ভোটের সময়সীমা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে স্বস্তি–সংশয় দুটোই আছে
Published: 11th, July 2025 GMT
লন্ডন বৈঠকের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা না থাকায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে একধরনের সংশয় তৈরি হয়েছিল। গত বুধবার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনা দেওয়ায় দলটির সংশয় কিছুটা কেটেছে, স্বস্তিও ফিরছে।
সরকারের দেওয়া ভোটের এই সময়সীমার ওপর জামায়াতে ইসলামী আস্থাশীল বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে এই ভোট যেন আওয়ামী লীগ আমলের মতো না হয়, সে নিশ্চয়তা চায় দলটি। অন্যদিকে, এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাগুলো জানিয়েছেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না: মামুনুল হক
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিশন স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, গত ১৬ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য দরজা খুলে দেওয়ার মানে হলো অপরাধীদের দায়মুক্তি ও জনগণের প্রতি অবিচার। তারা এই কার্যালয় স্থাপন করতে দেবে না।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার অবিলম্বে সরে না এলে হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেবে। জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার বাস্তবে ইসলাম ও মানবতার পরিপন্থি পশ্চিমা আদর্শের হাতিয়ার। খাল কেটে কুমির আনার অধিকার সরকারকে কেউ দেয়নি।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।