‘নমরুদের মতো শেখ হাসিনাও নিজেকে আইন, আদালতের ঊর্ধ্বে মনে করতেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়ার গাবতলী উপ‌জেলার বাগবাড়িতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত‌ব্যে তি‌নি এ কথা ব‌লেন। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “নমরুদ যেমন মনে করতেন আল্লাহর চাইতে তার বেশি শক্তি, শেখ হাসিনা সেই পর্যায়ে ছিল। তিনি দুর্নীতি করবেন, টাকা পাচার করবেন কিন্তু কেউ তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। এত ক্ষমতা যে তার কথায় চারিদিক থেকে পুলিশ, বিজেপি গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামাতে ঝাঁপিয়ে পড়তো। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের পথ বন্ধ করতে গুমের রাজনীতি শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদেরকে গুম করে অদৃশ্য করে দিয়েছেন।” 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, “এখানেই থামেননি ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ছাত্রনেতা, যুবনেতা থেকে শুরু করে উপজেলা চেয়ারম্যান অব্দি অনেকের লাশ বিভিন্ন নদীর ধারে পাওয়া গেছে। এই পনেরো বছর চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ। সজীব ওয়াজেদ জয় শতশত লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে‌নি। জিয়াউর রহমান তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে, তার আদর্শে এমন দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন যেন হাজার বছর ধরে তা লালন করা যায়।” 

অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, “শহীদ জিয়াউর রহমান চিরদিন-চিরকাল মানুষের হৃদয়ে মাঝেই বেঁচে থাকবেন। তিনি একজন দেশ প্রেমিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি মানুষের ও দেশের কল্যাণে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। কৃষকের সুবিধার জন্য তিনি একাই ১৪০০ কিলোমিটার খাল খনন করেছিলেন।”

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠা‌নে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সহ-সভাপতি রাসেল মাহমুদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান আবির, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মামুন হাসমি দিপু, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা; 

কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, বিএনপি নেতা তাহা উদ্দিন নাঈম, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ অনেকে।

ঢাকা/এনাম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ