মতলবে মাদক বিক্রয় ও সেবন করায় ৩ জনকে জেল-জরিমানা
Published: 7th, October 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নগদ ৬৫ হাজার টাকা, ৬০ পিচ ইয়াবা ও ১২০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) উপজেলার ভাঙ্গারপাড় ও তাঁতখানা গোদারাঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ মোবাইল কোর্টটি পরিচালনা করা হয়।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে ইউপি সদস্যের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল
তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক বাতিলের দাবি বিএইচআরএফএর
আটকদের মধ্যে মতলব পৌরসভার ভাঙারপাড় এলাকার মো.
এ সময় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
মতলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, “আমাদের সচেতন হতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে এবং মাদক নির্মূলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মাদককে না বলে জীবনের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালেহ আহাম্মদ।
ঢাকা/অমরেশ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুকুরে হাবুডুবু খাচ্ছিল দুই শিশু, স্বজনদের তৎপরতায় রক্ষা
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার আঁচলছিলা গ্রামে পুকুরের পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিল দুই শিশু। এ সময় স্বজনেরা দেখতে পেয়ে দুজনকেই দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার পর তারা অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে।
আজ রোববার বেলা একটার দিকে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায় ইকরা (১৯ মাস) ও মো. ইয়ামিন (২)। ইকরা উপজেলার মিরামা গ্রামের জিশান তালুকদার ও কুলসুমা বেগমের মেয়ে। মো. ইয়ামিন উপজেলার আঁচলছিলা গ্রামের কাশেম কাজীর ছেলে। দুজন মামাতো ভাই–বোন।
ইকরার মা কুলসুমা বেগম জানান, তিনি গতকাল শনিবার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আজ দুপুরে ইকরা ও ভাইয়ের ছেলে ইয়ামিন উঠানে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর তাদের দেখতে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে পুকুরপাড়ে গিয়ে দেখতে পান, দুজনই পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। দেরি না করে তিনি পুকুরে নেমে তাদের উদ্ধার করেন। পরে স্বজনদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসা শেষে দুজনই অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে।
কুলসুমা বেগম বলেন, ‘পানিতে পড়নের এট্টু পর পুকুরপাড়ে গেছিলাম। এলিগা তাগো বাঁচানো গেল। মরতে মরতেই বাঁইচা গেল তারা। হায়াত-মউত উপরওয়ালার হাতে। রাখে আল্লায় মারে কে।’
মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজীব কিশোর বণিক বলেন, শিশু দুটি এখন শঙ্কামুক্ত। মা–বাবা ও স্বজনেরা একটু সচেতন থাকলে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।