সিরাজগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য হেনরীর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
Published: 12th, January 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের (সদর-কামারখন্দ) সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আক্তারুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর জমি, ফ্ল্যাটসহ ৪৫টি স্থাবর সম্পত্তি, ১৬টি গাড়ি, ১৯টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৫৭ কোটি টাকা ও যৌথ মালিকানাধীন ৪ কোম্পানির ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ এসব সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে সরকারি কৌসুলি রেজাউল করিম শুনানিতে অংশ নেন। পরে বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে গত ২৩ ডিসেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ বাদী হয়ে জান্নাত আরা হেনরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর আগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর জান্নাত আরা হেনরী, তাঁর স্বামী শামীম তালুকদার ও মেয়ে মুনতাহা রিদায়ী লামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জান্নাত আরা হেনরী একসময় স্কুলশিক্ষক ছিলেন। ওই চাকরিরত অবস্থায় ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়ে তিনি পরাজিত হন। পরে ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। তাঁর এ দায়িত্ব পালনকালে আলোচিত হল–মার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
জান্নাত আরা হেনরী ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।
জান্নাত আরা হেনরী ও তাঁর স্বামী শামীম তালুকদারের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় তিনটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। গত ১ অক্টোবর মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার হয়ে জান্নাত আরা হেনরী ও শামীম তালুকদার সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ২২৪
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭৭ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।