Samakal:
2025-09-18@03:29:55 GMT

ট্রাম্প ও টিকটক

Published: 20th, January 2025 GMT

ট্রাম্প ও টিকটক

দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নানা ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। রোববার ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর আগের দিন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক আইনি নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে গেলেও ট্রাম্পের আশ্বাসের ভিত্তিতে আবার চালু হয়েছে। 

বলা বাহুল্য, চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নানা কারণেই আলোচনায়। ‘নিরাপত্তাজনিত’ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতসহ অনেক দেশ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করে, ২০২৩ সাল থেকেই নিষেধাজ্ঞার আলোচনা চলছে। খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানও টিকটকের বিরুদ্ধে ছিল। এবার নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি ৯০ দিনের সাময়িক ছাড় দেওয়ার কথা বললেন। এমনকি টিকটকের সিইও শিও জি চিউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদ (২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত) থেকেই নানা কারণে আলোচিত। অন্যদিকে টিকটকও দেশে দেশে ব্যাপক আলোচতি ও সমালোচিত। তবে প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সামাজিক মাধ্যমকে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন এবং ২০২০ সালেই নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। এর পর যুক্তরাষ্ট্রে আইনি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় টিকটক। পরের বছর জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর টিকটক বন্ধে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেন। এর পরও প্রশাসনিক ও আইনি লড়াই চলতে থাকে। কিন্তু ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অবস্থান পাল্টিয়ে টিকটক রক্ষায় ভূমিকা পালন করেন। এমনকি টিকটক যাতে নিষিদ্ধ না হয়, সে জন্য নানামুখী তৎপরতা চালান।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের এপ্রিলে ‘পাবলিক ল ১১৮-৫০’ নামে আইনে স্বাক্ষর করেন। সেখানে আমেরিকা সুরক্ষার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার আলোকেই ২০২৫ সালে এসে টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। বিকল্প হিসেবে টিকটককে আমেরিকার কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রির কথা ছিল। সে অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপে ঢুকলে দেখেন, ‘আইনগতভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে’। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক ‘রক্ষার’ ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের কাছ থেকে পাওয়া ৯০ দিন সময়ে টিকটকের বাঁচা-মরার লড়াই কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 
ট্রাম্পের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টও আছে। গত বছরের ২ জুন প্রথমবারের মতো তিনি টিকটকে পোস্ট করেন। যদিও তিনি ২০২০ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক মাধ্যম ট্রিলারে যোগ দিয়েছিলেন। 

শুধু টিকটক নয়; বিশ্বে পরিচিত অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু তিক্ত ও মজার অভিজ্ঞতা আছে। টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউবের সঙ্গেও বিরোধে জড়ান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভুয়া ভিডিও পোস্ট করেছেন বলে ২০২১ সালে টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ট্রাম্পের সেই ভিডিও মুছে দেয়। এখন অবশ্য তিনি প্রায় সবটাতে ফিরে এসেছেন। তাঁর অধিকাংশ তৎপরতাই সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে পওয়া যায়। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কী করেন, সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী তাঁর বিরোধিতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে যে জনপ্রিয়তা রয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়াই তার প্রমাণ। সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তাও তার সাক্ষ্যবহ। তিনি তাঁর পুরোনো প্রকল্প ফের সামনে এনেছেন। অভিবাসী নিয়ে তাঁর অবস্থান বিষয়েও অনেকে শঙ্কিত। টিকটকের বিপক্ষে থাকা ট্রাম্প যদি প্ল্যাটফর্মটি রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে পারেন, হয়তো তিনি এখন যেসব বিষয়ের বিরোধিতা করছেন, সেগুলোর পক্ষেও তাঁকে দাঁড়াতে দেখা যেতে পারে।  

মাহফুজুর রহমান মানিক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, সমকাল
    mahfuz.

manik@gmail.com 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কটক র ব ট কটক ব

এছাড়াও পড়ুন:

৫ কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: ৩ জনকে দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অভিযুক্তরা এর আগে শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুর সহযোগী হিসেবে শেয়ার কারসাজিতে জড়িত ছিলেন এবং তাদেরকে একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

শেয়ার কারসাজির কোম্পানিগুলো হলো- গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির কর্মকর্তারা রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তথ্য মতে, ২০২১ সালের ১৯ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে তারা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই সময়ে অর্থাৎ ১০ দিনে কোম্পানির শেয়ারের দাম বহুগুণ বেড়ে যায়। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে দীর্ঘদিন পর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে ওই সময়কালে গুঞ্জন ছিল- গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজি চলছে। কোম্পানিটির ব্যবসা ও আর্থিক অবস্থার উন্নতির কারণে নয়, বরং কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন যেকোনো ধরনের কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৯ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কারসাজি করে বাড়ানোর দায়ে ৩ ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে মো. সাইফ উল্লাহকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, মো. এ.জি. মাহমুদ ও মো. সাইফ উল্লাহকে যৌথভাবে ৪২ লাখ টাকা ও এস. এম. মোতাহারুল জানানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে হিসেবে অভিযুক্তদের মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

কারসাজিতে জড়িতদের পরিচিতি

স্বল্প সময়ের মধ্যে ৫টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে মো. সাইফ উল্লাহ, মো. এ.জি. মাহমুদ ও এস. এম. মোতাহারুল জানান বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এ শেয়ার কারসাজিতে নেতৃত্ব দেন শেয়ার ব্যবসায়ী মো. সাইফ উল্লাহ। আর তাকে সহযোগিতা করেন শেয়ার ব্যবসায়ী মো. এ.জি. মাহমুদ ও এস. এম. মোতাহারুল জানান। এর মধ্যে মো. সাইফ উল্লাহর শ্যালক মো. এ.জি. মাহমুদ। আর এস. এম. মোতাহারুল জানান তাদের সহযোগী। সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স লিমিটেডে অভিযুক্ত ৩ ব্যক্তির বিও হিসাব রয়েছে। তারা সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ায়। তারা সবাই সমবায় অধিদপ্তরে উপ-নিবন্ধক ও বিশিষ্ট শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুর সহযোগী।

এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্ব থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে শেয়ার কারসাজির জন্য মো. সাইফ উল্লাহকে ১৫ লাখ টাকা ও মো. এ.জি. মাহমুদকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতেও জড়িত থাকার অভিযোগে হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মো. সাইফ উল্লাহকে ৫০ লাখ টাকা ও মো. এ.জি. মাহমুদকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।

ওই বছরের মে মাসে ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার নিয়ে শেয়ার কারসাজির জন্য মো. সাইফ উল্লাহকে ৩০ লাখ টাকা এবং মো. এ.জি. মাহমুদকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

একই বছরের আগস্টে জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে মো. সাইফ উল্লাহকে ৪০ লাখ টাকা এবং মো. এ.জি. মাহমুদ ও এস. এম. মোতাহারুল জানানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএসইসির তদন্ত কার্যক্রম

২০২১ সালের ১৯ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে যোগসাজশ করে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ২৩.৯২ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ২৫.২৮ শতাংশ, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ৩৪.৬৫ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ৩৭.৩৫ শতাংশ ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ১৪.৭৪ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতে স্বল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ায় কারসাজি চক্র। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির তদন্তে দীর্ঘদিন পর অবশেষে তা প্রমাণিত হয়েছে।

বিএসইসির সিদ্ধান্ত
কমিশন জানায়, অভিযুক্তরা ২০২১ সালের ১৯ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে কারসাজি করে অভিযুক্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি কৃত্রিম বাজার সৃষ্টি করে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। উপস্থাপিত অভিযোগসমূহ সঠিক ও ইচ্ছাকৃত এবং এ কর্মকাণ্ডের ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নের পরিপন্থি। তাই অভিযুক্তদের ব্যাখ্যা কমিশনের নিকট গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা ধার্য করা হয়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কালচে হয়ে যাচ্ছে মোগল আমলের লালকেল্লা
  • সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরদের কাজ কি শুধু ভাইভা নেওয়া
  • তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৫ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ
  • কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস 
  • সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ তিন দাবিতে অনশনে ৫ শিক্ষার্থী
  • কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র শাহাদাত
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-গ্রামবাসীতে বিদ্বেষ কেন
  • চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড: ট্রাম্প কি দাঙ্গা–ফ্যাসাদকেই নীতি হিসেবে নিয়েছেন
  • ৫ কোম্পানির শেয়ার কারসাজি: ৩ জনকে দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড