ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। ভূমিকম্পে দেশটির সেবু দ্বীপে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এই শহরে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে চার শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, শহরটিতে নিহত তিনজনের বাড়ি ভূমিধসে চাপা পড়েছে।

বোগো শহরের কাছে সান রেমিগিও পৌর এলাকায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাবুয়েলানে এলাকায়ও একজন মারা গেছেন। সান রেমিগিও এলাকায় একটি খেলাধুলার স্থান থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের সদস্য। এলাকাটির আরেক স্থানে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এক শিশু মারা গেছে।

স্থানীয় উদ্ধার দলের কর্মকর্তা উইলসন রামোস এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারে। উদ্ধারকাজ চলছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তা জানেন না তিনি। রাতের আঁধার ও ভূমিকম্পের পর অনেকগুলো পরাঘাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে।

ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা। এতে সেবু শহর এবং কাছাকাছি এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে মধ্যরাতের পর সেবুসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয় বলে জানিয়েছে ফিলিপাইনের ন্যাশনাল গ্রিড করপোরেশন।  

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে বানতাইয়ান শহরের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী মারথাম প্যাসিলান। তিনি বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গির্জার কাছে ছিলেন তিনি। হঠাৎ গির্জার দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান। দেখেন গির্জা থেকে পাথর ভেঙে পড়ছে।

তবে সৌভাগ্যবশত কেউ আঘাত পাননি। মারথাম প্যাসিলান বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে হতবাক ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। শরীর নাড়াতে পারছিলাম না। কেবল কম্পন থামার অপেক্ষায় ছিলাম।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প র ফ ল প ইন উদ ধ র এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। ভূমিকম্পে দেশটির সেবু দ্বীপে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। ফিলিপাইনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। এই শহরে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে চার শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, শহরটিতে নিহত তিনজনের বাড়ি ভূমিধসে চাপা পড়েছে।

বোগো শহরের কাছে সান রেমিগিও পৌর এলাকায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাবুয়েলানে এলাকায়ও একজন মারা গেছেন। সান রেমিগিও এলাকায় একটি খেলাধুলার স্থান থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের সদস্য। এলাকাটির আরেক স্থানে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এক শিশু মারা গেছে।

স্থানীয় উদ্ধার দলের কর্মকর্তা উইলসন রামোস এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারে। উদ্ধারকাজ চলছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তা জানেন না তিনি। রাতের আঁধার ও ভূমিকম্পের পর অনেকগুলো পরাঘাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে।

ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন সড়কের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা। এতে সেবু শহর এবং কাছাকাছি এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে মধ্যরাতের পর সেবুসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয় বলে জানিয়েছে ফিলিপাইনের ন্যাশনাল গ্রিড করপোরেশন।  

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে বানতাইয়ান শহরের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী মারথাম প্যাসিলান। তিনি বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গির্জার কাছে ছিলেন তিনি। হঠাৎ গির্জার দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান। দেখেন গির্জা থেকে পাথর ভেঙে পড়ছে।

তবে সৌভাগ্যবশত কেউ আঘাত পাননি। মারথাম প্যাসিলান বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে হতবাক ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। শরীর নাড়াতে পারছিলাম না। কেবল কম্পন থামার অপেক্ষায় ছিলাম।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ