Samakal:
2025-06-16@05:07:22 GMT

ট্রাম্প ও টিকটক

Published: 20th, January 2025 GMT

ট্রাম্প ও টিকটক

দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নানা ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। রোববার ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর আগের দিন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক আইনি নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে গেলেও ট্রাম্পের আশ্বাসের ভিত্তিতে আবার চালু হয়েছে। 

বলা বাহুল্য, চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নানা কারণেই আলোচনায়। ‘নিরাপত্তাজনিত’ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতসহ অনেক দেশ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করে, ২০২৩ সাল থেকেই নিষেধাজ্ঞার আলোচনা চলছে। খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানও টিকটকের বিরুদ্ধে ছিল। এবার নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি ৯০ দিনের সাময়িক ছাড় দেওয়ার কথা বললেন। এমনকি টিকটকের সিইও শিও জি চিউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদ (২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত) থেকেই নানা কারণে আলোচিত। অন্যদিকে টিকটকও দেশে দেশে ব্যাপক আলোচতি ও সমালোচিত। তবে প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সামাজিক মাধ্যমকে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন এবং ২০২০ সালেই নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। এর পর যুক্তরাষ্ট্রে আইনি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় টিকটক। পরের বছর জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর টিকটক বন্ধে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেন। এর পরও প্রশাসনিক ও আইনি লড়াই চলতে থাকে। কিন্তু ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অবস্থান পাল্টিয়ে টিকটক রক্ষায় ভূমিকা পালন করেন। এমনকি টিকটক যাতে নিষিদ্ধ না হয়, সে জন্য নানামুখী তৎপরতা চালান।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের এপ্রিলে ‘পাবলিক ল ১১৮-৫০’ নামে আইনে স্বাক্ষর করেন। সেখানে আমেরিকা সুরক্ষার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার আলোকেই ২০২৫ সালে এসে টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। বিকল্প হিসেবে টিকটককে আমেরিকার কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রির কথা ছিল। সে অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপে ঢুকলে দেখেন, ‘আইনগতভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে’। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক ‘রক্ষার’ ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের কাছ থেকে পাওয়া ৯০ দিন সময়ে টিকটকের বাঁচা-মরার লড়াই কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 
ট্রাম্পের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টও আছে। গত বছরের ২ জুন প্রথমবারের মতো তিনি টিকটকে পোস্ট করেন। যদিও তিনি ২০২০ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক মাধ্যম ট্রিলারে যোগ দিয়েছিলেন। 

শুধু টিকটক নয়; বিশ্বে পরিচিত অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু তিক্ত ও মজার অভিজ্ঞতা আছে। টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউবের সঙ্গেও বিরোধে জড়ান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভুয়া ভিডিও পোস্ট করেছেন বলে ২০২১ সালে টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ট্রাম্পের সেই ভিডিও মুছে দেয়। এখন অবশ্য তিনি প্রায় সবটাতে ফিরে এসেছেন। তাঁর অধিকাংশ তৎপরতাই সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে পওয়া যায়। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কী করেন, সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী তাঁর বিরোধিতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে যে জনপ্রিয়তা রয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়াই তার প্রমাণ। সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তাও তার সাক্ষ্যবহ। তিনি তাঁর পুরোনো প্রকল্প ফের সামনে এনেছেন। অভিবাসী নিয়ে তাঁর অবস্থান বিষয়েও অনেকে শঙ্কিত। টিকটকের বিপক্ষে থাকা ট্রাম্প যদি প্ল্যাটফর্মটি রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে পারেন, হয়তো তিনি এখন যেসব বিষয়ের বিরোধিতা করছেন, সেগুলোর পক্ষেও তাঁকে দাঁড়াতে দেখা যেতে পারে।  

মাহফুজুর রহমান মানিক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, সমকাল
    mahfuz.

manik@gmail.com 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কটক র ব ট কটক ব

এছাড়াও পড়ুন:

ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়

জীবন সুস্থ রাখার জন্য চাই সুস্থ ফুসফুস, সুস্থ নিঃশ্বাস আর বিশুদ্ধ বাতাস। ফুসফুসের যত্নের শুরু মাতৃজঠরে থাকার সময় থেকেই। গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের সংক্রমণ, সময়ের আগে অপরিণত অবস্থায় স্বল্প ওজনে জন্ম নেওয়া শিশুর ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। আবার জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান নিউমোনিয়া, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়। এ কারণে হবু মা এবং নতুন মায়ের যত্ন শিশুর সুস্থ ফুসফুসের পূর্বশর্ত। অন্যদিকে ধূমপায়ী বাবা শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্যই নয়, এমনকি যে শিশুটি এখনও ভূমিষ্ঠ হয়নি, তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। ধূমপায়ী মায়েদের জন্য এ কথা আরও বেশি সত্য। 

ফুসফুস বিভিন্ন সংক্রামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার একটি প্রধান অঙ্গ। করোনা মহামারি আমাদের এ সত্য আরও ভালোভাবে বুঝিয়েছে। পুরো পৃথিবী ছোট্ট করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়েছিল। একইভাবে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এমনকি বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগেরও আকর এই ফুসফুস। অথচ সামান্য স্বাস্থ্যবিধি, যেমন– নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

বর্তমান সময়ে পরিবেশদূষণ ও বায়ুদূষণ একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। বায়ুদূষণের সরাসরি আঘাত হয় ফুসফুসে। বায়ুদূষণের জন্য অ্যাজমা, সিওপিডিসহ বিভিন্ন রোগ ফুসফুসের শ্বাসনালির বাধাজনিত কারণে সৃষ্টি। সজীব নির্মল বায়ু নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা ফুসফুসের যত্নের একটি অংশ।

জীবিকার প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন ধরনের পেশা বেছে নিই। তার মধ্যে এমন কিছু পেশা আছে, যা ফুসফুসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যেমন– পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ওয়েলডিং, আঁশ ও তুষজাতীয় উপাদানের সংস্পর্শে থাকা ইত্যাদি। এ পেশার কারণে তৈরি ছোট ছোট ধূলিকণা বা সূক্ষ্মতন্তু আমাদের ফুসফুসে আটকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ কাজের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করলে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সে সম্পর্কে আমরা মোটেও সচেতন নই। তাই ‘অকুপেশনাল হেলথ’ বা জীবিকা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।

ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপে সম্মিলিতভাবে সবাই উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ফুসফুসের তথা সঠিক স্বাস্থ্যরক্ষায় আরও মনোযোগী হতে হবে। শুধু চিকিৎসা নয়, রোগ প্রতিরোধে উদ্যোগী হওয়ার এখনই সময়। করোনা মহামারি আমাদের সে শিক্ষাটাই দিয়েছে।

লেখক: চিকিৎসক, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ , বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্ববাজারে আজও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
  • ইসরায়েলি যুদ্ধযন্ত্রকে থামাইতেই হইবে
  • বন্ধু হওয়ার সুযোগ দিন, শত্রু নয়
  • ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’
  • একদিনে আয় ৮১ লাখ, ৬ কোটির ক্লাবে শাকিব খানের তাণ্ডব!
  • ফুসফুসের সুরক্ষায় যা করণীয়
  • সরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি
  • কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে চুরি, খোয়া গেছে ৪০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ
  • কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে