একটা সময় ফোনে কথা বলতে প্রতি মিনিট সাত থেকে আট টাকা খরচ করতে হত! এমন ব্যয়বহুল সেবা, যা মূলত ভয়েস কলেই সীমাবদ্ধ ছিল। এখন দৃশ্যপটে পরিবর্তন এসেছে। টেলিযোগাযোগ সেবার বিস্তার এবং সহজলভ্য ইন্টারনেটের সুবাদে মানুষ তাৎক্ষণিক যোগাযোগের সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া এক অ্যাপের মাধ্যমে বিল পরিশোধ কিংবা চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত পরামর্শও নিতে পারছেন।

ভয়েস কল-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সেবা প্রদানে টেলিযোগাযোগ খাতের রূপান্তরের যাত্রা সহজ ছিল না। দুই দশক আগেও এ খাতে ছিল একক আধিপত্য। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলালিংক কার্যক্রম শুরু করে। এতে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়। এর ফলে কল রেট কমতে শুরু করে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মোবাইল কলরেট ছিল ১৬ টাকা প্রতি মিনিট। ২০০৫ সালের আগে মোবাইল কলরেট ছিল পাঁচ থেকে আট টাকা প্রতি মিনিট। গ্রাহক প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে যাত্রার শুরুতেই দেশে ভয়েস কল সেবাকে সবার কাছে পৌঁছাতে ভূমিকা রেখেছে বাংলালিংক।

টেলিযোগাযোগ খাতে একাধিক অপারেটরের প্রবেশ এবং উল্লেখযোগ্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আসতে শুরু করে। অপারেটররাও তাদের আয় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে নতুন করে বিনিয়োগ করে, যা বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা চালুর পথ উন্মুক্ত করে দেয়। একই সঙ্গে উল্লেখযোগ্য অবকাঠামো উন্নয়ন টেলিযোগাযোগ খাতে উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করে।

২০১৩ সালে থিজি চালু হওয়ার পর দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে যায়— কাস্টমার বিহেভিয়ারে পরিবর্তন আসে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পায়। থ্রিজি ইন্টারনেট চালুর পর এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড অনুসরণ করে ডিজিটাল সেবা প্রদানে নিজেদের ডিজিটাল পোর্টফোলিওর মান উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হয়।

‘ডিজিটাল ফর অল’ লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে দেশের মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন ও অতাধুনিক উদ্ভাবনী সেবা প্রদানে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলালিংক। সাশ্রয়ী মূল্যে টকটাইম এবং সবার জন্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে ভূমিকা রাখছে। ডিজিটাল সেবার উদ্ভাবনী পোর্টফোলিও তৈরিতে স্থানীয় পর্যায়ে মেধাবীদের ক্ষমতায়ন ও তাদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলছে।

মাইবিএল সুপারঅ্যাপ ও টফির মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তি ও বিনোদন গ্রহণের সুযোগ সবার জন্য সহজলভ্য করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রিমিয়াম ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টফিতে বিভিন্ন টিভি শো দেখার পাশাপাশি সরাসরি খেলা ও টিভি দেখা যায়। অন্যদিকে, মাইবিএল সুপারঅ্যাপ ছয়টি মৌলিক ডিজিটাল সেবাকে সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছে; সেবাগুলো হচ্ছে- কানেক্ট, কনটেন্ট, কমার্স, কেয়ার, কোর্সেস ও কমিউনিটি। টফি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ভিডিও শেয়ারিং ফিচারের মাধ্যমে চ্যানেল মনিটাইজ করার সুযোগ তৈরি করেছে। এখন টফিতে প্রায় ৭০ লাখ মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। পাশাপাশি খেলা দেখা কিংবা লিনিয়ার টিভির জন্য প্ল্যাটফর্মটি ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাসিক ভিউ ৪ কোটি ছাড়িয়েছে। এছাড়াও, দেশের প্রথম ও একমাত্র টেলকো পণ্য হিসেবে আইসিসি বিশ্বকাপের সকল আয়োজনের ডিজিটাল সম্প্রচারের স্বত্ব লাভ করেছে এবং একমাত্র ওটিটি হিসেবে টফির সনি, বিফোরইউ, ডিসকভারি ও জি, এ চার আন্তর্জাতিক ব্রডকাস্টারের ডিরেক্ট ফিড রয়েছে।

অন্যদিকে, গ্রাহকদের ডিজিটাল চাহিদা পূরণে সমাধান হিসেবে ভূমিকা রাখছে মাইবিএল সুপারঅ্যাপ। ৮০ লাখেরও বেশি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী এবং প্রতিদিন হাজার হাজার কোর্স ব্যবহারকারী সেবা নিচ্ছেন মাইবিএল থেকে। এছাড়া, অ্যাপটির কেয়ার সেকশন থেকে মাসে প্রায় ১০ লাখ ব্যবহারকারীকে ডাক্তারি পরামর্শ এবং জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানে সহায়তা করা হচ্ছে। তরুণদের ক্ষমতায়ন ও তাদের অনন্য ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদানে সম্প্রতি রাইজ নামে উদ্ভাবনী এআই-নির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপ চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

লেখক: হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স, বাংলালিংক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম ব যবহ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে আবার ইরানের হামলা, নাগরিকদের নেওয়া হলো সুরক্ষিত এলাকায়

ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে ইরান নতুন করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের এক মুখপাত্রের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলা ভোর পর্যন্ত চলবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি ও আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজের প্রতিবেদনেও নতুন করে ইসরায়েলে ইরানের হামলা চালানোর কথা বলা হয়েছে। খবর-গার্ড়িয়ান

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি শহর তেল আবিব ও হাইফা শহরে আঘাত করেছে। এতে চলতি সপ্তাহের জি-৭ বৈঠকে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে যে, এই দুই আঞ্চলিক শত্রুর মধ্যে সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যকে একটি বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ইরান থেকে ছোড়া নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া নতুন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। 

নাগরিকদের সুরক্ষিত এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান: ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের হামলার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার পর পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, ‌দেশের সমস্ত অঞ্চলের সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে যাওয়া সম্ভব। নাগরিকরা এখন দেশের সমস্ত অঞ্চলের সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে যেতে পারে।

এর আগে রোববার সোমবার ভোরে ইসরায়েলে ইরানের হামলায় চারজন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গার্ডিয়ান। এছাড়া বেশ কিছু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে।   

ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জরুরি পরিষেবা সোমবার জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের চারটি স্থানে হামলায় চারজন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং দুজন পুরুষ, যাদের সকলের বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।

নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে: ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিব শহর লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলায় শুক্রবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

তেল আবিবের কাছে মধ্য ইসরায়েলি শহর পেতাহ টিকভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সেখানে একটি আবাসিক ভবনে আঘাত করেছে। কংক্রিটের দেয়াল পুড়ে গেছে। জানালা উড়ে গেছে। একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হাইফায় হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অনুসন্ধান চলছে। যেখানে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। বন্দরের কাছে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

নতি স্বীকারের কোনোও ইচ্ছা নেই: ইরান
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, দেশটি ইসরায়েলে কমপক্ষে ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে উত্তেজনা কমানোর জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বানের কাছে নতি স্বীকার করার কোনোও ইচ্ছা তাদের নেই। কারণ শুক্রবার তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলের আকস্মিক আক্রমণের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তারা জোর দিয়েছে।

এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সংক্ষেপে প্রচারিত ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বর্তমানে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু।’ এতে কিছুক্ষণের জন্য টেলিভিশনটির সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মিনিট পরে সেটি পুনরায় সম্প্রচারে আসে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের অধীনস্থ ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক (আইআরআইএনএন) জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছে। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘সত্যের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলের হামলার পর আগুনে পুড়তে থাকা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক সাংবাদিক। ভিডিওটিতে ওই সাংবাদিক বলেন, তিনি নিশ্চিত নন—এই হামলায় তার কতজন সহকর্মী নিহত হয়েছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলি হামলায় সেখানকার বেশ কয়েকজন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের পরিচয় কী, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানাননি কর্মকর্তারা।

টেলিভিশনটির একজন সাংবাদিক বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, হামলার সময় তারা ভবনটিতে কাজ করছিলেন। তখন সরাসরি সম্প্রচার চলছিল। কিন্তু আকস্মিক হামলার পর কিছুক্ষণের জন্য সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক মিনিট পর অবশ্য পুনরায় সম্প্রচার কাজ চালু করতে সক্ষম হন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

একপর্যায়ে টেলিভিশনটির সম্প্রচার শাখার প্রধান পেমান জেবেলি রক্তমাখা একটি কাগজ নিয়ে পর্দায় হাজির হন। সেটি দেখিয়ে তিনি বলেন, তারা ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন’।

গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল ‘সত্যের কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলের হামলার আগ মুহূর্তে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পর্দায় উপস্থাপিকাকে দেখা যাচ্ছিল। হামলার সময় উপস্থাপিকাকে দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। অন্যদিকে, গণমাধ্যম কার্যালয়টি ইরান সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।

এই হামলার কিছুক্ষণ আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিও ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’ বলে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। কাৎজের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ইরানের প্রচারণা ও উসকানির মেগাফোন ‘অদৃশ্য হতে যাচ্ছে’।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলার কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। হামলার পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তেহরানের স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যেতে বলার পরে ওই হামলাটি চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ইরানের স্বৈরশাসক যেখানেই থাকুন না কেন, তাকে আঘাত করা হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ