‘মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে’
Published: 28th, January 2025 GMT
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরকে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্ট গ্রুপকে মোংলা বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মোংলা বন্দর দেশের একটি সম্ভাবনাময় বন্দর। এটি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ সমুদ্র বন্দরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরটির সড়ক পথে দূরত্ব মাত্র ২১০ কিলোমিটার। নৌ, সড়ক ও রেলপথের অবকাঠামো তৈরি থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজে এখন পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে। একই সাথে প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভারত ও ভুটানের জন্যও এই বন্দরের ব্যবহার দারুণ সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। এ প্রেক্ষিতে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোংলা বন্দরে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
নরওয়ের সাথে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান
ঘূর্ণিঝড় দানা: চাঁদপুর থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি পোর্টসের প্রতিনিধিদল নৌপরিবহন উপদেষ্টার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আবুধাবি গ্রুপ চট্টগ্রাম, মোংলা বন্দরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। চট্টগ্রাম বন্দরে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বে-টার্মিনাল নির্মাণের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সে প্রকল্পেও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পৃক্ত থাকতে চাই। বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের জট কমে আসবে পাশাপাশি আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে এবং বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এডি পোর্টস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর এবং নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল এর আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের বিনিয়োগে আগ্রহী।”
এডি পোর্টস গ্রুপের প্রতিনিধিরদলের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন পথ ন পর বহন প র টস
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করলেও এখনও টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২০-এ জায়গা হয়নি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তবে দলগতভাবে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল, বোলিংয়ে বড় ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ব্যাটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি বোলিং র্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন তিন নম্বরে।
ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল হকের। দুটি ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রান করে মুমিনুল এগিয়েছেন ৫ ধাপ, এখন অবস্থান ৪৮তম। জাকের আলী এগিয়েছেন ১০ ধাপ, অবস্থান ৫০তম। শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫৩তম স্থানে।
অন্যদিকে সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি উঠে এসেছেন র্যাংকিংয়ের সেরা ১৫ বোলারের তালিকায়। প্রয়াত হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার হিসেবে টেস্ট রেটিংয়ে ছুঁয়েছেন ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক। বাংলাদেশ সফরেই তার এই অর্জন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে ঢুকেছেন।
বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এখনও তালিকায় আছেন লিটন দাস, যদিও সিরিজে না থাকায় তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম। ফর্মহীনতায় ভোগা মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। বোলিং র্যাংকিংয়ে মিরাজের আগেই আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যার অবস্থান ২৩তম। এছাড়া সাকিব আল হাসান এখনো শীর্ষ ৫০-এ আছেন, তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১ নম্বরে।
অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে জায়গা ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার নিয়মিত মুখ।