তাঁরা। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় নয়জনকে আটক করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে নোয়াখালী সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত গৃহবধূর শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। ওসি আরও বলেন, আটক ব্যক্তিদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় আটকে রাখা যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
  • ডেঙ্গুতে একদিনে ৯ জনের মৃত্যু, সর্বোচ্চ সংক্রমণ
  • বিয়ের ১৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ নয়জন আটক