Samakal:
2025-06-17@00:07:04 GMT

পাখির নেই কোনো সীমানা

Published: 17th, January 2025 GMT

পাখির নেই কোনো সীমানা

দুটি দেশ যেখানে মিলিত হয়, সেখানে থাকে আন্তঃদেশীয় সীমানা। গবেষণা বলে, এই আন্তঃদেশীয় সীমানাগুলো বন্যপ্রাণী তথা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পৃথিবীর মোট জীববৈচিত্র্যর ৫৭ শতাংশের খোঁজ মেলে এ এলাকাগুলোতে। মানুষের চলাচল কিংবা মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ড কম থাকায় এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এ পরিবেশের গুণগত মান জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল হিসেবে খুবই অনুকূল। এ কারণে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর আনাগোনা তূলনামূলক বেশি।  ইন্দো-চায়না এবং ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলের মিলনস্থলে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে রয়েছে বন্যপ্রাণীর এক সমৃদ্ধ ভান্ডার; যার মধ্যে রয়েছে সাত শতাধিক প্রজাতির পাখি। এ পাখির মধ্যে ৩৩৭টি প্রজাতি আমাদের দেশের আবাসিক পাখি, ২০৮টি শীতকালীন পরিযায়ী, ১২টি গ্রীষ্ম পরিযায়ী, ১৪টি পান্থ পরিযায়ী এবং ১১৯টি প্রজাতি ভবঘুরে।

বাংলাদেশের স্থল সীমান্তরেখার দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৯৪ শতাংশ ভারতের সঙ্গে এবং বাকি ৬ শতাংশ মিয়ানমারের সঙ্গে। এই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো ঘিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় রয়েছে অসংখ্য সংরক্ষিত এলাকা। এ ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে পুরো সীমানাই পাহাড়ি বনে আচ্ছাদিত; যার ফলে বন্যপ্রাণীরা এ এলাকাগুলোকে কেন্দ্র করে বিচরণ করে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতেও। বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের এলাকা, হিমালয়কন্যা তেঁতুলিয়া তিন দিক থেকে ভারতীয় সীমানা দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় এখানে রয়েছে অসংখ্য পাখির সমাহার।
সম্প্রতি তেঁতুলিয়ায় পাখির ওপর করা আমাদের একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ‘স্প্রিঙ্গার’ নামক একটি জার্নালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ ফিরোজ জামানের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি হয়। গবেষক হিসেবে ছিলাম আফসানা ইমরোজ আর আমি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মো. মাহাবুব আলম ও মো. ফজলে রাব্বি ছিলেন সহ-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চালানো গবেষণায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৭৪ প্রজাতির পাখি। এর মধ্যে ১২২টি প্রজাতি স্থানীয়। বাকি ৫২টি শীতকালে অতিথি হয়ে উড়ে আসে খাদ্য ও আশ্রয়ের সন্ধানে। এলাকাটিতে সবচেয়ে বেশি দেখা সাত ভাই ছাতারে, বনছাতারে বা ক্যাচক্যাচিয়া। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পাখির মধ্যে আছে– ঘুঘু, ফিঙে, কোকিল, মুনিয়া, খঞ্জন, ছাতিঘুরানি, শ্বেতাক্ষী, কাঠঠোকরা, প্যাঁচা, পানকৌড়ি,  ঈগল, বাজ, গাংচিল,  মাছরাঙা ইত্যাদি। এখানে আমরা বনভূমিকেন্দ্রিক পাখিদেরই তূলনামূলক বেশি দেখা পাই। এ ছাড়া চা বাগানের পরিমাণ বেশি থাকায় এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পাখির। যেমন হলদে চোখ ছাতারে, চুকটি, দামা, শ্যামা, কোয়েল, কাঠঠোকরা।
পুরো বছরকে আমরা তিনটি মৌসুমে ভাগ করে সরাসরি মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করি। গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত। শীতে এই এলাকা অতিথি পাখির আনাগোনায় পরিণত হয় পাখির স্বর্গে। চাতক, বউকাও, নীললেজ সুইচোর এখানকার গ্রীষ্ম পরিযায়ী পাখি। বিভিন্ন প্রজাতির বুনোহাঁস, সৈকত পাখি, ঘাসবনের পাখি, আশটে দামা, পরিযায়ী গায়ক পাখি এখানকার উল্লেখযোগ্য পরিযায়ী পাখি। এখানে আরও দেখা মেলে লাল ঘার কাস্তেচরার।

এ গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যমতে, বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে এখানে। এর মধ্যে দেশি গুটি ঈগল, চারটি সংকটাপন্ন প্রজাতির হলদে চোখ ছাতারে, বড় গুটি ঈগল, শেখ ফরিদ, মদনটাক, কালা মাথা কাস্তেচরা অন্যতম। পাশাপাশি এখানে সম্প্রতি দেখা মিলেছে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া সবুজ ময়ূরের। তাহলে বলাই চলে এ এলাকা জীববৈচিত্র্যের জন্য, বিশেষ করে পাখির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, আমরা পাখির পাশাপাশি জলাভূমির সুস্থতার নির্দেশক ফড়িং নিয়েও গবেষণা করি। আমরা মোট ৪৭ প্রজাতির ফড়িংয়ের সন্ধান পাই, যা দেশের মোট ফড়িং প্রজাতির অর্ধেক। পাওয়া যায় কিছু দুর্লভ প্রজাতির ফড়িং।

এ এলাকার বৈচিত্র্যে ঘেরা পাখিদের আবাসস্থল যেমন মানব বসতিকেন্দ্রিক বন, ঝোপঝাড়, নদী, ঝিরি, চা বাগান, জলাভূমি, প্লাবন ভূমি, ফসলের মাঠ, সবুজে ঘেরা অরণ্যের বৈচিত্র্যময়তার কারণে জীববৈচিত্র্য এতটা বেশি সমৃদ্ধ।
তেঁতুলিয়ার পাখিবৈচিত্র্য এবং আমাদের দীর্ঘমেয়াদি  এই গবেষণা এটাই প্রমাণ করে, আমাদের আন্তঃসীমানা এলাকাগুলো জীববৈচিত্র্যে ভীষণ সমৃদ্ধ।  সংরক্ষিত এলাকার বাইরে এ এক পাখির স্বর্গ। তেঁতুলিয়াসহ আন্তঃদেশীয় সীমানায় অবস্থিত এলাকাগুলোতে আমাদের পাখি সংরক্ষণে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া সময়ের দাবি। দরকার বিস্তৃত গবেষণা এবং সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক সহযোগিতা। v

লেখক: বন্যপ্রাণী গবেষক ও পরিবেশবিদ 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক গ ল এ এল ক পর য য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে আবার ইরানের হামলা, নাগরিকদের নেওয়া হলো সুরক্ষিত এলাকায়

ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে ইরান নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের এক মুখপাত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলা ভোর পর্যন্ত চলবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি ও আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজের প্রতিবেদনেও নতুন করে ইসরায়েলে ইরানের হামলা চালানোর কথা বলা হয়েছে। খবর-গার্ড়িয়ান

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি শহর তেল আবিব ও হাইফা শহরে আঘাত করেছে। এতে চলতি সপ্তাহের জি-৭ বৈঠকে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে যে, এই দুই আঞ্চলিক শত্রুর মধ্যে সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যকে একটি বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ইরান থেকে ছোড়া নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। 

নাগরিকদের সুরক্ষিত এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান: ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের হামলার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার পর পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, ‌দেশের সমস্ত অঞ্চলের সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে যাওয়া সম্ভব। নাগরিকরা এখন দেশের সমস্ত অঞ্চলের সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে যেতে পারে।

এর আগে রোববার সোমবার ভোরে ইসরায়েলে ইরানের হামলায় চারজন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গার্ডিয়ান। এছাড়া বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে।   

ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জরুরি পরিষেবা সোমবার জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের চারটি স্থানে হামলায় চারজন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং দুজন পুরুষ, যাদের সকলের বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।

নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে: ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলায় শুক্রবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

তেল আবিবের কাছে মধ্য ইসরায়েলি শহর পেতাহ টিকভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সেখানে একটি আবাসিক ভবনে আঘাত করেছে। কংক্রিটের দেয়াল পুড়ে গেছে। জানালা উড়ে গেছে। একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হাইফায় হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অনুসন্ধান চলছে। যেখানে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

নতি স্বীকারের কোনোও ইচ্ছা নেই: ইরান
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, দেশটি ইসরায়েলে কমপক্ষে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে উত্তেজনা কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বানের কাছে নতি স্বীকার করার কোনোও ইচ্ছা তাদের নেই। কারণ শুক্রবার তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলের আকস্মিক আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তারা জোর দিয়েছে।

এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সংক্ষেপে প্রচারিত ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বর্তমানে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু।’ এতে কিছুক্ষণের জন্য টেলিভিশনটির সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মিনিট পরে সেটি পুনরায় সম্প্রচারে আসে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের অধীনস্থ ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক (আইআরআইএনএন) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছে। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘সত্যের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলের হামলার পর আগুনে পুড়তে থাকা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক সাংবাদিক। ভিডিওটিতে ওই সাংবাদিক বলেন, তিনি নিশ্চিত নন—এই হামলায় তার কতজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলি হামলায় সেখানকার বেশ কয়েকজন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের পরিচয় কী, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানাননি কর্মকর্তারা।

টেলিভিশনটির একজন সাংবাদিক বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, হামলার সময় তারা ভবনটিতে কাজ করছিলেন। তখন সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। কিন্তু আকস্মিক হামলার পর কিছুক্ষণের জন্য সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মিনিট পর অবশ্য পুনরায় সম্প্রচার কাজ চালু করতে সক্ষম হন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

একপর্যায়ে টেলিভিশনটির সম্প্রচার শাখার প্রধান পেমান জেবেলি রক্তমাখা একটি কাগজ নিয়ে পর্দায় হাজির হন। সেটি দেখিয়ে তিনি বলেন, তারা ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন’।

গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘সত্যের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের হামলার আগ মুহূর্তে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পর্দায় উপস্থাপিকাকে দেখা যাচ্ছিল। হামলার সময় উপস্থাপিকাকে দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে, গণমাধ্যম কার্যালয়টি ইরান সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।

এই হামলার কিছুক্ষণ আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। কাৎজের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলার কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। হামলার পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তেহরানের স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যেতে বলার পরে ওই হামলাটি চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ইরানের স্বৈরশাসক যেখানেই থাকুন না কেন, তাকে আঘাত করা হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ