পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার লামিয়া বেগম (২২) নামে এক নারী একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল ডায়াবেটিক হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নবজাতকের জন্ম দেন তিনি। 

লামিয়া উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের সিংগাখালী বাহেরচর গ্রামের সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

নরসিংদীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে প্রসব বেদনা উঠলে লামিয়া বেগমকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক ডা.

মশিউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সফলভাবে প্রসব সম্পন্ন হয়। মা ও নবজাতকরা বর্তমানে সুস্থ আছেন।

ডা. মশিউর রহমান বলেন, ‘‘একসঙ্গে পাঁচ শিশুর জন্ম বিরল ঘটনা। তবে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্যও আনন্দের খবর।’’ 

লামিয়া বেগমের চাচা রাফসান আলম রিজন বলেন, ‘‘আমরা আল্লাহর অশেষ রহমতে খুবই খুশি। একসঙ্গে পাঁচটি সন্তানের জন্ম আমাদের পরিবারের জন্য অনন্য আশীর্বাদ। প্রথমে সবাই একটু ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু আল্লাহর কৃপায় মা ও পাঁচ নবজাতকই সুস্থ আছে।’’  

ঢাকা/ইমরান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর একসঙ গ র জন ম ন র জন

এছাড়াও পড়ুন:

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্বমহলকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বমহলকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের লালিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রস্তুত।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লিখেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফরের সাফল্যগুলো তুলে ধরে দেওয়া ওই পোস্টে প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং গণতন্ত্র, মানবিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।

শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে তিন রাজনৈতিক দলের ছয় প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কৌশলগত বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস উচ্চপর্যায়ের একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক অংশীদারত্ব জোরদার ও যৌথ অগ্রাধিকারের প্রসারে ভূমিকা রাখে।

শফিকুল আলম জানান, ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য, জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পায়।

প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা এবং আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ ছাড়া অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতের সঙ্গেও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভূমিকা উঠে আসে।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে তিন রাজনৈতিক দলের ছয় প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’

রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংকট যেন বৈশ্বিক মনোযোগ থেকে হারিয়ে না যায় সে আহ্বান জানান। প্রেস সচিব জানান, এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।

শফিকুল আলম আরও বলেন, জবাবদিহি ও উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের অগ্রগতির একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনা করতে। এ অনুরোধ ঢাকার অর্থনৈতিক যাত্রাপথে আস্থা ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক মূল্যায়নের প্রতি উন্মুক্ততা প্রকাশ করে।

প্রেস সচিব জানান, জাতিসংঘ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থান ও শ্রমশক্তি রপ্তানির নতুন সুযোগও উন্মোচিত হয়। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে সম্ভাবনা খোঁজা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুযোগ প্রবাসী আয় বাড়াতে এবং নতুন অংশীদার দেশের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রেখাকে বিয়ে! আরও যেসব তারকার সঙ্গে ইমরান খানের প্রেমের গুঞ্জন
  • ফ্রিডল ফ্লোটিলার সব নৌযান একসঙ্গে গাজার পথে এগোচ্ছে: ফেসবুকে শহিদুল আলম
  • অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্বমহলকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • তামিমকে নিয়ে আফসোস বাকি প্রার্থীদেরও