Samakal:
2025-08-01@19:36:36 GMT

ট্রাম্প ও টিকটক

Published: 20th, January 2025 GMT

ট্রাম্প ও টিকটক

দ্বিতীয় মেয়াদে অভিষেকের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নানা ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। রোববার ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর আগের দিন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক আইনি নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে গেলেও ট্রাম্পের আশ্বাসের ভিত্তিতে আবার চালু হয়েছে। 

বলা বাহুল্য, চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নানা কারণেই আলোচনায়। ‘নিরাপত্তাজনিত’ নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতসহ অনেক দেশ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও ১৭ কোটি মানুষ টিকটক ব্যবহার করে, ২০২৩ সাল থেকেই নিষেধাজ্ঞার আলোচনা চলছে। খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানও টিকটকের বিরুদ্ধে ছিল। এবার নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি ৯০ দিনের সাময়িক ছাড় দেওয়ার কথা বললেন। এমনকি টিকটকের সিইও শিও জি চিউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদ (২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত) থেকেই নানা কারণে আলোচিত। অন্যদিকে টিকটকও দেশে দেশে ব্যাপক আলোচতি ও সমালোচিত। তবে প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সামাজিক মাধ্যমকে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে দেখেছিলেন এবং ২০২০ সালেই নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। এর পর যুক্তরাষ্ট্রে আইনি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় টিকটক। পরের বছর জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর টিকটক বন্ধে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ব্যবস্থা নেন। এর পরও প্রশাসনিক ও আইনি লড়াই চলতে থাকে। কিন্তু ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অবস্থান পাল্টিয়ে টিকটক রক্ষায় ভূমিকা পালন করেন। এমনকি টিকটক যাতে নিষিদ্ধ না হয়, সে জন্য নানামুখী তৎপরতা চালান।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৪ সালের এপ্রিলে ‘পাবলিক ল ১১৮-৫০’ নামে আইনে স্বাক্ষর করেন। সেখানে আমেরিকা সুরক্ষার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার আলোকেই ২০২৫ সালে এসে টিকটক পুরোপুরি নিষিদ্ধ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। বিকল্প হিসেবে টিকটককে আমেরিকার কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রির কথা ছিল। সে অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপে ঢুকলে দেখেন, ‘আইনগতভাবে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে’। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক ‘রক্ষার’ ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের কাছ থেকে পাওয়া ৯০ দিন সময়ে টিকটকের বাঁচা-মরার লড়াই কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 
ট্রাম্পের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টও আছে। গত বছরের ২ জুন প্রথমবারের মতো তিনি টিকটকে পোস্ট করেন। যদিও তিনি ২০২০ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক মাধ্যম ট্রিলারে যোগ দিয়েছিলেন। 

শুধু টিকটক নয়; বিশ্বে পরিচিত অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের সঙ্গেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু তিক্ত ও মজার অভিজ্ঞতা আছে। টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউবের সঙ্গেও বিরোধে জড়ান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভুয়া ভিডিও পোস্ট করেছেন বলে ২০২১ সালে টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ট্রাম্পের সেই ভিডিও মুছে দেয়। এখন অবশ্য তিনি প্রায় সবটাতে ফিরে এসেছেন। তাঁর অধিকাংশ তৎপরতাই সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে পওয়া যায়। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কী করেন, সেদিকে তাকিয়ে বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী তাঁর বিরোধিতা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে যে জনপ্রিয়তা রয়েছে, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়াই তার প্রমাণ। সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তাও তার সাক্ষ্যবহ। তিনি তাঁর পুরোনো প্রকল্প ফের সামনে এনেছেন। অভিবাসী নিয়ে তাঁর অবস্থান বিষয়েও অনেকে শঙ্কিত। টিকটকের বিপক্ষে থাকা ট্রাম্প যদি প্ল্যাটফর্মটি রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে পারেন, হয়তো তিনি এখন যেসব বিষয়ের বিরোধিতা করছেন, সেগুলোর পক্ষেও তাঁকে দাঁড়াতে দেখা যেতে পারে।  

মাহফুজুর রহমান মানিক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, সমকাল
    mahfuz.

[email protected] 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কটক র ব ট কটক ব

এছাড়াও পড়ুন:

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন

ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবী অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ জামিন দেন।

বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। বিচারাধীন আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ফারাবী, যা আজ আদালতের কার্যতালিকায় ১৭৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আদালতে ফারাবীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. এমরান খান।

পরে আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন ফারাবী। ফারাবী ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। মামলায় চারজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের কেউই ফারাবীর নাম উল্লেখ করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষীর বক্তব্যেও তাঁর নাম আসেনি। এসব যুক্তিতে ফারাবীর জামিন চাওয়া হয়। বিচারাধীন আপিলে ফারাবীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

এই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে (শফিউর রহমান ফারাবী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদাবাজ রিয়াদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ মিশনপাড়া
  • ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে মিয়ানমারে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন
  • ইরানের ভুলে আজারবাইজান যেভাবে ইসরায়েলের দিকে ঝুঁকে পড়ল
  • কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
  • নওগাঁয় স্কুলছাত্র হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড
  • পুতিন এমন কিছু চান, যা তিনি কখনোই পাবেন না
  • ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন
  • শিক্ষার্থী সাজিদ স্মরণে ইবিতে ব্যতিক্রমী আয়োজন
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি’, শিক্ষার্থীরা পাবেন ২ ক্যাটাগরিতে