Risingbd:
2025-10-07@16:54:19 GMT

চাঁদপুরে বাস খাদে পড়ে আহত-১১

Published: 7th, October 2025 GMT

চাঁদপুরে বাস খাদে পড়ে আহত-১১

চাঁদপুরে চলাচলকারী জৈনপুর এক্সপ্রেসের একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মতলব-গৌরীপুর সড়কের ঘিলাতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাকবলিত ওই বাসুটি চলাচলের অনুপযোগী বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

মেঘনা নদীতে পুলিশের ওপর চাঁদাবাজদের হামলা, আহত ৫

মাদারীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

স্থানীয়রা জানান, মতলবের এই রাস্তাগুলোতে চলাচলের ফুটপাথ নেই। তার ওপর ভয়ানক বাঁক হওয়ায় মোড়গুলোতে এ পাশে থেকে ওই পাশের কোনো যানবাহন দেখা যায় না। এসব ঝুঁকি নিয়েই নিয়মিত রাস্তায় চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। তার মধ্যে প্রায়ই এসব জৈনপুরী বাস রাস্তার ওপরেই পার্কিং করে রাখে মালিকরা। ফলে মাঝেমধ্যেই এ রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে জৈনপুরী পরিবহনের বাস বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা।

আল আমিন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জৈনপুর এক্সপ্রেস বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে ১১ জন যাত্রী আহত হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও তার সহকারী পালিয়েছে। আহতরা স্থানীয়দের সহায়তায় ছোট যানবাহনে উঠে চিকিৎসা নিতে চলে গেছে।

কয়দিন পরপর এমন দুর্ঘটনা এবং অদক্ষ চালক ও সহকারীর বিষয়ে জৈনপুর এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষের কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো.

ইউসুফ বলেন, “খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। তবে বাস এখনো খাদেই পড়ে রয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলাচল অব্যাহত রয়েছে।”

ঢাকা/অমরেশ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পুকুরে হাবুডুবু খাচ্ছিল দুই শিশু, স্বজনদের তৎপরতায় রক্ষা

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার আঁচলছিলা গ্রামে পুকুরের পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিল দুই শিশু। এ সময় স্বজনেরা দেখতে পেয়ে দুজনকেই দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসার পর তারা অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে।

আজ রোববার বেলা একটার দিকে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায় ইকরা (১৯ মাস) ও মো. ইয়ামিন (২)। ইকরা উপজেলার মিরামা গ্রামের জিশান তালুকদার ও কুলসুমা বেগমের মেয়ে। মো. ইয়ামিন উপজেলার আঁচলছিলা গ্রামের কাশেম কাজীর ছেলে। দুজন মামাতো ভাই–বোন।

ইকরার মা কুলসুমা বেগম জানান, তিনি গতকাল শনিবার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আজ দুপুরে ইকরা ও ভাইয়ের ছেলে ইয়ামিন উঠানে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর তাদের দেখতে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে পুকুরপাড়ে গিয়ে দেখতে পান, দুজনই পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। দেরি না করে তিনি পুকুরে নেমে তাদের উদ্ধার করেন। পরে স্বজনদের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসা শেষে দুজনই অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠে।

কুলসুমা বেগম বলেন, ‘পানিতে পড়নের এট্টু পর পুকুরপাড়ে গেছিলাম। এলিগা তাগো বাঁচানো গেল। মরতে মরতেই বাঁইচা গেল তারা। হায়াত-মউত উপরওয়ালার হাতে। রাখে আল্লায় মারে কে।’

মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজীব কিশোর বণিক বলেন, শিশু দুটি এখন শঙ্কামুক্ত। মা–বাবা ও স্বজনেরা একটু সচেতন থাকলে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মতলবে মাদক বিক্রয় ও সেবন করায় ৩ জনকে জেল-জরিমানা
  • পুকুরে হাবুডুবু খাচ্ছিল দুই শিশু, স্বজনদের তৎপরতায় রক্ষা