প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১১ জন প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণবিহীন, নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় কর্তৃক ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত নন এমন প্রার্থীদের মধ্য থেকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী গ্রেড-১২ (টাকা ১১,৩০০-২৭, ১৩০০) বেতনে যোগদান করবেন।

আরও পড়ুনএই ‘ভুলে ভরা’ বিসিএস প্রশ্নপত্র কারা তৈরি করল১৪ অক্টোবর ২০২৫

এ নিয়োগের কিছু শর্তের কথাও বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্য কয়েকটি হলো

১.

চাকরিতে যোগদানের পর ২ বছর শিক্ষানবিশকাল হিসেবে কাজ করতে হবে।

২. নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা আগামী ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। অন্যথায় নিয়োগ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

৩. যোগদানের পরবর্তী ৪ (চার) বছরের মধ্যে ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য মৌলিক প্রশিক্ষণ (বিটিপিটি)’ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে।

৪. যোগদানপত্র সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করতে হবে এবং তিনি যোগদানপত্র গ্রহণপূর্বক একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করবেন।

সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকা ও বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে।

আরও পড়ুনদক্ষিণ কোরিয়া দেবে ৩০০ স্কলারশিপ, আবেদন শেষ ১৬ অক্টোবর১১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নপত র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নিবাচন চাই: ইইউ রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশে সময়মতো, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে। তারা এ নির্বাচনকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথ সম্পর্কে ধারণা নতুন করে প্রতিষ্ঠার একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখে।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইইউ।

আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মাইকেল মিলার।

গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত মক ভোটিং পরিদর্শন করেছিলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। বিষয়টি উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের অগ্রিম প্রস্তুতি দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের পেশাদারত্ব এবং সক্ষমতার প্রতি ইইউর আস্থা আছে। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি তাঁদের আস্থার প্রতিফলন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি খুবই আশাবাদী। আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, এবার অনেক ভোটার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। আগে হয়তো অনেকে ভোট দেননি, কারণ হয়তো তাঁরা জানতেন যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বা সহিংসতার আশঙ্কা করেছিল। প্রায় পুরো একটি প্রজন্ম কখনো ভোট দেয়নি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে, তাদের কী করতে হবে তা বুঝতে হবে। তিনি জানতে পেরেছেন যে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের সময় বাড়াচ্ছে, এটি একটি প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, তিনি মনে করেন এ দেশের সব অংশীজনকে বহু বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সুযোগটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ