গুলিস্তানের মার্কেটপাড়ায় সিন্ডিকেটের হাতবদল
Published: 28th, January 2025 GMT
রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মালিকানাধীন ছোট-বড় ১৫টি মার্কেট রয়েছে। নানা অজুহাতে এসব মার্কেট থেকে প্রতি মাসে চাঁদা ওঠে কোটি কোটি টাকা। নকশা ভেঙে আর জালিয়াতি করে দোকানও বরাদ্দ দেয় সিন্ডিকেট। করপোরেশনের মার্কেটের নামকাওয়াস্তে ভাড়া রাজস্বে জমা হলেও বড় অংশই যায় সিন্ডিকেটের পকেটে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও গুলিস্তানের মার্কেটগুলোর সিন্ডিকেট পরিবর্তন হয়নি। এক গ্রুপ সরে যাওয়ার পর তার দখল নিয়েছে আরেক গ্রুপ।
গুলিস্তানের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আফজাল হোসেন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীকে নিয়ে মার্কেটগুলোয় সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। গুলিস্তানকেন্দ্রিক সরকারি এসব মার্কেটে তাদের হয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে দোকান বাণিজ্য বাস্তবায়ন করেছিলেন দেলোয়ার হোসেন দেলু, নাজমুল হুদা, মোজাম্মেল হক মজু, হুমায়ুন কবির মোল্লা ও জহিরুল ইসলাম সিন্ডিকেট। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ আমলে মার্কেট মালিক সমিতির শীর্ষ পদে ছিলেন। মেয়র, কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতা সবার মধ্যে ভাগবাটোয়ারা সমন্বয় করতেন জাকের মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু। তাঁর বিরুদ্ধে মার্কেট থেকে শতকোটি টাকা লোপাটে দুদকেও অভিযোগ রয়েছে। বাকিদের মধ্যে ট্রেড সেন্টারের উত্তরের সভাপতি ছিলেন মোজাম্মেল হক মজু ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান। ট্রেড সেন্টার দক্ষিণের সভাপতি ছিলেন হুমায়ুন ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আফজাল। বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় এরই মধ্যে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পাল্টে গেছে সিন্ডিকেট। পুরোনোদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তাদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও ট্রেড সেন্টারের উত্তরের সভাপতি মোজাম্মেল হক মজু। তাঁর সঙ্গে গোপনে আরও অনেকে রয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট (ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর), বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট (ঢাকা ট্রেড সেন্টার দক্ষিণ মার্কেট), নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা ও জাকের সুপারমার্কেটে দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে এই নতুন সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। তারা এসব মার্কেটের কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভুয়া ছবি ও পরিচয়পত্রের মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দিয়ে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া সরকারি মার্কেটে প্রভাব খাটিয়ে নকশাবহির্ভূতভাবে শত শত দোকান বানিয়ে বিক্রি করা হয়।
এর আগে ব্যারিস্টার তাপস মেয়র হওয়ার পর এসব অবৈধ দোকান ভাঙা নিয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। মার্কেটের সিন্ডিকেট পরে বিষয়টি সমঝোতা করে নেয়। এখন সরকার পরিবর্তনের পর এসব মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ নিয়ে আবার বাণিজ্য শুরু হয়েছে। দোকান বরাদ্দের নামে ব্যবসায়ীপ্রতি ৪-৫ লাখ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে নতুন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তরের সভাপতি মজু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যপদ বাগানোর পর পুরো সিন্ডিকেট করায়ত্তে নিয়েছেন। এর আগে এই বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আফজাল, কাউন্সিলর রতন ও আউয়াল হোসেনদের ম্যানেজ করেই চলতেন। নিয়মিত অংশ নিতেন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে। নতুন সিন্ডিকেটে মজুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বিএনপির ২০ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী আবদুল হক, বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন ও তাজুল ইসলাম। তারা পুরোনো সিন্ডিকেটের সদস্যদের নানাভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলের অনিয়ম-দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত অনেকেই এখন বিএনপিকে ব্যবহার করে অপকর্ম করছেন। এমনকি বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় করা মামলার বাদীকে ঘায়েল করতে তাঁকে এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে হত্যা মামলার আসামি করা হচ্ছে। নানাভাবে হুমকি দিয়ে বাদীকে কোণঠাসা করে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড আগের মতো ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোরে আগুন লাগে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী বিপণিবিতান বঙ্গবাজারে। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যায় মার্কেটটির চারটি ইউনিটসহ আশপাশের আরও তিন মার্কেট। দোকান, মালপত্র ও নগদ টাকা পুড়ে নিঃস্ব হন শত শত ব্যবসায়ী। অনেক ব্যবসায়ী পরিকল্পিত আগুনের অভিযোগ করলেও তৎকালীন সরকার পাত্তা দেয়নি। এমনকি অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা হুমকি এবং মারধরের শিকার হন।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত ২২ অক্টোবর বঙ্গবাজারে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন রিপন। এরই মধ্যে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এ মামলা করে বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ী রিপন। হত্যা মামলার আসামি করাসহ তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ওই ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটের পুরোনো সিন্ডিকেট এখন নতুনভাবে ফিরে এসেছে। বিএনপিকে ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্র মার্কেটে আগুন দেওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এতে আমি ও আমার পরিবার ব্যাপকভাবে উদ্বিগ্ন। বঙ্গবাজার পোড়ানোর মামলায় একজন আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর আমাকে চারটি মামলার আসামি করা হয়েছে। মিরপুর থানায় এসব মামলায় আমাকে জড়িয়েই তারা ক্ষান্ত হয়নি। আমার চার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। মামলা তুলে নিতে চিঠি পাঠিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এখন আমি প্রাণভয়ে পালিয়ে আছি। আমার ব্যবসা-বাণিজ্যও দখলের হুমকি আসছে।
ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর কর কর্মকর্তা আবু নাসের সমকালকে বলেন, আগে মার্কেটের নকশা ভেঙে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা দোকান বরাদ্দ দিতেন। গত ৫ আগস্টের পরও তারা বরাদ্দের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। এবার মার্কেট যাচাই-বাছাই করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। কোনো সিন্ডিকেটে কাজ হবে না।
মজুর বিএনপির সদস্য পদপ্রাপ্তি নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, মোজাম্মেল হক মজু বিএনপি করেন। সে হিসেবেই তাঁকে পদ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে তাঁর কর্মকাণ্ড আমাদের জানা নেই। মার্কেটে ব্যবসা থাকার কারণে অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার প্রয়োজন হতে পারে। এসব বিষয়ে তিনি ভালো বলতে পারবেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা উত্তর ট্রেড সেন্টারের সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে মোজাম্মেল হক মজুর সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসব ম র ক ট ব যবস য় র ব এনপ র র সদস য আওয় ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের হামলায় ২০ ইসরায়েলি নিহত: বিবিসি
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা চারদিন ধরে চলছে। এসব হামলায় উভয় দেশের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইসরায়েলের জাতীয় পরিষেবা জানিয়েছে, আজ সোমবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ফলে গত শুক্রবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২০ জনে পৌঁছেছে। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি।
অন্যদিকে আল জাজিরা বলছে, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
আজ সোমবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স ও ব্লাড ব্যাংক সংস্থাগুলো বলছে, এসব হামলায় ২৯ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানান, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী, একজন পুরুষ।
এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও সেখান আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছিল, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।