বিপিএলে সর্বোচ্চ পাঁচজন বিদেশি খেলানোর নিয়ম ছিল একটা সময়ে। সেখান থেকে কমিয়ে চারজন করা হয়েছে বেশ আগে। একাধিক বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলের সমান্তরালে চলায় তিন বছর আগে চারজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম রাখলেও বাধ্যতামূলক করা হয় দু’জন। অর্থাৎ ন্যূনতম দু’জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে হবে। গতকাল সে রেকর্ডও ভেঙে ফেলেছে দুর্বার রাজশাহী। 

চুক্তির টাকা না পেয়ে ম্যাচ খেলতে রাজি হননি বিদেশি ক্রিকেটাররা। ফলে বিসিবির নির্দেশনায় টেকনিক্যাল কমিটি ১১ জন দেশি ক্রিকেটার নিয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার অনুমোদন করে। 

বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান মিডিয়াকে বলেছেন, ‘টেকনিক্যাল কমিটি যদি মনে করে যৌক্তিক কারণ এবং ম্যারিট আছে, ইভেন্টের স্বার্থে তখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওটা বাইন্ডিং।’ 

বিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিপিএল প্লেয়িং কন্ডিশনের ১.

২.৮ ধারা অনুযায়ী রাজশাহীকে ম্যাচ খেলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে চারজন বিদেশি খেলাতে হবে। ন্যূনতম দু’জন। সেই কোটাও পূরণ করতে পারেনি রাজশাহী, পেমেন্ট ইস্যুতে ক্রিকেটাররা বিদ্রোহ করায়। রকিবুলের ভাষায়, এটা যৌক্তিকতার চেয়েও বেশি প্রাধান্য পেয়েছে বিপিএলের মর্যাদা। যদিও রাজশাহী নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করেছে বিপিএলের সম্মান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ