কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী খোকন মোল্লা নিহতের মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫০), আনিসুর রহমান (৪০) ও রাজা মিয়া (৫৩)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১২ জানুয়ারি স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত খোকন মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় হত্যা মামলায় তিন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচ
সমাপনী কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি ৪৮০ জনের, অনশনে ৩২১

এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে মিরপুর থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

গত ১২ জানুয়ারি বিকেলে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া গ্রামে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় জামায়াত ও বিএনপির অন্তত ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বেশিরভাগ জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল হতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে বুরাপাড়া গ্রামের নওশের মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা মারা যায়।

ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ