ফরিদপুরের সদরপুরে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মা ইলিশ ধরায় ২২ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভোর ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
সদরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, বুধবার ভোরে সদরপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালায় মোবাইল কোর্ট। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ আহরণের অপরাধে ২২ জেলেকে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
তিনি জানান, অভিযানকালে জব্দ করা ২০ কেজি ইলিশ মাছ পূর্ব শ্যামপুর মাদ্রাসা এবং দশহাজার মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/তামিম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে ৭ জেলের কারাদণ্ড
ফরিদপুরের সদরপুরে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। এ সময় ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৩ কেজি ইলিশসহ ৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সদরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানার ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ রায় দেন।
নদী ও সমুদ্রে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার দশম দিন সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে যৌথ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জাল রেখে অনেক জেলে পালিয়ে গেলেও ৭ জনকে আটক করে সাজা দেওয়া হয়। জব্দ করা মাছ স্থানীয় একটি এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। জালগুলো নদীর পাড়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেছেন, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় যাতে কোনো জেলে নদীতে মাছ ধরতে না পারেন, সেজন্য আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের তৎপরতা থাকবে। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে ও সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
ঢাকা/তামিম/রফিক