স্ট্রোক করে হাসপাতালে শাহনেওয়াজ কাকলী
Published: 15th, October 2025 GMT
অসুস্থ হয়ে পড়ায় চলচ্চিত্র পরিচালক শাহনেওয়াজ কাকলীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ররিবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার স্ট্রোক হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকৎসকরা।
আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন শাহনেওয়াজ কাকলী। এসবের চিকিৎসাও চলছিল। গত রবিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন। হাত–পা ঝিমঝিম করছিল, খেতে পারছিলেন না। সময় যতই গড়াতে থাকে, তার অস্বস্তি আরো বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর আরো বাড়ে। রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, তার স্ট্রোক হয়েছে।
আরো পড়ুন:
দে দে পেয়ার দে টু: টাবুকে খুঁজছেন ভক্তরা, যা বললেন অজয়
অভিনেতা পঙ্কজ ধীর মারা গেছেন
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে বলেন, “তিনি ইস্কেমিক স্ট্রোক করেছেন। শরীরের বাঁ পাশ কিছু অবশ। সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে, ফিজিওথেরাপিসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা চলছে। আগামী দিনে তাকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।”
২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উত্তরের সুর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটে শাহনেওয়াজ কাকলীর। মুক্তির পরই সিনেমাটি দেশ-বিদেশে প্রশংসা কুড়ায়। ভারতের গোয়া, কলকাতা ও থার্ড আই মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শিত হয় এটি।
কেবল তাই নয়, কাকলী পরিচালিত ‘উত্তরের সুর’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা সিনেমা, পার্শ্ব-অভিনেত্রী ও শিশুশিল্পী—এই তিন বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। তার ‘নদীজন’ সিনেমা ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। এটিও প্রশংসিত হয় এবং পুরস্কার জিতে নেয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চিড়িয়াখানায় কেমন আছে ‘ডেইজি’
জাতীয় চিড়িয়াখানার সিংহী ‘ডেইজি’ মূল খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়েছিল শুক্রবার বিকেলে। চিড়িয়াখানার কর্তব্যরত ব্যক্তিরা তড়িঘড়ি করে একটি লোহার খাঁচা দিয়ে প্রাণীটির পথ আটকে দেন। তা না হলে দর্শনার্থীসহ অন্যদের বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।
গতকাল শনিবার মিরপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, ডেইজির মূল খাঁচার দরজার বাইরে দর্শনার্থী যাতে খাঁচার একদম কাছে যেতে না পারে, সে জন্য লোহার গ্রিলের ব্যারিকেড দেওয়া। তারপর বেশ খানিকটা ফাঁকা জায়গা। ডেইজি এ ফাঁকা জায়গায় চলে এসেছিল।
সিংহী বের হয়ে সেখানকার পানির পাম্পের পাশে হরিণের খাঁচার কাছে বসে। হরিণের দল ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন জুনিয়র অফিসার মো. ওবায়দুল বারী খান। তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা নতুন করে বেড়া লাগিয়েছেন। তাঁদের কোনো ঝুঁকিভাতা নেই বলে জানান ওবায়দুল বারী।
গতকাল ডেইজির শারীরিক ও মানসিক ধকলের কথা চিন্তা করে ডেইজিকে মূল খাঁচার ভেতরের নির্দিষ্ট কক্ষ থেকে বের করা হয়নি। তবে চিড়িয়াখানার কর্মীদের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পরিচালক বললেন, এমনিতে অন্য দিনের মতোই ডেইজি খাওয়াদাওয়া করছে। তবে পায়চারি করছে ঘনঘন।শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়ে সিংহীটি। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানা থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পৌনে দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘ট্রাঙ্কুলাইজারগান’ দিয়ে ইনজেকশন পুশ করে সিংহীটিকে অচেতন করা হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সেটিকে আবার খাঁচায় নেওয়া হয়।
সিংহী ‘ডেইজি’ খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনার পরদিন খাঁচার বেষ্টনী আরও মজবুত করার পরিকল্পনা করছেন কর্মকর্তারা।