জুলাই সনদ: একমত গণভোটে, অনিশ্চয়তা বাস্তবায়নে
Published: 8th, October 2025 GMT
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সম্মতি নিতে গণভোট করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমতে পৌঁছালেও সনদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা দ্বিমতের বিষয়টি একটি জটিলতা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান পরস্পরবিরোধী হওয়ায় সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
কমিশনের সর্বশেষ সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে কোনো রাজনৈতিক দলের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ থাকবে, তা তাদের পক্ষে বাধ্যতামূলক হবে না— যদি গণভোটে জনগণ সনদের পক্ষে রায় দেয়। অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামীর মতে, পুরো সনদ একটি প্যাকেজ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং গণভোটে তা অনুমোদন পেলে সংশ্লিষ্ট সব প্রস্তাবই পরবর্তী সরকার ও সংসদের জন্য বাধ্যতামূলক হবে।
আরো পড়ুন:
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩১.
কর্মী নিয়োগ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি সই
এই দুই ভিন্ন অবস্থান এখন পুরো প্রক্রিয়াকে এক ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বলছে, তারা এই জটিলতা নিরসনে আবারো সংলাপে বসছে এবং বুধবার (৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য সংলাপ হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের শেষ বৈঠক।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’–এর অন্তর্ভুক্ত ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে ৭৩টিতে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তবে বাকী ১১টি প্রস্তাবে রয়েছে বড় ধরনের মতবিরোধ। এরমধ্যে ১৯টি সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত বিষয়ে রয়েছে ১০টি ভিন্নমত বা ‘নোট অব ডিসেন্ট’। এসব ‘ডিসেন্ট’ মূলত বিএনপি ও অন্যান্য কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে এসেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা না থাকলে, জনগণের রায় সত্ত্বেও সংবিধান সংস্কারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঝুলে থাকবে। এতে জনগণের আস্থা এবং গণভোটের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
বিএনপি ও জামায়াতের বিপরীত অবস্থান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নোট অব ডিসেন্ট এখন সনদেরই অংশ। কোন দল কোন প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে, সেটি জনগণ জানবে এবং সেই দল যদি নির্বাচনে জয়লাভ করে, তাহলে তারা সেই প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করার অধিকার রাখবে। এটাই আমাদের প্রস্তাব।”
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “গণভোটে জনগণ যদি হ্যাঁ বলে, তাহলে পুরো সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে কে কী আপত্তি দিয়েছে, তা গণরায়ের বিপরীতে যেতে পারে না।”
এই দুই দল সরকারের বাইরের প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তি হলেও, এই দুই বিপরীত অবস্থানই মূল সংকটের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’-এর বিতর্কিত প্রস্তাবগুলো বাংলাদেশের সংবিধান, সংসদীয় কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত।
বিতর্কিত ১৯টি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, সংসদীয় কমিটির সভাপতিত্বে বিরোধীদলের অংশগ্রহণ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদানের বিধান, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ, জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত আইন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রী একাধিক পদে থাকতে পারবেন কি না নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশন, দুদক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও ন্যায়পালের নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নির্ধারণ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের নতুন কাঠামো, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষসহ), উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি, উচ্চকক্ষের ক্ষমতা ও এখতিয়ার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রের মূলনীতি সংশোধন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সম্মত প্রস্তাবগুলো এক প্যাকেজে রাখা যেতে পারে এবং ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রস্তাবগুলো আরেক প্যাকেজে। এতে করে গণভোটে দুটি প্রশ্ন রাখা সম্ভব হবে এবং জনগণের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হবে।”
এই কৌশলে গণভোটে দুটি আলাদা ভোট নিতে পারে সরকার। একটিতে থাকবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলসমর্থিত প্রস্তাব, অন্যটিতে থাকবে বিতর্কিত বিষয়।
সময়সীমা ও চূড়ান্ত পর্যায়
কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। মূলত, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিশনের মেয়াদ ছিল ছয় মাস। পরে তা দু’দফায় বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংলাপ শেষে চূড়ান্ত খসড়া সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। এরপর সরকার একটি নির্দিষ্ট তারিখে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরের মাধ্যমে সনদটি অনুমোদন করাবে। এর পরেই নির্বাচন কমিশন গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নেবে।
গণভোটের ভবিষ্যৎ প্রভাব ও নাগরিক উদ্বেগ
জনগণের অংশগ্রহণ ও গণরায় নির্ভর করবে মূলত দুইটি বিষয়ের ওপর। এক, গণভোট কীভাবে আয়োজন করা হবে এবং দুই, ভোটের রায় কতটা বাস্তবায়নযোগ্য হবে।
যদি গণভোটে জনগণ সনদের পক্ষে রায় দেয়, কিন্তু নির্বাচনে জয়ী দলগুলো ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেখিয়ে প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করে, তবে তা জনগণের আস্থার মারাত্মক সংকট তৈরি করবে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আনোয়ার হোসেন নিরব এ প্রসঙ্গে বলেন, “এত মতভেদ, আপত্তি ও জটিলতার মাঝেও একটি বড় অগ্রগতি হলো সব রাজনৈতিক দলই গণভোটের প্রয়োজনীয়তা ও বৈধতা স্বীকার করেছে। এখন দরকার ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়নযোগ্য একটি পন্থা নির্ধারণ করা, যেখানে গণরায়, রাজনৈতিক দল এবং সংবিধান সব কিছুর ভারসাম্য রক্ষা পায়। আজকের সংলাপে যদি একটি বাস্তবসম্মত ফর্মুলা আসে, তাহলে তা হতে পারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারের এক নতুন যুগের সূচনা।”
ঢাকা/এএএম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র জ ল ই গণঅভ য ত থ ন ন ট অব ড স ন ট প রস ত ব অবস থ ন জনগণ র য় সনদ ব এনপ সনদ র দলগ ল গণভ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের টাকায় শিক্ষিত হয়, জনগণের জীবন বদলানোর বেলায় নেই
রাষ্ট্রের অর্থে শিক্ষা আমাদের অধিকার, কিন্তু এর উৎস সাধারণ মানুষের রক্ত-ঘাম, যা আমরা প্রায়শই ভুলে যাই। শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা কতটা সামাজিক বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক, তা এখন জরুরি প্রশ্ন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী হিসেবে আমি গভীরভাবে চিন্তা করি যে আমার শিক্ষাজীবনে কোনো টিউশন ফি লাগে না, বইপত্র লাইব্রেরি থেকে পাই, ক্লাস সরকারি ভবনে হয় এবং আমার পড়াশোনার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করে। কিন্তু এই বিপুল অর্থের উৎস কী? তা আমাকে প্রতিনিয়ত ভাবায়।
এই অর্থের উৎস হলো সমাজের সেইসব সাধারণ মানুষ, যাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের ওপর দেশের অর্থনীতি নির্ভরশীল। একজন রিকশাওয়ালা, কৃষক, পোশাককর্মী এবং দিনমজুরের শ্রম ও করই আমার শিক্ষার ভিত্তি। কিন্তু যখন আমরা শিক্ষিত হয়ে নিজেদের জীবন উন্নত করি, তখন সেসব সাধারণ মানুষের জীবন পরিবর্তনের দায়িত্ব কার?
যাঁদের টাকায় আমরা শিক্ষিত হলাম, যাঁদের শ্রমের ওপর ভর করে আমাদের শিক্ষাজীবন গড়ে উঠল, তাঁরা আজও তাঁদের পূর্বের অবস্থানেই দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে আমরা কতটা ভূমিকা রাখতে পারছি? তখন মনে প্রশ্ন জাগে যে ডাক্তার তাঁর টাকায় বড় হয়েছেন তিনি কি তাঁর জীবন বদলাতে পারলেন? এই বৈষম্যমূলক চিত্র আমাদের সমাজের এক কঠিন বাস্তবতা। একজন রিকশাওয়ালা যাঁর দেওয়া করের টাকায় রাস্তাঘাট নির্মিত হয়। কিন্তু সেই রাস্তা যেন তাঁর নিজের নয়। যে রাস্তায় তিনি প্রতিদিন চলাচল করেন, সেই রাস্তাই ভাঙা কারণ, কোনো প্রকৌশলী তাঁর দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেননি। অথচ সেই ইঞ্জিনিয়ারও একসময় সরকারি অর্থে পড়াশোনা করেছেন, জনগণের টাকায় শিক্ষিত হয়েছেন।
পোশাককর্মীরা, যাঁরা দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন, অথচ ছুটির দিনে তাঁদের বেতন কাটা যায়। তাঁরা পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা পান না। তাঁদের শ্রমের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুউচ্চ ভবনগুলো দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু তাঁদের জন্য উন্নত জীবনের আলোর জানালা আজও খোলা হয়নি।
আমরা যাঁরা সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, বা আইন নিয়ে পড়াশোনা করি, আমাদের শিক্ষা কি এই গভীর সামাজিক বৈষম্যকে সঠিকভাবে বোঝাতে পেরেছে? আমরা কি এই বৈষম্য দূরীকরণে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছি?
একজন সরকারি ডাক্তার মাস শেষে যে বেতন পান, তা জনগণের করের টাকা থেকেই আসে, তবু অনেক ডাক্তার সকালে সরকারি হাসপাতালে তাঁদের দায়িত্ব পালন না করে বিকেলে প্রাইভেট চেম্বারে বসেন। যেখানে রোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ফি নেওয়া হয়। রোগীরা সরকারি হাসপাতালে যায় উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশায়, কিন্তু প্রায়শই তারা সঠিক চিকিৎসা পায় না। ওষুধের তালিকায় থাকে বিভিন্ন কোম্পানির নাম। রোগীর স্বার্থ সেখানে গৌণ হয়ে পড়ে।
তাহলে শিক্ষা কোথায়? নৈতিকতা কোথায়? এসব কিছুর দায় কার? এই প্রশ্নটি আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে থাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে। এই দায় শুধু সরকারের নয় আমাদেরও। আমরা যদি জনগণের টাকায় পড়াশোনা করি, তবে আমাদের শিক্ষার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব জনগণের প্রতিই।
একজন শিক্ষক যদি ক্লাসে ঠিকমতো না পড়ান, একজন ডাক্তার যদি হাসপাতালে তাঁর দায়িত্ব পালন না করেন, একজন ইঞ্জিনিয়ার যদি নিম্নমানের সেতু নির্মাণ করেন, তাহলে শিক্ষার মানে শুধু কাগজের ডিগ্রি হয়ে যায়। যা সমাজের কোনো উপকারে আসে না। আজ দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছে। ডিগ্রিধারীর সংখ্যাও বাড়ছে, কিন্তু সমাজে ন্যায়বোধ ও মানবিকতা কমছে।
শিক্ষিত লোকজন উন্নত জীবন পাচ্ছেন, নিজেদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করছেন। আর যাঁরা ট্যাক্স দিয়ে সেই শিক্ষা সম্ভব করছেন, তাঁরা এখনো বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছেন। এটাই আজকের বাস্তব বাংলাদেশ। যেখানে শিক্ষা আর মানবিকতা দুটি ভিন্ন পথে হাঁটে।
সবশেষে আমরা হয়তো নিজেদের জীবন বদলে ফেলতে পারি, নিজেদের জন্য একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে পারি, কিন্তু যে মানুষগুলো আমাদের জীবনের ভিত্তি তৈরি করেছেন, যাঁদের শ্রম ও ত্যাগের ওপর ভর করে আমরা শিক্ষিত হয়েছি, তাঁদের জীবনের পরিবর্তনের দায় যদি আমরা এড়িয়ে যাই তাহলে আমাদের এই শিক্ষা অর্থহীন হয়ে পড়ে।
জনগণের টাকায় তৈরি শিক্ষিত নাগরিকের সবচেয়ে বড় ঋণ হলো জনগণের জীবন বদলে দেওয়া। তাঁদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং তাঁদের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা। না হলে এই শিক্ষা তখন কেবল ব্যক্তিগত উন্নতির হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়, যা সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে কোনো ভূমিকা রাখে না। আমাদের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জীবনমান উন্নত করা, বৈষম্য দূর করা এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে আমাদের শিক্ষা কেবল একটি ডিগ্রি হয়েই থাকবে, যা সমাজের প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারবে না।
ইতি আক্তার
শিক্ষার্থী, আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদ,
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়