বাংলাদেশের কেউ নেই আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে
Published: 25th, January 2025 GMT
গতবছরটা (২০২৪) ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। তাছাড়া এক বছরে সবচেয়ে বেশি (৬৭৩) আন্তর্জাতিক কুড়ি ওভারের ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছে গেল বছরটাতে। ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের চ্যাম্পিয়ন। স্বাভাবিকভাবে আইসিসির ঘোষিত এবারের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে আধিক্য ভারত দলের। রোহিত শর্মা সহ আছেন আরও তিন ক্রিকেটার। তবে নেই বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারের নাম।
অথচ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারলেও জিম্বাবুয়ের একজন ক্রিকেটার আছেন আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে। দেশের হয়ে কুড়ি ওভারের ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে আলো ছড়ানোর পুরস্কার পেলেন সিকান্দার রাজা। পরপর দুই বছর এই সংস্করণের বর্ষসেরা দলে জায়গা করে নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার। রাজার মতো আরও চারজন জায়গা পেয়েছেন ২০২৩ সালের সেরা দল থেকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের চারজন বর্ষসেরা একাদশে জায়গা পেলেও রানার্সআপ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলের একজনও নেই বর্ষসেরা দলে! নেই বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের কেউও। তবে একজন করে খেলোয়াড় আছেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার।
আরো পড়ুন:
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স অনুর্ধ্ব-১৯ মেয়েরা
অস্ট্রেলিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েও বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙা হার
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কাপ্তান রোহিতের সাথে স্বদেশি হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহ ও অর্শদীপ সিংও বর্ষসেরা পুরুষ দলে জায়গা পেয়েছেন। অন্যদিকে রোহিতই বর্ষসেরা দলটির অধিনায়ক।
অন্যদের মধ্যে ওপেনিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড, তিন নম্বরে ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট, চারে পাকিস্তানের বাবর আজম, পাঁচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান ও ছয়ে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা জায়গা পেয়েছেন। বোলিং বিভাগে দুই স্পিনার হিসেবে জায়গা হয়েছে আফগানিস্তানের রশিদ খান ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশঃ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক, ভারত), ট্রাভিস হেড (অস্ট্রেলিয়া), ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড), বাবর আজম (পাকিস্তান), নিকোলাস পুরান (উইকেটরক্ষক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সিকান্দার রাজা (জিম্বাবুয়ে), হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত), রশিদ খান (আফগানিস্তান), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা), অর্শদীপ সিং (ভারত) ও জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স আইস স র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৬ হাজারের মতো শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে শুধু গাজা নগরীতে এই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব শিশুর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
গত মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকার মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছেন।
ইনগ্রাম বলেন, আগস্টে গাজায় প্রতি আট শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত ছিল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার। গাজা নগরীতে এই অনুপাত প্রতি পাঁচে একজন। তিনি বলেন, গাজা নগরী থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক সরানো হচ্ছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের প্রাণনাশ হতে পারে। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মুখে শহরের পুষ্টিকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সেনারা বলছেন, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও তাঁবু পাবেন। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ঘোষিত ‘মানবিক আশ্রয়’ এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইনগ্রাম বলেন, ‘গাজায় সাত শতাধিক দিনের যুদ্ধ-ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুকে এক নরক থেকে আরেক নরকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যা অমানবিক।’
জাতিসংঘের হিসাবে, গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকাগুলোর ১০ লাখ মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।