Samakal:
2025-07-31@00:29:03 GMT

পড়াশোনা যখন বন নিয়ে

Published: 19th, January 2025 GMT

পড়াশোনা যখন বন নিয়ে

সবুজ বনবনানীর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। বিভিন্ন বনাঞ্চলে ঘুরে বেড়ানো আমাদের অনেকেরই শখ। কেমন হয় যদি আপনার পড়াশোনার বিষয়ই হয় বন? পড়াশোনার সুবাদেই ঘুরতে পারেন দেশের প্রায় সব বনাঞ্চলে? এর জন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে বনবিদ্যা বিষয়টি। 
বনবিদ্যায় পড়াশোনায় সুযোগ থাকে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার। 
কোথায় পড়বেন
বর্তমানে বাংলাদেশের ৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)। 
পড়াশোনার বৈচিত্র্য
বনবিদ্যা মানে শুধুই গাছ নিয়ে পড়া এমন নয়, এটি একটি মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট। বনবিদ্যায় ফরেস্ট ইকোলজি, বোটানি, ডেন্ড্রোলজি, ট্রি ফিজিওলজি, জিওলজি, জেনেটিক্স, সিলভিকালচার, বায়োডাইভার্সিটি, ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট, ফরেস্ট বায়োএনার্জি ছাড়াও উড ফিজিক্স ও মেকানিক্স, স মিলিং, স ডক্টরিং, উড কেমিস্ট্রি, ফরেস্ট ইকোনমিক্স, কৃষি বনবিদ্যা, পাল্প-পেপার টেকনোলজি, উড মডিফিকেশন, ফরেস্ট ল,  ফরেস্ট প্যাথলজি পড়ানো হয়। এ ছাড়া সাধারণত কম্পিউটার সায়েন্স, গণিত, সার্ভেয়িং, রিমোট সেন্সিং, জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম, টি সায়েন্স, পরিসংখ্যান, অ্যাকাউন্টিং বিষয়গুলোও এ বিভাগে পড়ানো হয়ে থাকে। চার বছরের বিএসসি অনার্স কোর্সটি মোট আট সেমিস্টার/টার্মে শেষ হয়। আটটি সেমিস্টারে মোট ১৬০ এর বেশি ক্রেডিট অর্জন করতে হয়। প্রতি সেমিস্টারে যেতে হয় কোন না কোন বনাঞ্চলে। 
বিদেশে পড়ার সুযোগ
বনবিদ্যায় পড়ালেখা করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই বনবিদ্যার ওপর অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি এবং ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে। বনবিদ্যায় স্নাতক অসংখ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃত্তি নিয়ে পড়ালেখা করছেন। 
চাকরির সুযোগ
সরকারি পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন, স্পেস রিসার্চ অ্যান্ড রিমোট সেন্সিং অর্গানাইজেশন অব বাংলাদেশের ফরেস্ট্রি সেক্টর, আইইউসিএন, জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক, সাফারি পার্ক, বন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিটিউটে চাকরির সুযোগ রয়েছে। 
এর বাইরে বনবিদ্যা স্নাতকদের জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার

ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে বিগত কয়েক দিনে উন্নত সাত দেশের জোট জি-৭-এর তিন সদস্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলল।

গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।

তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। সেগুলো হলো—ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। পরে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।

ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর থেকেই মার্ক কার্নির ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাঁকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক। তাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড কানাডার স্বার্থ ও মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ