মোংলায় ভোটের মাধ্যমে বিএনপির পৌর কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। ভোট গ্রহণের শেষ পর্যায়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। শনিবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় যৌথ বাহিনী ও পুলিশ। ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মো.

কামাল হোসেন জানান, দুপুর ১২টার দিকে প্রতিপক্ষ প্রতিপক্ষ গ্রুপ তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি এবং তার ছেলেসহ চারজন আহত হন। পরে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তারা। 

এদিকে কমিটি গঠনের লক্ষে ভোটের শেষ পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিগন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায় দলীয় ক্যাডাররা। 

এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা নাসির আহমেদ মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এজন্য দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী দায়ী। এই ওয়ার্ডে ফের ভোট হবে।

মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান সন্ধ্যায় জানান, হামলা ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা টহল দিয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ