লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ছিল, তখন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা উদ্‌যাপন করছিল এক স্মরণীয় জয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৯৩ রানের জয় শুধু সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে দিল না, বরং আবারও প্রমাণ করল নিজেদের মাটিতে স্পিনের রাজত্ব এখনো পাকিস্তানেরই।

এই জয়ের কেন্দ্রে ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি। ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে তিনি নিলেন ম্যাচে ১০ উইকেট (প্রথম ইনিংসে ৬টি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি)। তার নিখুঁত লাইন ও টার্নে ভেঙে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডার। প্রথম ইনিংসে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দ্বিতীয় ইনিংসে নোমানের স্পিনে কার্যত অসহায় হয়ে পড়ে প্রোটিয়া শিবির।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টিতে শ্রীলঙ্কা-নিউ জিল্যান্ডের পয়েন্ট ভাগাভাগি

আফগান যুবারা আসছেন বাংলাদেশে

২৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে যায় ১৮৩ রানে। এইডেন মার্করাম (৩) ও উইয়ান মুল্ডার (০)-এর দ্রুত বিদায়ের পর ব্রেভিস ও রিকেলটন কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু নোমান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির আগুনে বোলিংয়ে সেই প্রতিরোধ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ব্রেভিসের ৫৪ রান ছিল সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস।

শাহিনও পিছিয়ে ছিলেন না। দ্বিতীয় ইনিংসে তার সংগ্রহ ৪ উইকেট। যার মধ্যে ছিলেন কাইল ভেরেইনে ও কাগিসো রাবাদার মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটাররা। শেষ দিকে সাজিদ খান যোগ দেন তাণ্ডবে, তুলে নেন ২ উইকেট। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ পাঁচ উইকেট যায় মাত্র ৫৫ রানে।

এর আগে ব্যাট হাতে পাকিস্তান গড়ে দিয়েছিল জয়ের ভিত। প্রথম ইনিংসে ইমাম-উল-হক (৯৩), শান মাসুদ (৭৬), রিজওয়ান (৭৫) ও সালমান আগা (৯৩)-এর ধারাবাহিকতায় দল তোলে ৩৭৮ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ২৬৯ রানে। তাতেই পাকিস্তান পায় ১০৯ রানের লিড।

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ব্যাটাররা বড় রান করতে পারেননি; দল থামে ১৬৭ রানে। বাবর আজম (৪২), আব্দুল্লাহ শফিক (৪১) ও সাউদ শাকিল (৩৮) কিছুটা লড়াই করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সেনুরান মুথুসামি ১১ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের বিপদে ফেলেছিলেন।

তবে ম্যাচের শেষ হাসি ছিল পাকিস্তানের। নোমান আলির হাত ধরে লাহোরে ফুটেছিল বিজয়ের ফুল। এই জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল শান মাসুদের দল। আর ক্রিকেটপ্রেমীরা পেল এক অবিস্মরণীয় স্পিন ম্যাজিকের গল্প।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ব ত য় ইন প রথম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গুতে মারা গেলেন ৪ জন

ডেঙ্গুতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ৪ জন মারা গেছেন এডিস মশাবাহিত এই রোগে। এ সময় নতুন করে ৭৫৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু নিয়ে দেওয়া প্রাত্যহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আর একজন মারা গেছেন বরিশাল বিভাগে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে এই তিনজনের মৃত্যু হয়। আর বরিশাল বিভাগের রোগী মারা গেছেন বরগুনার পাথরঘাটার হাসপাতালে।

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৫৭ হাজার ১৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৪ হাজার ১১৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই পুরুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের সংখ্যা।

এদিন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যক্তি ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর সংখ্যা ২০৬। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন গাজীপুর জেলায়, ৬৩ জন। ঢাকা বিভাগের বাইরে বরিশাল বিভাগে রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল, এ সংখ্যা ১৩৩।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে। তবে চলতি অক্টোবর মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু ও সংক্রমণ আগের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাত ও অপর্যাপ্ত মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কারণে সংক্রমণ পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ