শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া সেই শিক্ষক কারাগারে
Published: 21st, January 2025 GMT
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় মিফতাহুল মাওয়া নামে চার বছরের এক শিশুকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া শিক্ষক শাহজাহান ফজলুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল ইসলাম শিক্ষক শাহজাহানের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে শাহজাহান আদালতে জামিন আবেদন করেন।
আরো পড়ুন: ‘আমার কাছে বালির মূল্য বেশি, মানুষের কোনো মূল্য নাই’
আরো পড়ুন:
নদী থেকে পাওয়া মৃত শিশুর পোশাক দেখে নিজের সন্তান দাবি
‘আমার কাছে বালির মূল্য বেশি, মানুষের কোনো মূল্য নাই’
কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী শিশু মিফতাহুল মাওয়া উপজেলার পূর্বপাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী নজির আহমেদের মেয়ে।
ভুক্তভোগী শিশুর মা শামছুন নাহার তানিয়া জানান, গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে বুড়িচং সদর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়ির সড়কের পাশে থাকা বালু নিয়ে খেলা করছিল শিশু মিফতাহুল মাওয়া। সে সময় তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেন শিক্ষক শাহজাহান। একই দিন সন্ধ্যার পর এ ঘটনার ৪ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
ওই রাতেই আহত শিশু মিফতাহুল মাওয়ার মা শামসুন নাহার তানিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে মেমোরিয়াল কলেজ অব টেকনোলজির শিক্ষক অভিযুক্ত শাহজাহান ফজলুর রহমান গা ঢাকা দেন।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’