বিপিএলের এবারের আসরে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে মেজাজ হারাতে দেখা গেছে কয়েকবার। চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে এক ম্যাচে সতীর্থ ডেভিড মালানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে রান আউট হওয়ার পর তার রাগান্বিত অভিব্যক্তি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে তামিমের সমালোচনাও হয়েছে। তবে তামিম এবং মালান দুজনই পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি।  

মঙ্গলবার চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ডেভিড মালান বলেন, ‘তামিমের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা হয়নি। আউট হওয়ার পর আমি হাত তুলে ‘সরি’ বলেছি। তামিম তখন কিছুই বলেনি, শুধু মাঠের বাইরে চলে গেছে। প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড় আমাকে কিছু বলেছিল, আমি তারই জবাব দিচ্ছিলাম। কিন্তু মানুষ ভাবছে, তামিমের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। এটা একদমই মিথ্যা। পুরো দল সাক্ষ্য দিতে পারে যে এমন কিছু হয়নি।’

মালান আরও যোগ করেন, ‘আসলে আউটের কারণে আমি নিজেই হতাশ ছিলাম। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের মন্তব্যে আরও বিরক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু এই ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’  

এদিকে, তামিম ইকবাল নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘মাঠে ভুল বোঝাবুঝি হওয়া স্বাভাবিক। আমি রান আউট হওয়ার পর মালান হাত তুলে সরি বলেছে। আমি কিছু না বলে মাঠের বাইরে চলে যাই। মালান তখন প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড়ের মন্তব্যের জবাব দিচ্ছিল। কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে বলা হচ্ছে, আমার সঙ্গে মালানের ঝগড়া হয়েছে। এটি একেবারেই মিথ্যা।’

তামিম আরও বলেন, ‘মাঠের ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে এমন গুজব ছড়ানো উচিত নয়। এটি খেলোয়াড়দের জন্য হতাশাজনক।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪

কুমিল্লায় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, “গত দুইদিনে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার আরো একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।”

তিনি বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কুমিল্লা নগরের, কেউ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। সবার নমুনা কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছিল।”

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে আরো ১ জনের করোনা শনাক্ত 

কিট সংকটে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ

ডা. বশির আহমেদ বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। দুইজন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

করোনার প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন কুমিল্লায় নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে ছিলেন নগরবাসী। হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জনমনে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মাস্ক পরছেন এবং সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করছেন। তবে, গণপরিবহন, বাজার কিংবা ওষুধের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি।

কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন, “আবার যেন সেই দিনগুলো ফিরে আসছে। দোকান-বাজারে মাস্ক ছাড়া মানুষ চলাফেরা করছে। আমরা তো আরেক দফা লকডাউনের ভয়ে আছি।”

সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রচার অভিযান চালানো হবে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডাক্তার সানজিদুর রহমান বলেন , “করোনা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা অবহেলার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবস্থা জটিল হতে পারে।”

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কুশ  বড়ুয়া বলেন, “করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১
  • রাতারাতি তারকা হলে দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন: রিচি
  • গুম করা হতো তিনটি ধাপে 
  • এক মৃত্যুপথযাত্রী পিতার থেকে ২০টি শিক্ষা
  • রেনু বেগমের ‘বুকভাসা চোখের পানি’ কেন
  • ইরান অনড়, ইসরায়েল কঠোর
  • ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
  • নীরব ভালোবাসার আরেক নাম
  • নারীবাদের ছদ্মবেশে ভারত যখন যুদ্ধ চালায়
  • কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪