সরেজমিনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুসন্ধান কমিটি, আরেক উপজেলায় উপসর্গের রোগী
Published: 7th, October 2025 GMT
রংপুর ও গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের উৎস ও পরিস্থিতি মূল্যায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আজ মঙ্গলবার রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত খামারি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুরের পর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা গেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আজ ওই দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গতকাল সোমবার রংপুরে আসে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমিটির আহ্বায়ক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো.
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিনিধিদল গতকাল তারাগঞ্জের ইকরচালী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ায় যায়। সেখানে আমিনুল ইসলাম নামের একজন খামারির সম্প্রতি তিনটি গরু মারা যায়। সেগুলো পুঁতে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে গবাদিপশু তিনটি যে ঘাস খেয়েছে, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল আজ রংপুরের কাউনিয়ার ঠাকুরদাস, পীরগাছার আনন্দী ধনীরাম ও মাইটাইল গ্রামে যায়। পীরগাছায় দুই এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুই নারী-পুরুষ মারা গেছেন। এ ছাড়া এসব গ্রামে অ্যানথ্রাক্সের আক্রমণে বেশ কিছু গরু মারা গেছে। প্রতিনিধিদলের কাল বুধবার মিঠাপুকুর ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় যাওয়ার কথা আছে।
অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক মো. বয়জার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সংগৃহীত ১১টি গবাদিপশুর নমুনার মধ্যে ১০টির অ্যানথ্রাক্স পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাঁরা ঘাস ও মাটির নমুনা নিয়েছেন। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে। তিনি বলেন, অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি সুপারিশ করা হবে।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলছেন, জাতীয় চাহিদা অনুযায়ী গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়া হয়। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হলে তাঁরা রিং মডেলের ভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচি চালান। অর্থাৎ যেসব এলাকায় অ্যানথ্রাক্সের সংক্রমণ পাওয়া যায়, ওই এলাকা ও চারপাশে দেওয়া হয়, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। কিন্তু গত সময়ে সিরাজগঞ্জ ছাড়া এত বিস্তৃত আকারে অ্যানথ্রাক্স ছড়ায়নি। তাই আক্রান্ত এলাকাগুলোর সব গবাদিপশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের মৌভাষায় বাবা-মেয়ের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আজ তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মো. আলেমুল বাসার প্রথম আলোকে বলেন, মৌভাষা এলাকাটি কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছসংলগ্ন। কাউনিয়ার হারাগাছে যেহেতু অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাই ওই দুই রোগীকেও সন্দেহ করা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ক রমণ উপসর গ ক উন য় প রগ ছ সদস য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ চুল পড়ে যাচ্ছে কোন ভিটামিনের অভাবে
প্রতিদিন কিছু চুল পড়বেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়লে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে, যেমন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বংশগত কারণ, বয়স, রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ও কিছু ভিটামিনের অভাব। তবে যেসব ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে ও তার প্রতিকার সম্পর্কে।
ভিটামিন ডিচুলের নতুন ফলিকল তৈরির জন্য ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডি–এর অভাবে শুধু হাড় ক্ষয় হয় না, চুলও পাতলা হয়ে যায় ও পেকে যায়। তাই ভিটামিন ডি পেতে প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য রোদে যাওয়া দরকার। ডায়েটে ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবার (যেমন ডিম, মাছ, দুধ, পালংশাক ইত্যাদি) যোগ করতে হবে।
বায়োটিনবায়োটিন বা বি৭ কে বলা হয় চুলের ভিটামিন। কেরাটিন তৈরিতে বায়োটিন প্রয়োজনীয়। এর অভাবে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় ও চুল পড়ে যায়। ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে বায়োটিন থাকে। বেশি চুল পড়লে বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।
বেশি চুল পড়লে বায়োটিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে