আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে শিক্ষাভবনের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। বাধা পেয়ে সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তবে তাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সবিচালয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। 

সচিবালয়ে প্রবেশ করার আগে এই পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদেরকে আশ্বাস দিয়ে এখন চাকরি ফিরিয়ে দিচ্ছে না। যারা আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিল তারা অন্যায় করেছেন এবং আইন ভঙ্গ করেছেন। এই বিষয়ে আমরা উপদেষ্টাদের বলব।  চাকরি চলে যাওয়ার কারণে আমাদের অনেক সদস্য মারা গেছেন। তাদের বিষয়েও আমরা উপদেষ্টাদের জানাবো। আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়ার পর এখন তারা বলছেন আইন মোতাবেক যাবেন। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন বিগত সরকারের আমলে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তারা তো এখন ঠিকই চাকরি ফিরিয়ে পেয়েছেন এবং চাকরি করছেন। বর্তমান আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বাধ্যতামূলক অবসরে ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার চাকরি করছেন। তাহলে আমরা কেন চাকরি করতে পারব না।”

পুলিশ পরিবারে প্রায় ২২০০ জন সদস্য এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে এই সদস্যরা আন্দোলন করছেন। 

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসআই পদমর্যাদার এক পুলিশ সদস্য বলেন, “আমরা তো কোনো অন্যায় করিনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের আলোচিত বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রোশনালে পরে অন্যায়ভাবে আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখনতো তারা নেই তাহলে আমাদের কেন চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।”

ঢাকা/মাকসুদ/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর করছ ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ