ঈশ্বরদীতে বর্ষা উৎসবে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকরা
Published: 11th, July 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে নান্দনিক আয়োজনে দিনব্যাপী বর্ষা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিকদের বর্ষাভ্রমণ, কবিতা পাঠ, সাহিত্য আড্ডা, কথামালা, সংগীত ও পুঁথি পাঠের মধ্য দিয়ে উৎসবটি শেষ হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার কবি-সাহিত্যিকরা অংশ নেন।
বর্ষা উৎসব উপলক্ষে পাকশীর পদ্মা নদীতে ভ্রমণ শেষে ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঈশ্বরদী নোঙর’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কথাসাহিত্যিক মানিক পণ্ডিত ও ঈশ্বরদী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান। ঈশ্বরদী নোঙরের সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাংবাদিক মাহাবুবুল হক দুদু।
অনুষ্ঠানে কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন আজিজুর রহমান মুন্না, কবির হৃদয়, রেহেনা সুলতানা শিল্পী, ইসলাম রফিক, অধ্যাপক সাজিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম অমিয় প্রমুখ। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ঢাকার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁও জি.আর ব্যাচ-২০০৫ এর শিক্ষার্থীদের ২০ বছর পূর্তি উদযাপন
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও পৌর এলাকায় অবস্থিত সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ২০০৫ সালের এসএসসি ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন সোনারগাঁও জি.আর ব্যাচ-২০০৫ এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন বর্ণাঢ্য আয়োজনে।
“এসো সবে প্রাণের টানে, এসো সবাই প্রতিভার প্রাঙ্গণে”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে সোনারগাঁ জি.আর. ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এস.এস.সি ২০০৫ ব্যাচের ২০ বছর পূর্তি উৎসব উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সারাদিনব্যাপী এই উৎসব বসন্ত বিলাস রিসোর্টে আয়োজন করে জি.আর. ইনস্টিটিউশন ব্যাচ ২০০৫।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে সকাল ৮টায় যাত্রা শুরু হয় সোনারগাঁও জি.আর. ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজ গেইট থেকে। গাড়িতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে টি-শার্ট বিতরণ ও কুপন বিক্রয় করা হয়। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় তারাবো পৌরসভার যাত্রামুড়া বসন্ত বিলাস রিসোর্টে পৌছান শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা সকালের নাস্তা সেরে নেমে পড়েন ফুটবলা খেলায়। ক্ষনিকের জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা যেনো ফিরে যান শৈশবে।
মধ্যবয়সেও যেনো কিশোর বয়সের ন্যায় ফুটবল খেলার মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তারা। খেলার মাঠে বেশকজন আহত হয়ে নিজেরা বুঝেছেন কিশোর যুবক বয়স পাড় করে মধ্যবয়সে ফিরেছেন তারা। এরপর ছুটে যান সুইমিং পুলে। সেখানেও থেমে থাকেনি।
বাধভাঙ্গা উল্লাসে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সুইমিং পুলে। এবারো যেনো প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ফিরে গেলেন শিশুকালে। পরবর্তীতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সন্তানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বল নিক্ষেপ খেলা।
দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ছিল জুমাআ নামাজের জন্য বিরতি। দুপুর ২টা থেকে ৩টি পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজ। মধ্যাহ্নভোজ শেষে বাধভাঙ্গা উল্লাস থেকে যেনো সবাই মিউয়ে পড়েন ক্লান্তিতে। এরি মাঝে শুরু হয় মেয়েদের বালিশ কার হাতে খেলা।
বাদ আসর শেষে পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও বেশকটি ইভেন্ট সম্পন্ন করা হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। সঙ্গে ছিল বসন্ত বিলাস রিসোর্টের বিভিন্ন রাইড ও বিনোদনমূলক আয়োজন সবার মাঝে যেনো আনন্দের জোয়ার বয়ে আনে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলেন, “এই বন্ধুত্ব আর মিলনমেলা আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একসূত্রে বেঁধে রাখে। ভবিষ্যতেও এ ঐক্য ধরে রাখতে চাই। শিক্ষাজীবনের স্মৃতি আমাদের জীবনের অমূল্য সম্পদ।
এই আয়োজন সেই স্মৃতিগুলোকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। আমরা শুধু প্রাক্তন শিক্ষার্থী নই, সমাজ উন্নয়নে দায়িত্বশীল নাগরিকও। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সংগঠন কাজ করছে।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- আল মাহামুদ সানি, আমিরুল ইসলাম সজীব, সিফাতুল ইসলাম সিফাত, কাউসার আল মামুন রাজু, নূর মোহাম্মদ রুবেল, সাদেকুর রহমান সাদেক, হাসান মেহেদী, শাহিন কবির, মাহাবুবুর রহমান তমাল, আজহারুল ইসলাম রনি, খোরশেদ আলী, তানিয়া মৌসুমী শোভা, ফারজানা রিনা, নজরুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ, আরিফুজ্জামান আরিফ, শাহআলী, রিপন আহমেদ আশিক, সাইদুর রহমান, শরীফ হোসেন, মোহাম্মদ রাসেল, মাজহারুল ইসলাম রোকন সহ অন্যান্যরা। এ ছাড়াও প্রবাসে থাকা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও ভার্চুয়ালী অংশগ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, “২০০৫ ব্যাচ” নামে একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সামাজিক সংগঠন ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই সংগঠনটি সোনারগাঁ অঞ্চলে নানামুখী সমাজকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে, যা বর্তমানে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে সোনারগাঁও জুড়ে।