অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনসহ ৪ জনের বিচার শুরু
Published: 15th, October 2025 GMT
অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫–এর বিচারক ফাহমিদা জাহাঙ্গীর এ আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহফুজ হাসান।
অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ ও আরাফাত ইবনে নাসির। আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
পিপি মাহফুজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্র মামলায় আজ সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অভিযোগ গঠনের আগে সুব্রত বাইন ও আরাফাতকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া মোল্লা মাসুদ ও শরীফ কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন।
অস্ত্র আইনের মামলায় গত ১৫ জুলাই সুব্রত বাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৭ মে কুষ্টিয়া থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার হন শুটার আরাফাত ও শরীফ।
আরও পড়ুনগোপন বন্দিশালায় ২ বছর, কীভাবে ফিরলেন সুব্রত বাইন১৮ জুন ২০২৫অভিযানের সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি ও ১টি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়।
অস্ত্র আইনের মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে। সুব্রত বাইন তখন খুন-ডাকাতি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন। পরে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সুব্রত বাইন আবার দেশে এসে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিতে জড়ান।
আরও পড়ুনকে এই সুব্রত বাইন, কীভাবে জড়ালেন অপরাধজগতে২৭ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ শীর্ষ মাদক কারবারি কুট্টি ও তার সহযোগী গ্রে
সিদ্ধিরগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩১০ পুরিয়া হেরোইন ও মাদক বিক্রির নগদ ১৫,৪৮০ টাকাসহ এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি রাজিব হোসেন কুট্টি (৩৮) ও তার সহযোগী রাশিদুলকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোদনাইল রসুলবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাজিব হোসেন কুট্টি গোদনাইল রসুলবাগ মাঝিপাড়া এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং তার সহযোগী রাশিদুল একই এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান জানান, থানা এলাকায় বিশেষ মাদক উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে, গোদনাইল রসুলবাগ মাঝিপাড়ায় আদমজী-চাষাঢ়া নতুন সড়কের পাশে রাজিব হোসেন কুট্টির অফিসে হেরোইন বিক্রির জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে কুট্টি ও রাশিদুলকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর তাদের দেহ তল্লাশি করে কুট্টির পরনের প্যান্টের পকেট থেকে ২০০ পুরিয়া এবং রাশিদুলের কাছ থেকে ১১০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া মাদক বিক্রির নগদ ১৫,৪৮০ টাকাও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ৩১০ পুরিয়া হেরোইনের বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ৯৩ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন, রাজিব হোসেন কুট্টি একজন চিহ্নিত মাদক সম্রাট। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পূর্বেও পাঁচটি মাদকের মামলা রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।