যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ইসরায়েলি হামলায় ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত
Published: 16th, January 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি হলেও হামলা থামেনি। বুধবার রাতে এ চুক্তি সই হয়। এর পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৩০ জন। হতাহতদের মধ্যে ২০ শিশু ও ২৫ নারী রয়েছেন। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি কার্যকর হবে আগামী রোববার থেকে। এ নিয়ে গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে বেদনামিশ্রিত আনন্দ দেখা গেছে। তারা বাড়িঘরে ফিরবেন। এসবের মধ্যেই হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
এরই মধ্যে চুক্তির বিস্তারিত আসতে শুরু করেছে। তিন ধাপে এ চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে যুদ্ধবিরতি। এ সময় হামাস তাদের হাতে থাকা ৩৩ জিম্মিকে মুক্ত করবে। ইসরায়েল তাদের কারাগারে আটকে রাখা নারী-শিশুসহ কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলের একজন জিম্মির বিনিময়ে মুক্ত হবেন ৫০ ফিলিস্তিনি। যাদের মুক্ত করা হবে, তাদের মধ্যে ৩০ জন দোষী সাব্যস্ত হয়ে ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। প্রথম ধাপে গাজায় ত্রাণ ও জ্বালানিবাহী গাড়ি প্রবেশ করবে।
দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। মুক্তি পাবেন হামাসের হাতে আটক থাকা ইসরায়েলের সেনাসদস্যরাও। এ ধাপে গাজা উপত্যকা থেকে সব সেনা সরিয়ে নেবে ইসরায়েল। পাশাপাশি স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে দু’পক্ষ আলোচনায় বসবে।
তৃতীয় ধাপ নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। এ ধাপে বন্দি অবস্থায় মৃতদের দেহ হস্তান্তরের বিষয় থাকতে পারে। এ ছাড়া গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ কারা করবে এবং পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজা কাদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতে শাসনভার দিতে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েল একেবারে হামলা চালাবে না– এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না। কারণ, লেবাননে যুদ্ধবিরতি ভেঙে তারা হামলা চালিয়েছে।
এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি সরাসরি তদারকি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভেন উইটকফ। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে ট্রাম্প জোর চাপ দিয়েছেন নেতানিয়াহুকে। এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরেজমিন কাজ করেছেন উইটকফ। এর আগে চুক্তিটির খসড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদন করে। গত বছর এটি পর্যালোচনা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। চুক্তির পর এর কৃতিত্ব দাবি করে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে বাইডেন বলেছেন, এটা তাঁর কূটনৈতিক সফলতা।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি জানান, চুক্তির ৭২ ঘণ্টা পর রোববার তা কার্যকর হবে। ততক্ষণে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা এটির অনুমোদন দেবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে গাজায় লড়াই বন্ধ হবে; ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের কাছে অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পৌঁছবে। সেই সঙ্গে জিম্মিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পারবেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণ এখনও পর্যালোচনা করা হয়নি। তবে বাইডেন এটা করায় তাঁকে ধন্যবাদ। চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে হামাসের নেতা খলির আল-হাইয়া বলেন, এটা ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতিরোধের ফসল।
বিবিসি জানায়, চুক্তির খবরে অনেক ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের পরিবার উদযাপন করলেও গাজায় হামলা অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দিয়ে ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালায়। হামলা হয়েছে নুসেইরাত ও বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে, জাবালিয়া ও উত্তর গাজায়। চুক্তির বিষয় ঘোষণার পরপরই ইসরায়েল উত্তর গাজার শেখ রিদওয়ান আবাসিক এলাকায় হামলায় চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। পরে গাজায় হামলা শুরু হয়। এ পর্যন্ত তারা ৪৬ হাজার ৭৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৩ জন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে উপত্যকাটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে খাবার, জ্বালানি, ওষুধের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। গাজার বাসিন্দারা তীব্র শীতের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চলতি শীত মৌসুমে সেখানে ঠান্ডায় মৃত্যু হয়েছে অনেক শিশুর।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের গালফ স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যাপক লুসিয়ানো জাক্কারা বলেন, জো বাইডেনের একটি কথা সত্য হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, গাজায় সামরিক বিজয় সম্ভব নয়। সেটাই হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে চুক্তি করেই। এতে হামাস হয়তো দুর্বল হবে, কিন্তু তাদের নির্মূল করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অধ্যাপক লুসিয়ানো বলেন, মিসর ও গাজার মধ্যকার ফিলাডেলফিয়া করিডোর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলের সম্মতিতে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র ত হয় ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গের চার শ্রমিককে বিদেশি বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা ভারতের
আসাম রাজ্যের পর গোটা ভারত থেকেই বাংলাদেশি বলে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো (পুশইন) হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা–ই নয়, প্রমাণের অভাবে আবার তাঁদের অনেককে ফিরিয়েও আনতে হচ্ছে বলে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চল থেকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরই সংবাদমাধ্যম।
দক্ষিণ ও মধ্য বাংলার দুই জেলা বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের চার পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁদের ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেয়। এরপর বিএসএফ তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। এ চারজনই আবার মুসলমান।
মুম্বাইয়ে কাজ করতে যাওয়া মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের এই চার পরিযায়ী শ্রমিককে মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। কোনো রকম যাচাই না করেই তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে গতকাল রোববার বিকেলে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছ থেকে ওই তিন নাগরিককে ফেরত নিয়ে বিএসএফ তাঁদের কোচবিহার জেলার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
চারজনের মধ্যে তিনজনই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, ভগবানগোলার মহিষাস্থলি গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহবুব শেখ ও বেলডাঙার কাজিশাহার বাসিন্দা মিনারুল শেখ। অন্যজন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফা কামাল। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে তাঁরা রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। হেফাজতে নেওয়ার পাঁচ দিন পর তাঁদের উদ্ধার করা হলো বলে জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র ‘পুবের কলম’ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাঁদের কাছে বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে দুই প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র ‘পুবের কলম’ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাঁদের কাছে বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে দুই প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুই দিন ধরে তাঁরা কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে কিছুটা দূরে জিরো পয়েন্টে ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় মুঠোফোন থেকে ভিডিও বার্তায় ওই চার শ্রমিক তাঁদের দুর্দশার কথা জানান। তারপরেই তাঁদের ফেরানোর তৎপরতা শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলামসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা। পুলিশও বিষয়টি বিএসএএফকে জানায়।
হরিহরপাড়ার বাসিন্দা শামীম রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘স্থানীয় তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়। তারপর তাঁদের ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়। তাঁরা উদ্ধার হয়ে ঘরে ফিরছেন ভেবে ভালো লাগছে।’
সূত্রের খবর, বাংলাদেশি সন্দেহে চারজনকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ১০ জুন বিএসএফের হাতে তুলে দেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ। তাঁদের মুম্বাই থেকে আগরতলা ও পরে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে পাঠানো হয়। ওই শ্রমিকদের টাকা, মুঠোফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন দুই বছর ধরে মুম্বাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গতকাল সকালে তাঁর স্ত্রী পিংকি বিবি হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের সঙ্গে দেখা করেন। বিধায়কের মাধ্যমে বৈধ নথি সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলাম ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। তারপরই তাঁদের ঘরে ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়।
হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, নাজিমুদ্দিন এ দেশেরই নাগরিক। তাঁর বৈধ নথি ও নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র রয়েছে।
বিধায়ক নিয়ামত শেখ আরও বলেন, ‘তাঁর মতো আরও তিনজনকে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় কেন্দ্রের বিএসএফ। গতকাল বিকেলে তাঁরা বিএসএফের হেফাজতে আসেন। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা ঘরে ফিরবেন।’
এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশের তরফে গতকাল জানানো হয়, আটক ব্যক্তিদের কাগজপত্র রোববার বিএসএফের হাতে তুলে দেয় রাজ্য পুলিশ। এরপরে বিএসএফ যাবতীয় কাগজপত্র রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে যাচাইয়ের পরে তা বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) হাতে তুলে দেয়।
এরপর বিএসএফ সবাইকে ফেরানোর ব্যবস্থা করে এবং কোচবিহার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মুর্শিদাবাদ ও বর্তমানের জেলা পুলিশের একটি দল ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আজ সোমবার তাঁদের নিজে নিজে জেলায় ফেরানো হবে বলে জানা গেছে।
চারজনের মধ্যে তিনজনই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, ভগবানগোলার মহিষাস্থলি গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহবুব শেখ ও বেলডাঙার কাজিশাহার বাসিন্দা মিনারুল শেখ। অন্যজন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফা কামাল।বাঙালি বলে হেনস্তা পশ্চিমবঙ্গে
তবে শুধু দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকই নন, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত অনেকেই সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অন্যভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।
দিল্লির এক অধ্যাপিকা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক মাসে চারবার দক্ষিণ কলকাতার প্রধান পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও তিনি তাঁর ২০০৭ সালের পুরোনো পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেননি।
এই অধ্যাপিকা বলেন, ‘আমাকে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, এখানে প্রচুর বাংলাদেশি ঢুকেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে কারণে আমাদের যাঁদের প্রায় ২০ বছর ধরে বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁদেরও সহজে পাসপোর্ট নবায়ন করা হচ্ছে না।’