বন্দরে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
Published: 13th, January 2025 GMT
বন্দরে বেপরোয়া নম্বর বিহীন মোটর সাইকেলের ধাক্কায় ফিরোজা বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধা নারী ভিক্ষুকের করুন মৃত্যু বরণ করেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক মোটর সাইকেল চালক মাসুদ (২১)কে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
নিহত ভিক্ষুক ফিরোজা বেগম বন্দর উপজেলার নেহাল সর্দারবাগ এলাকার মৃত ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী। আটককৃত ঘাতক চালক মাসুদ আড়াইহাজার থানার পাঁচগাওস্থ চরপাড়া এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহতের নাতনি নাজনীন বেগম বাদী হয়ে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আটককৃত চালকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৫(১)২৫ ধারা- ৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮।
আটককৃত চালককে সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালাস্থ অভিলাশ সিনেমা হলের সামনে চট্রগ্রাম লেনে এ র্দূঘটনাটি ঘটে।
র্দূঘটনার খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক মোঃ মতিউর রহমানসহ সঙ্গীয় র্ফোস উল্লেখিত হাসপাতাল এসে লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, বন্দর উপজেলার নেহাল সর্দারবাগ এলাকার মৃত ইউনুছ খানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম অভাবের তাড়নায় দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা গত রোববার বেলা পৌনে ১২টায় ভিক্ষুক বৃদ্ধা ফিরোজা বেগম ভিক্ষা করার উদ্দেশ্য কেওঢালা অভিলাশ সিনেমা হলের চট্রগ্রাম লেনে পৌছলে ওই সময় দ্রুতগামী নম্বর বিহীন মোটর সাইকেল স্বজোরে ধাক্কা দিলে গুরুত্বর জখম হয়।
ওই সময় স্থানীয় জনতা ভিক্ষুক ফিরোজা বেগমকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে দি বারাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। উত্তেজিত জনতা আটককৃত চালককে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৬৮ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত: হুতি
হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি আটককেন্দ্রে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির টিভি চ্যানেল আল মাসিরাহ জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
আল মাসিরাহর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদা প্রদেশে অবস্থিত ওই আটককেন্দ্রে হামলার ফলে আরও ৪৭ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগের অবস্থা সংকটজনক। আল মাসিরাহ টেলিভিশন হামলার দৃশ্যের গ্রাফিক ফুটেজ প্রচার করেছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা বহু মরদেহ দেখা গেছে।
তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
এই হামলার কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করার নির্দেশের পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সেন্টকম জানায়, এসব হামলায় শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
হুতির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, মার্কিন হামলায় অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যদিও তারা হুতি সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম উল্লেখ করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলার সময় সাদা প্রদেশের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসী ছিল।
১১ বছরের সংঘাতের কারণে ইয়েমেনে মানবিক সংকট সত্ত্বেও, অভিবাসীরা এখনও আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে নৌকায় করে ইয়েমেনে আসছে। তাদের বেশিরভাগের লক্ষ্য সৌদি আরবে পৌঁছে কাজ খোঁজা। কিন্তু বাস্তবে তারা শোষণ, আটক, সহিংসতা এবং যুদ্ধক্ষেত্র পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার মুখোমুখি হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএম আরও জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই প্রায় ৬০ হাজার ৯০০ অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই।
এর আগে মাসের শুরুতে হুতি-চালিত সরকার জানিয়েছিল, রেড সি উপকূলের রাস ইসা তেল টার্মিনালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সেন্টকম জানায়, ওই হামলা রাস ইসার জ্বালানি গ্রহণের সক্ষমতা ধ্বংস করেছে, যা হুতিদের পরিচালনা এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতাকে হ্রাস করবে।
গত মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেন এবং হুতিদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার হুমকি দেন। তিনি ইরানকেও সতর্ক করেন, যাতে তারা হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ না করে। যদিও ইরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।