ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানা শাখার নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা ও শপথ গ্রহণ অধিবেশন সকাল ৮টায় আইএবি মিলনায়তন, পঞ্চবটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অধিবেশনটি সংগঠনের ফতুল্লা থানা শাখার সভাড়ড়ড়ড়পতি সাইদুল ইসলাম সিয়ামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিরাজ মোর্শেদের সঞ্চালনায় সম্পন্ন হয়।r

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সাইদুল ইসলাম সিয়াম বলেন, "ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯১ সালের ২৩শে আগস্ট। এটি প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা আমীর মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই রহ.

), যিনি তৎকালীন কুলশিত ছাত্র রাজনীতির বিপরীতে ন্যায়, ইনসাফ ও মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।" তিনি নবগঠিত কমিটিকে সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ধারণ করে দুর্নীতিমুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ২০২৪ সেশনের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির দায়িত্বশীলরা হলেন: সভাপতি সাইদুল ইসলাম সিয়াম, সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তাশফি মাহমুদ সিয়াম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল ইমরান, দাওয়াহ্ সম্পাদক রায়হান ইসলাম রানা, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক রায়হান সাগর, প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ আশিক, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কওমী মাদ্রাসা সম্পাদক আওলাদ হোসাইন, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সরকার, কলেজ সম্পাদক সাদমান হোসাইন, স্কুল সম্পাদক আবু হানিফ সিকদার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সম্পাদক ওলিউল্লাহ্ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মুহাম্মাদ নিশাদ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নবগঠিত কমিটি ফতুল্লা থানায় সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ প র ণ ঙ গ কম ট র স গঠন র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ