Prothomalo:
2025-05-01@12:02:35 GMT

পিএসসির ৬ সদস্য বাদ পড়লেন কেন

Published: 14th, January 2025 GMT

পিএসসি ছয় সদস্যের নিয়োগের আদেশ বাতিলের পর এখন আলোচনা হচ্ছে, কেন এই ছয় সদস্য বাদ পড়লেন, কেন নিয়োগে সরকার আরও সতর্ক থাকল না এবং এতে চাকরিপ্রার্থীরা কী কী ক্ষতিতে পড়বেন। এসব বিষয় নিয়ে সরকারও কিছুটা বিব্রত বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্যপদে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ছয় ব্যক্তির নিয়োগের আদেশ বাতিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে এই নিয়োগের আদেশ বাতিল করা হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। যাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা হলেন অধ্যাপক শাহনাজ সরকার, মো.

মুনির হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ এফ জগলুল আহমেদ, মো. মিজানুর রহমান, শাব্বির আহমদ চৌধুরী ও অধ্যাপক সৈয়দা শাহিনা সোবহান। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই ছয় ব্যক্তি এখনো শপথ গ্রহণ করেননি। ছয় ব্যক্তির নিয়োগ বাতিলের আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুনপ্রশ্ন ফাঁস রোধে নিজস্ব প্রেসের চিন্তা পিএসসির, হচ্ছে নতুন রোডম্যাপ২ ঘণ্টা আগে

পিএসসির নতুন সদস্য হিসেবে এই ছয় ব্যক্তিকে ২ জানুয়ারি নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। তাঁদের শপথ স্থগিত চেয়ে ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল পিএসসি। পিএসসির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ছয় সদস্যের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্ট। পিএসসির একটি সূত্র তখন প্রথম আলোকে বলেছিল, নতুন নিয়োগ পাওয়া কয়েক সদস্যকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার কারণে তাঁদের শপথ স্থগিত করা হয়। নতুন নিয়োগ পাওয়া কয়েক সদস্য বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় এই সমালোচনা হচ্ছিল। এখন এই ছয়জনকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানসহ পিএসসির সদস্যসংখ্যা দাঁড়াল ৯।

তবে পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সদস্যদের নিয়োগ বাতিল সাময়িক সমস্যা। তবে এখন নতুন সদস্য পেলে ভালো হতো। কেননা আমিসহ আর যে ৯ সদস্য আছেন, তাঁদের অনেক বেশি কাজে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। তবে আশা করি, সরকার দ্রুত আমাদের নতুন সদস্য নিয়োগ দেবে।’

আরও পড়ুনআইএসডিবি-বিআইএসইডব্লিউতে ২ লাখ সমমূল্যের কোর্স, বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান, আবেদন করুন দ্রুত৫ ঘণ্টা আগে

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আগের ছয় সদস্য নিয়োগে সতর্কতা ছিল না। উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ছয়জনের কেউ কেউ আগের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। কেউ মন্ত্রীঘনিষ্ঠ ছিলেন। একটা সরকার থাকার সময় তাঁরা সরকারের সিদ্ধান্ত যেগুলো পরে সমালোচনা হচ্ছে, সেই পদে ছিলেন ও অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। ফলে পিএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আন্দোলনের স্পিরিটকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।

এই নিয়োগ দীর্ঘায়িত করার মাধ্যমে পিএসসির গতি কমে গেল। নতুন সদস্যদের নতুন কাজ দেওয়ার ভাবনা ছিল পিএসসির, তা সহসাই হচ্ছে না। এখন সরকারও বিব্রত, তাই নতুন নিয়োগে বেশ বাছাই হবে। সময় লাগবে নিয়োগ পেতে। ভাইভা দির্ঘায়িত হচ্ছে। কম সদস্য দিয়ে বেশি বোর্ড চালানো যাচ্ছে না। ভাইভা নেওয়ার গতি বেগ পাচ্ছে না। ভাইভা নিতে যেহেতু অনেক সময় থাকতে হয়, তাই সেভাবে অন্য কাজ এগোচ্ছে না। অন্য বিসিএস বা নতুন ৪৭তম বিসিএসের কাজেও গতি কমে যাবে। তবে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান চান চাকরিপ্রার্থীরা।

আরও পড়ুনপিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল২২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঘাড়ব্যথার কারণগুলো কী কী, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা জেনে রাখুন

অনেক কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

১. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

২. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস

৩. সারভাইক্যাল রিবস

৪. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া

৫. সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে

৬. মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি

৭. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা

৮. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগ

৯. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়

১০. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ

১১. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া

১২. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস

১৩. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস

১৪. ফাইব্রোমায়ালজিয়া

১৫. সামনে ঝুঁকে বা পাশে কাত হয়ে ভারী কিছু তুলতে চেষ্টা করা

১৬. হাড়ের ইনফেকশন

১৭. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)

১৮. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু বা উঁচু করে রাখলে ইত্যাদি।

উপসর্গ

ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।

কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব।

বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।

সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে আছে মনে হয়।

ঘাড়ের মুভমেন্ট করলে, ঘাড় নিচু করে ভারী কিছু তোলার পর তীব্র ব্যথা।

হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়।

ব্যথা মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনে আসতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা হতে পারে—রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, ঘাড়ের এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।

চিকিৎসা

চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।

কনজারভেটিভ চিকিৎসা: ১. ব্যথা বা প্রদাহনাশক ওষুধ ২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেমন ম্যানুয়াল বা ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট যেমন ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথারমি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।

সার্জিক্যাল চিকিৎসা: মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।

২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।

৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।

৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।

৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।

৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) বন্ধ করা।

৭. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।

৯. কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।

১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।

১১. গরম প্যাড, গরম পানির বোতল দিয়ে গরম সেঁক দেবেন।

১২. ঘাড়ের পেশি নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।

এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনকাঁধের ব্যথা বা কাঁধ জমে যাওয়ার কারণ ও করণীয়১৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ