চার নায়কের খপ্পরে খলনায়ক আহমেদ শরীফ!
Published: 15th, October 2025 GMT
ঢালিউডের চেনা দৃশ্য—নায়কেরা একসঙ্গে খলনায়ককে ধরে ফেলেছে! ঠিক তেমনই এক দৃশ্য দেখা গেল এবার যুক্তরাষ্ট্রে। তবে এটি কোনো সিনেমার শুটিং নয়, বরং বাস্তবের এক হাস্যরসাত্মক মুহূর্ত।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, খ্যাতনামা খল অভিনেতা আহমেদ শরীফকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছেন চার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক—আমিন খান, জায়েদ খান, আলেকজান্ডার বো ও মামুনুন ইমন। ছবি বলছে, সিনেমার ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য, যেখানে খলনায়ক ধরা পড়েছেন নায়কদের হাতে!
আরো পড়ুন:
মা হতে যাচ্ছেন সোনাক্ষী?
পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরে কিসের শুটিং করছেন চঞ্চল?
ছবিটি পোস্ট করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “ছবির শেষ দৃশ্য।”
দীর্ঘদিন পর প্রবাসের মাটিতে এক ফ্রেমে দেখা মিলেছে ঢালিউডের এই পাঁচ তারকার। জানা গেছে, বর্তমানে জায়েদ খান অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। সেখানে কিছুদিন আগে গিয়েছেন আলেকজান্ডার বো ও আমিন খান। সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন মামুনুন ইমনও। আর আহমেদ শরীফ তো আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা।
একই শহরে অবস্থান করায় অভিনেতাদের এই মিলন ঘটান জায়েদ খান। তার উদ্যোগে নিউ ইয়র্কের মেলরোজ এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয়, ছোট্ট এক আড্ডার। সেখানে একত্রিত হন ঢাকাই চলচ্চিত্রের পাঁচ তারকা।
এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, “আমরা নিউ ইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার বাইরে মেলরোজ নামের একটি জায়গায় দেখা করার পরিকল্পনা করি। সেখানেই আমিন খান ভাই, আলেকজান্ডার বো ভাই ও ইমন আসেন। একই সঙ্গে আসেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা আহমেদ শরীফ। আমরা নানা গল্পে মেতে উঠি—চলচ্চিত্রের রঙিন দিনের স্মৃতিতে ফিরে যাই। দেশের বাইরে খুব সুন্দর একটা সময় কেটেছে।”
আড্ডার বিষয়বস্তু উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, “আমাদের আলাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গল্প ছিল আহমেদ শরীফ ভাই আর আমিন খান ভাইয়ের একসঙ্গে করা সিনেমাগুলো নিয়ে। শেষ মুহূর্তে ভাবলাম একটা ছবিও তুলি—যেখানে নায়করা খলনায়ককে ধরছে! শরীফ ভাই রাজি হলেন, আর আমরা এই মজার ছবিটা তুলে ফেললাম।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম ন খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-স্ত্রী ছিলেন কারখানায়, আগুন লাগার পর দুজনই নিখোঁজ
ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়ির আরএন ফ্যাশনস ভবনে আগুন নেভাতে যখন ফায়ার সার্ভিস কাজ করছিল, তখন বাইরে আরও অনেকের সঙ্গে আহাজারি করছিলেন ইয়াসমিন বেগম। তার হাতে মেয়ে মার্জিয়া সুলতানা ও জামাতা মোহাম্মদ জয়ের ছবি।
পাঁচতলা ওই ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলা নিয়ে ছিল আরএন ফ্যাশন। সেখানে একসঙ্গে কাজ করতেন জয় ও মার্জিয়া। জয় অপারেটর, আর মার্জিয়া হেলপার।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ। বিকেল পাঁচটার দিকে সেখানে আহাজারি করতে দেখা যায় মার্জিয়ার মা ইয়াসমিন বেগমকে। তিনি বলছিলেন, ‘আল্লারে তুমি আমার মাইয়া আর তার জামাইডারে বাঁচাই দাও আল্লাহ। তাগো তুমি রক্ষা কইরো আল্লাহ।’
প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় মার্জিয়ার বাবা মোহাম্মদ সুলতানের। তিনি বলেন, দুপুর ১২টার একটু আগে আগুন লাগার খবর শুনে প্রথমে তিনি ফোন করেন মেয়েজামাই জয়কে। কিন্তু জয় ফোন ধরেননি। পরে মেয়ে মার্জিয়াকে ফোন করেন। মেয়ে ফোন ধরলেও বিস্তারিত বলতে পারেননি।
সুলতান বলেন, ‘মেয়েরে জিগাইলাম, আম্মু তুমি কই? আগুন নাকি লাগসে? মেয়ে কানতে কানতে কইল, আগুন লাগসে অফিসে। বের হতে পারছি না। অনেক ধোঁয়া, অন্ধকার। বের হওয়া পথ পাচ্ছি না।’
মেয়ের সঙ্গে এটুকুই কথা হয় সুলতানের। এরপর দৌড়ে গার্মেন্টেসের কাছে চলে আসেন। এসে দেখেন, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এর পর থেকে মেয়ে আর জামাতার মুঠোফোনে কল করে গেলেও তা বন্ধই পাচ্ছেন।
সুলতান জানান, জয় আর মার্জিয়ার বিয়ে হয় ছয় মাস আগে। এই কারখানায় কাজের সুবাদেই দুজনের পরিচয় হয়, তা থেকে পরিণয়। স্বামী-স্ত্রী দুজন একসঙ্গে কারখানায় আসা-যাওয়া করতেন।
মেয়ে ও জামাতার খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগ নিয়ে কারখানার সামনে অপেক্ষায় ছিলেন সুলতান।
ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডের পর ১৬টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে। তবে দেহগুলো এতটাই পুড়েছে যে কোনো লাশই শনাক্ত করা যায়নি।
ভবনটিতে আগুন লাগার পর কারখানা ভবন থেকে শ্রমিকেরা নানাভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। তবে ছাদের গেট বন্ধ থাকায় অনেকে আটকা পড়েন। তাঁদের অনেকের খোঁজ এখনো মেলেনি।