গাজীপুরে বন বিভাগের অভিযানে ১০ কোটি টাকার ভূমি উদ্ধার
Published: 26th, January 2025 GMT
গাজীপুরে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা নিয়ন্ত্রিত ভাওয়াল রেঞ্জে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর বিটের বাঘের বাজার শিরিরচালা হিজড়া পট্টি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভূমি দস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। তারা বনের খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে বাড়ি-ঘর নির্মাণ শুরু করে। ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মাহনা-ভবানীপুর মৌজার ভবানীপুর বিট অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ১১.
এসব জমিতে কয়েক হাজার নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যা বেশিরভাগই উচ্চবিত্ত শ্রেণির লোকদের দ্বারা নির্মিত। এসব স্থাপনা ভাড়া দেওয়া বা বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
এ অভিযানে শিরিরচালা এলাকার মোট তিন একর সংরক্ষিত বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়। সেখানে অবৈধভাবে নির্মিত দ্বিতল ভবন, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ এবং বন বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা কার্যালয়ের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, “৫ আগস্টের পর বনের জমিতে গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। ইতোমধ্যে এই রেঞ্জের অধীন আরও দুটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
তিনি ভূমি দস্যুদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যারা এখনো বনের জমি দখল করে আছেন, তারা দ্রুত স্বেচ্ছায় এসব স্থাপনা সরিয়ে নিন। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। এক ইঞ্চি বনের জমিও আর অবৈধভাবে দখল করে রাখতে দেওয়া হবে না।”
ঢাকা/রফিক/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে বিগত কয়েক দিনে উন্নত সাত দেশের জোট জি-৭-এর তিন সদস্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলল।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানুষের দুর্দশা অসহনীয়। দ্রুত এর অবনতি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডার।
তবে এই স্বীকৃতি কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করেন কানাডার প্রেসিডেন্ট। সেগুলো হলো—ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে নিজেদের শাসন ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনার, হামাসকে বাদ দিয়ে ২০২৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার এবং এই ভূখণ্ডকে নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে কয়েক দিন আগে জানিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। পরে ইসরায়েল কিছু শর্ত না মানলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৫০টি দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণার পর থেকেই মার্ক কার্নির ওপর চাপ বাড়ছিল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাঁকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লেখেন কানাডার প্রায় ২০০ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক। তাতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড কানাডার স্বার্থ ও মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন করেছে।