বন্দরে বেপরোয়া নম্বর বিহীন মোটর সাইকেলের ধাক্কায় ফিরোজা বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধা নারী ভিক্ষুকের করুন মৃত্যু বরণ করেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক মোটর সাইকেল চালক মাসুদ (২১)কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।

নিহত ভিক্ষুক ফিরোজা বেগম বন্দর উপজেলার নেহাল সর্দারবাগ এলাকার মৃত ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী। আটককৃত ঘাতক চালক মাসুদ আড়াইহাজার থানার পাঁচগাওস্থ চরপাড়া এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।

এ ব্যাপারে নিহতের নাতনি নাজনীন বেগম বাদী হয়ে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আটককৃত চালকের বিরুদ্ধে  সড়ক পরিবহন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৫(১)২৫ ধারা- ৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮।

আটককৃত চালককে সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালাস্থ অভিলাশ সিনেমা হলের সামনে চট্রগ্রাম লেনে এ র্দূঘটনাটি ঘটে।

র্দূঘটনার খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক মোঃ মতিউর রহমানসহ সঙ্গীয় র্ফোস উল্লেখিত হাসপাতাল এসে লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

জানা গেছে, বন্দর উপজেলার নেহাল সর্দারবাগ এলাকার মৃত ইউনুছ খানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম অভাবের তাড়নায় দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায়  ভিক্ষা করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা গত রোববার বেলা পৌনে ১২টায় ভিক্ষুক বৃদ্ধা ফিরোজা বেগম ভিক্ষা করার উদ্দেশ্য কেওঢালা অভিলাশ সিনেমা হলের চট্রগ্রাম লেনে পৌছলে ওই সময় দ্রুতগামী নম্বর বিহীন মোটর সাইকেল স্বজোরে ধাক্কা দিলে গুরুত্বর জখম হয়।

ওই সময় স্থানীয় জনতা ভিক্ষুক ফিরোজা বেগমকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে দি বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উত্তেজিত জনতা আটককৃত চালককে পুলিশে সোর্পদ করেছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক