ব্র্যাক ব্যাংকের ‘টপ টেন রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন
Published: 13th, January 2025 GMT
ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ ২০২৫-এ ‘টপ টেন রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই সম্মাননা বিদেশে কর্মরত রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কষ্টার্জিত অর্থ সহজ প্রক্রিয়ায় দেশে আনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
বাংলাদেশে ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স সহজতর করার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে ২০২৪ সালে মোট ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ওয়েজ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, যা ব্যাংকটির জন্য রেমিট্যান্স আহরণের এক নতুন বেঞ্চমার্ক সৃষ্টি করেছে। এই মাইলফলক দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর ব্যাংকটির উল্লেখযোগ্য প্রভাবকে তুলে ধরেছে। সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি কর্তৃক আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ ২০২৫–ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ: এনআরবি অ্যান্ড ইউএন পিসকিপারস লিডিং দ্য ওয়ে’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স–প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ দ্য সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি ব্র্যাক ব্যাংককে এই পুরস্কার দেয়।
গত শনিবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো.
‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ থিম নিয়ে আয়োজিত এ বছরের ওয়ার্ল্ড কনফারেন্সের লক্ষ্য হলো বিশ্বমঞ্চে দেশের ভাবমূর্তি উন্নত করা। এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যাপারেও উদ্বুদ্ধ করেছে।
ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজ ২০২৫-এ ব্র্যাক ব্যাংকের এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জাতীয় আয় এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে ব্যাংকটির ভূমিকা তুলে ধরেছে।
বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহজেই ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে পারেন। বিশ্বজুড়ে ৮০টির বেশি রেমিট্যান্স পার্টনারের সঙ্গে এপিআই সংযোগ রয়েছে ব্যাংকটির। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রিয়েল-টাইম ট্রানজেকশনের সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন। প্রবাসীরা ব্যাংকিং ও বিনিয়োগ সুবিধার জন্য ব্যাংকটির ডিজিটাল অনবোর্ডিং সুবিধা, আস্থা অ্যাপ এবং প্রবাসী প্রোডাক্ট উপভোগ করতে পারছেন। অন্যদিকে দেশে রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীরা ব্যাংকটির ১৮৭টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা এবং ১ হাজার ১১৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট-সমৃদ্ধ বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সহজেই টাকা তুলতে পারছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামল
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।